আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
মাশরুম কোনো ব্যাঙের ছাতা একদমই নয়। আমার মাও এক কালে বলতেন যে মাশরুম নাকি ব্যাঙের ছাতা জানার পর তার ভুল ভাঙলো।
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমরা জানবো যে মাশরুমের উপকারিতা। বন্ধুরা আমরা মাশরুম তো অনেকেই খাই। আমরা শুধু বাঙালি কোনো এই মাশরুম বাংলার মানে কলকাতার বাইরের রাজ্যেও খুব প্রচলিত। তবে বেশির ভাগ শাকাহারী মানুষ খেয়ে বা পছন্দ করে থাকেন। তবে কম বেশি সবাই খায়। আমরা আরও জানবো যে – ওয়েস্টার মাশরুমের উপকারিতা, ঋষি মাশরুম এর উপকারিতা, মাশরুম খাওয়ার নিয়ম
মাশরুমের অপকারিতা, মাশরুম পাউডার, মাশরুমের দাম, মাশরুমের বিষাক্ত উপাদান, মাশরুম কিভাবে খায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
মাশরুমকে আমরা সবাই চিনি ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ হিসেবে। একই সঙ্গে এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবারও বটে। এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
মাশরুমে আমিষ আছে ২৫-৩০%, চর্বি ৫-৬%, ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ ৫৭-৬০%, শর্করা ৪-৬%।
মাশরুমের ঔষধিগুণ
1. পুষ্টিগুনের পাশাপাশি মাশরুমের রয়েছে ঔষধিগুণও। মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিনও মিনারেল, এমন সমন্বয় আছে যা শরীরে ‘ইমিউনি সিস্টেম’কে উন্নত করে। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুরা নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।
2. মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আশঁ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।
3. মাশরুমের আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন এবং এনটাডেনিন। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে।
4. মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি, যা শিশুদের দাত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত উপকারি।
5. আরও রয়েছে ফলিক এসিড ও লৌহ তাই মাশরুম খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়। এছাড়া লিংকজাই-৮ পদার্থ থাকায় হেপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
6. মাশরুমে আছে বি-ডি গ্লুকেন, ল্যাম্পাট্রোল, টারপিনওয়েড ও বেনজোপাইরিন, যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
7. ট্রাইটারপিন থাকাতে এটি বর্তমান বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
8. এডিনোসিন থাকায় এটি ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধক।
9. স্ফিঙ্গলিপিড এবং ভিটামিন বি-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থ রাখে।
10. মাশরুম খেলে হাইপার টেনশন দূর হয় এবং মেরুদন্ড- দৃঢ় রাখে।
11. মাশরুমে আছে প্রচুর এনজাইম, যা হজম শক্তি ও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
12. মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে নিউক্লিক এসিড এবং এন্টি-এলার্জেন থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি প্রতিরোধক।
13. সালফার সরবরাহকারী এমাইনো এসিড, এটি নিয়মিত খেলে চুল পড়া ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে।
14. বিদেশে মাশরুম ‘ঔষধ, টনিক ও খাদ্য ’ একের ভিতরে তিন হিসেবে পরিচিত।
15. একটি মাত্র খাদ্য থেকে আমরা এতো উপকার পেতে পারি, তাই মাশরুমকে অবহেলা না করে আসুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম রাখার অভ্যাস গড়ে তুলি।
শেষ কথা
তাহলে দেখলেন তো বন্ধুরা মাশরুম খাওয়া কতটা আমাদের উপকার। আর হ্যা মাশরুম কোনো ব্যাঙের ছাতা একদমই নয়। আমার মাও এক কালে বলতেন যে মাশরুম নাকি ব্যাঙের ছাতা জানার পর তার ভুল ভাঙলো। তাহলে আর দেরি কোনো আজি ঘরে এনে রান্না করে নিন বা মাকে বলুন রান্না করতে বা বৌদিকে বলুন রান্না করতে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।