আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের এমন একটি জিনিসের ব্যাপারে বলবো যেটা কম হলে তাও চলে যায় কিন্যু যদি নবেশি হয় তাহলে ও এক মানুষ খালি দৌড়াদৌড়ি করে ,আর সেই জিনিস তা হল কাঁচা লঙ্কা বা কাঁচা মরিচ। প্রতিদিন যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমি বলছি বেশি না দিনে আপনি যদি যার সাথেই হোক সেটা ভাত হোক বা রুটি বা মুড়ি বা অন্য যে কোনো কিছুর সাথে হোক না কেন আপনি একটা কাঁচা মরিচ মানে খেতেই পারেন।তাই আজ আমি আপনাদের বলবো যে – মরিচের উপকার, কাঁচা মরিচ ঝাল কেন, কাঁচা মরিচ খাওয়ার উপকারিতা, মরিচের নাম ইত্যাদি ইত্যাদি।
কাঁচা মরিচ সধারণত খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিনের পান্থা ভাত,সকালের নাস্তা সহ মাছ, মাংস, সবজি যেকোন ঝাল রান্নায় কাঁচা মরিচের তুলনা হয়না। কাঁচা মরিচের ঝালের কারনে অনেকেই একে কাঁচা খেতে সাহস পায় না। তাই সবার মনেই প্রশ্ন জাগে, কাঁচা মরিচ কাঁচা খাওয়া ভালো, নাকি রান্নার সাথে খাওয়া ভালো। এর উত্তর হল, কাঁচা মরিচ কাচা খাওয়া ভালো। ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রায় কাঁচামরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খেলে, তাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুণ।এই সবুজ কাঁচা মরিচে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারি। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।
ঝাল স্বাদের সবজিগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দেখে নিন কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।
কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা
1. গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।
2. প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
3. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
4. কাঁচা মরিচ Green chilli মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
5. প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়,ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
6. কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
7. এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা ত্বক সুন্দর রাখে।
8. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
9. মরিচকে ঝাল বানায় এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।
10. কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
11. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
12. কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
13. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
14. কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ Green Chilli খুবই উপকারী। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।