ডিম খাওয়ার নিয়ম – Egg Nutritional Benefits

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভালো আছেন ? বয়স বারার সাথে সাথে রূপের পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তার সঙ্গে আসে নানা রকমের রোগ। বর্তমান দিনে বদলেছে খাদ্যাভ্যাস। তাই মানুষের শারীরিক অসুস্থতার পরিমানও বেড়েই চলেছে। খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের জন্য আর একটি প্রধান সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেটি হল শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেকে অনেক কিছুই করে থাকি।

খালি পেটে ডিম খেলে কি হয়

জিম করা, ডায়েট করা তো আছেই। তাছাড়াও মর্নিং ওয়াক, অনেকে না খেয়েও সারাদিন কাটিয়ে দেয়। তারা মনে করে না খেয়ে থাকলে বোধহয় সহজে রোগা হওয়া যায়। কিন্তু এটা তাদের সম্পুর্ন ভুল ধারনা। না খেয়ে কখনোই রোগা হওয়া যায়না, বরং শরীর আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। মোটা লোকেদের পক্ষে না খেয়ে থাকা খুব কস্টসাধ্য ব্যাপার।

তবে আর না খেয়ে থাকতে হবেনা। এবার খেয়েই রোগা হতে পারবেন। ডিম প্রায় সকলের প্রিয়। সেই ডিম খেয়েই কমিয়ে ফেলুন নিজের ওজন। ডিমকে সুপার ফুড বলা হয়। ডিমে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেলস।

ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সকলের উচিৎ প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম রাখা। সিদ্ধ ডিম সবথেকে বেশি উপকারী। আসুন তাহলে দেখে নিন ওজন কমাতে এবার থেকে কখন ডিম খাবেন ?

ডিম খেলে কি কি উপকার হয় তা তো জানবেনই।কিন্তু কেন ডিম উপকারী আগে তো সেটা জানতে হবে।ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ডিমকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ বানিয়েছে।একটা ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি মতো।আবার কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো,প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম,ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম।এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম,জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।এইসবই আসলে ডিমের এত পুষ্টিগুণ বাড়িয়েছে।

1. এনার্জির জন্য

কাজ করার জন্য তো আমাদের এনার্জির দরকার হয়ই।ডিম খেলে আমরা সহজেই এই এনার্জি পেতে পারি।ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত আমরা এই এনার্জি বা শক্তি পেয়ে থাকি।ডিমে থাকা ভিটামিন বি আমাদের খাওয়া খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে।তাই প্রতিদিন সকালে ডিমসেদ্ধ খেলে আপনি সারাদিন এনার্জেটিক থাকবেন।

2. চোখের সমস্যা সমাধানে

ডিমে থাকে ভিটামিন এ,যা আমাদের চোখের জন্য বেশ ভালো।আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে ভিটামিন এ।তাছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা,ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।ছানিও কম হওয়ার দিকে থাকে।

3. ক্যানসার প্রতিরোধে

ক্যানসার তো এখন প্রায় মহামারী হয়ে গেছে।ঘরে ঘরেই প্রায় এই রোগ।আর এই রোগের চিকিৎসাও এত ব্যয়বহুল যে তা অনেকের সাধ্যের বাইরে।তাই খুব ভালো হয় না যদি ডিম খেয়েই আমরা এই সম্ভাবনা কমাতে পারি!ডিমে থাকা ভিটামিন ই আমাদের কোষে আর ত্বকে থাকা ফ্রি র‍্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়।তাই ক্যানসার কম হয়।এছাড়াও নতুন কোষ তৈরি হতেও সাহায্য করে থাকে।অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে নিয়মিত ডিম খেলে,যেমন সপ্তাহে ৬টি করে,তাহলে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

4. পেশীর ব্যথা কমাতে

আজকাল শুধু বয়স হলেই নয়,কম বয়সেই অনেকের পেশীতে ব্যথা হতে থাকে।পেশীর জন্য খুব উপকারী ভিটামিন ডি,যা খুব বেশী পরিমাণে ডিমে পাই আমরা।তাই ডিম খেলে আমাদের পেশী মজবুত হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তাই ডিম খেতে বলা হয়।

আরও পড়ুন – ওজন কমানোর খাবার তালিকা – Food To Loose Weight

রবিবার

ব্রেকফাস্টে খান ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম। লাঞ্চেও ফল, আর ডিনারে স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন।

সোমবারে

খান ব্রেকফাস্টে একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ, লাঞ্চে ফল, পাউরুটি, ডিনারে স্যালাড, গ্রিলড চিকেন।

মঙ্গলবারের

ব্রেকফাস্ট একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ, লাঞ্চে গ্রিন স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন, ডিনারে দুটো সেদ্ধ ডিম, স্যালাড ও কমলালেবু।

বুধবারে

ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন একটা ফল, ২ টো ডিম সেদ্ধ, লাঞ্চে চিজ, টমাটো, পাউরুটি, ডিনারে স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন।

বৃহস্পতিবার

ব্রেকফাস্টে ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম। লাঞ্চে ফল। ডিনারে রুটি।

আরও পড়ুন – মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় -Tips To Loose Weight In Bengali

শুক্রবারে

খান ব্রেকফাস্টে ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম। লাঞ্চে ফল। ডিনারে স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন।

শনিবার

ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন ফল। লাঞ্চে এক কাপ ভাত, দুটো ডিম সেদ্ধ, একটু মাখন। ডিনারে স্যালাড ও গ্রিলড চিকেন।

ডিম আমাদের প্রতিদিন খাওয়া দরকার। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে দুটো করে ডিম খাওয়া দরকার। যারা ভাবে ডিম খেলে মোটা হয়ে যায় তাদের ধারনা ভুল। ডিম অনেক্ষুন পেট ভর্তি রাখে। ঘন ঘন খিদে পায়না। আর ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে।