হলুদের উপকারিতা

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা কম বেশি হলুদ আমরা সবাই খাই। রান্নায় হলুদ না হলে রান্না হয়না সেটাও আমরা সবাই জানি। আজ আপনাদের এই যে কোনো রান্নার অন্যতম সৈনিক সেই হলুদের ব্যাপারে আপনাদের জানাবো। আর বলবো যে – কাঁচা হলুদের উপকারিতা ও অপকারিতা, হলুদের গুড়ার উপকারিতা, চুন হলুদের উপকারিতা, কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম কি, হলুদ পাতার উপকারিতা, ত্বকের জন্য হলুদের উপকারিতা, হলুদ বেশি খেলে কি হয়, কাঁচা হলুদের রুপচর্চা ইত্যাদি ইত্যাদি।

যেকোনো ধরণের রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাবার জন্য হলুদের কোনো তুলনা হয় না। বহু বছর ধরে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে হলুদ। ঠাণ্ডা, কাশি কিংবা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে হলুদের মধ্যে।

অনেক চিকিত্‍সকদের মতে, দীর্ঘস্থায়ী নানা সংক্রামক রোগ রোধ করতে হলুদ ওষুধের মতো কাজ করে। তাই সংক্রামক রোগ ও বাতের অসুখে হলুদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। চলুন জেনে নেই হলুদ আমাদের কি কি উপকার আছে ।

1. চর্ম রোগ প্রতিরোধকারী

বন্ধুরা যেকোনো ধরণের চর্ম রোগের জন্য হলুদ অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে অ্যালার্জি, র‍্যাশ ও চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

2. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ 

কাঁচা হলুদ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যও করে। দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

3. ফাটা দাগ দূর করে 

গর্ভকালীন সময়ের স্ট্রেচ মার্ক বা ত্বকের মোটা হয়ে যাওয়ার ফাটা দাগে বেসন, কাঁচা হলুদ মিশিয়ে লাগালে ধীরে ধীরে দাগ কমে যাবে।হলুদ একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। কাঁটা এবং পোড়া জায়গায় হলুদ বাটা লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে রক্ত বন্ধ করা যায় এবং ব্যথা ও দাগ দূর হয়।

5. ওজন কমায় 

হলুদ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি হলুদ খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

6. ত্বকের যত্নে 

ত্বকের যত্নে কেমিক্যালযুক্ত ক্লিনজিং ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে মুখ পরিষ্কার রাখে হলুদ। দুই চা-চামচ দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে তুলা ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরণের উপটানের সাথে হলুদ গুঁড়া ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে মুখে সরাসরি হলুদ লাগাবেন না।

7. ক্যান্সার প্রতিরোধক 

হলুদ শরীরে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এটি মুখগহ্বর, স্তন এবং অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময় ও প্রতিরোধ করে।

8. সর্দি কাশি দূর করে 

ঠাণ্ডা জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে হলুদ খুব ভালো কাজ দেয়। সর্দি বা কাশি কমাতে হলে মধুর সাথে হলুদের রস মিসিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া এক গ্লাস গরম জল কিংবা দুধের মধ্যে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। এতে কাশি ও গলা ব্যথা উভয়েই দূর হবে।