মুগ ডালের পুষ্টি উপাদান
মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি। মসুর ডাল সহজপাচ্য এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক।পুষ্টিমাণ খাবারযোগ্য অনুযায়ী প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালের পুষ্টিমাণ নিম্নে দেওয়া হল –
1. জলীয় অংশঃ ১২.৪ গ্রাম
2. খনিজ পদার্থঃ ২.১ গ্রাম
3. আঁশঃ ০.৭ গ্রাম
4. খাদ্য শক্তি ৩৪৩ কিলো ক্যালরি
5. আমিষঃ ২৫.১ গ্রাম
6. চর্বিঃ ০.৭ গ্রাম
7. ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম
8. লোহঃ ৪.৮ মিলিগ্রাম
10. ভিটামিন বি-২ঃ ০ ৪৯ মিলিগ্রাম
11. শর্করাঃ ৫৯.০ গ্রাম
মসুর ডালের ক্যালরি
খাদ্য শক্তি ৩৪৩ কিলো ক্যালরি
মসুর ডাল ইংরেজি কি
মসুর ডাল আমাদের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য। এর ইংরেজি নাম Red lentil।
মসুর ডাল গাছ
মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক
আমাদের প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদার অনেকটায় পূরণ করতে পারে ডাল। স্বাদে অসাধারন ও দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় ডাল নিত্যদিনের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে বহুল হারে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদেনের আমিষের প্রায় ২০ থেকে ২৫ ভাগ চাহিদা পূরণে সক্ষম এই ডাল এদেশের মাত্র ৫-৭ শতাংশ কৃষিজমিতেই চাষ হয়ে থাকে, যার ফলে চাহিদা মেটাতে নিতে হয় আমদানির সাহায্য। প্রতি বছর ২ হাজার কোটি টাকার ডাল আমদানি হয় ভারত, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও নেপাল থেকে। ডালের এমন ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে একজাতীয় অসাধু ব্যবসায়ী ডালে মেশাচ্ছে রাসায়নিক দ্রব্য ও রঙ, ওজন বৃদ্ধির জন্য জল মিশিয়ে বিক্রি করছে ভেজা ডাল। কাপড়ের ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে কলাইয়ের ডালকে বানানো হচ্ছে মুগ ডাল আর কেজিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি বিক্রির আশায় কলাইয়ের ডালকে মেশিনের সাহায্যে ছোট করে তাতে রাসায়নিক পদার্থ, ক্ষতিকর রঙ, হদুল ও তেল মিশিয়ে তাকে মুগ ডালে পরিণত করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ টন ভেজাল ডাল বিক্রি হয় বাজারে, যা মোট চাহিদার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ। এছাড়াও গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত এ্যাঙ্কার ডাল নির্বিচারে মেশানো হচ্ছে ডালের সাথে যা মানবদেহের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। মসুর ডালের সাথে এ ডালের কিছু সাদৃশ্য থাকায় ব্যাপারীরা তার সুযোগ নিয়ে মিশিয়ে দিচ্ছে এই গরুর খাবারটি মানুষের খাবারের সাথে।