চুল পড়া রোধ করার উপায় – Hair Fall Solution Tips in Bangla

প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর পর যখন চিরুনির দিকে তাকান তখন প্রায়ই বুক কেঁপে ওঠে, তাই না? চুল পড়ে যাওয়ার এমন কষ্টে আছেন অনেকেই যারা অনেক কিছু চেষ্টা করেও চুল পড়া কমাতে পারছেন না। তাই বলে তো বসে থাকলে চলবে না। বর্তমান সময়ে চুলের সমস্যায় কম বেশি আমরা প্রত্যেকে ভুগি। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা এখন প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে।দামী শ্যাম্পু হোক বা অন্য কোনো  উপায় চুলের সমস্যার সমাধান ঠিক যেন আর হতেই চায় না।প্রতিদিন এক’শ টা চুল পড়া নাকি স্বাভাবিক। কিন্তু কে আর গুনে রাখে। তবে এটা ঠিক, চুল সবার-ই পড়ে, কারও কম-কারও বেশি। এই চুল পড়া সমস্যা থেকে বাচাঁর জন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কী কারণে আপনার চুল পড়ছে। কারণটা খুজে বের করে, তারপর সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তখন আপনা-আপনিই চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। নানা কারণে আমাদের মাথার চুল পড়ে থাকে। যেমন- চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে, স্ট্রেচ-টেনশনে থাকলে, চুলে খুশকি হলে, বড় কোন অসুখে ভুগলে। আর যেকোনো কারণেই চুল পড়ুক না কেন কিছু নিয়ম মেনে চললে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। তাহলে চলুন আজকের আমাদের প্রধান বিষয় হল যে  চুল পড়া রোধ করার উপায় কি , আর কিভাবেই আরও নতুন চুল বা চুলের গোছ আনতেপাড়া যায়। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পরে যাওয়ার থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় নিজে হাজির। খুবই সাধারণ কিছু উপকরণ যা প্রত্যেকের বাড়িতে থাকে, সেই উপকরণ দিয়ে যে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা জানাবো।জেনে নিন চুল পড়া কমানোর প্রাকৃতিক উপায় কিছু উপায়।

চুল পড়া রোধ করার উপায় ও নিয়ম 

  •  সপ্তাহে একদিন অন্তত ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ অলিব অয়েল মিশিয়ে পুরো চুলে লাগান। এক ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে নিন।
  • নারিকেল তেলের সাথে দারুচিনি গুড়া করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া বন্ধ হয়।
  • ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে চুল আচড়ে নেবেন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন হয়ে থাকে।
  •  আমলকি ও জবাফুল নারকেল তেলে ফুটিয়ে বোতলে ভরে রাখুন। শ্যাম্পু করার আগে ওই তেলে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করেন।
  •  সবুজ সাকসবজি ফলমূল বেশি খান।
  • বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার ও প্রচুর জল পান করুন।

চুল পড়া রোধ করার আরও ভিন্ন পদ্ধতি 

  • দুটি পদ্ধতির কথা বলবো আমি যা উপকারী—- চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্ক্যাল্পে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ নিতে পারেন। যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ভাইব্রেট করুন। ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে ৩ বার করতে হবে।
  • আরেকটি পদ্ধতি হল মেডিকেশন । চুলের জন্য ওষুধ। অনেক গবেষণার পর ফেনাস্টেরাইড আর মিনোক্সিডিল নামের দুটো ওষুধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি ওষুধের-ই সাইড ইফেক্ট আছে। মিনোক্সিডিল এর দুইটা কনসেনট্রেশন পাওয়া যায়। ২% আর ৫%। ২% মিনোক্সিডিল মেয়েদের জন্য আর ৫% মিনোক্সিডিল ছেলেদের জন্য। এটা বাজারে জেনোগ্রো নামে পাওয়া যায়। স্প্রে করে মাথার স্ক্যাল্পে দিতে হয়।

খাদ্যাভ্যাস

প্রোটিন:- 

পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।

আয়রন আর জিঙ্ক

আয়রন আর জিঙ্ক আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান।

 ভিটামিন সি

পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।

কালোজিরা

কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।এই পদ্ধতি ছাড়াও আপনাকে খাদ্যাভ্যাস আর কিছু সাধারণ যত্ন নিতে হবে।

জেনে নেবো আরও কি কি কারণে চুল পরে 

কী কী কারণে চুল পড়ে অ্যান্ড্রোজেনের কারণে চুল পড়া: অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি হরমোনগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি ও মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এ হরমোনগুলো হেয়ার ফলিকলের ওপর কাজ করে ও চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি পড়ে। তবে সবারই যে পড়বে তা নয়, যাদের এসব হরমোনের প্রভাব বেশি তাদের বেশি করে চুল পড়ে। পুরুষের চুল পড়া বা টাক পড়া সাধারণত ২০ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। এটিকে বলে মেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস বা পুরুষালি টাক। অর্থাৎ কপাল থেকে শুরু করে পেছন দিকে চুল উঠতে থাকে। মহিলাদের মেনোপজের সময় ও পরে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনগুলো আনুপাতিক হারে বেড়ে যায়, তখন চুল বেশি করে পড়তে শুরু করে। তবে এ ক্ষেত্রে ফিমেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস হয়ে থাকে। শুধু কপালের দিক থেকে নয়, চুল পড়া শুরু হয় পুরো মাথা থেকেই। ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্ব কমে যায়। অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনই মেয়েদের চুল পড়া ও ছেলেদের টাকের সবচেয়ে বড় কারণ। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ: দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। তবে দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে।দৈনিক ১০০টা পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি পড়লে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। বালিশ, তোয়ালে বা চিরুনিতে লেগে থাকা চুল গুনতে চেষ্টা করুন। অন্তত পরপর তিন দিন। অথবা অল্প এক গোছা চুল হাতে নিয়ে হালকা টান দিন। যদি গোছার চার ভাগের এক ভাগ চুলই উঠে আসে তবে তা চিন্তার বিষয়। চিকিৎসা ওষুধের মাধ্যমে: বাজারে চুল পড়া রোধের জন্য মিনোক্সিডিল নামের ওষুধ পাওয়া যায়। এটি যেখান থেকে চুল পড়ছে সেখানে লাগাতে হবে। এটি নারী ও পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাজ না হলে অন্য চিকিৎসা নিতে হবে। লেজার থেরাপি এলএইচটি: লেজার থেরাপি হেয়ার ফলিকলগুলোকে আবার সজীব করে। এমনিতে প্রতিদিনই চুল পড়ে ও নতুন চুল গজায়। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বা অন্য কোনো অসুস্থতার ফলে যে পরিমাণ চুল পড়ে যায়, সেই পরিমাণ গজায় না। লেজার থেরাপি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় ও ফলিকলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে।

জেনে নেবো আরও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি 

নিম পাতা 

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিম খুশকি দূর করার জন্য খুবই উপযোগী। এটি স্ক্যাল্পের নিচের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। ফলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে এবং চুল লম্বা হয়। একটি পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে কিছু নিম পাতা দিয়েফুটিয়ে নিন ।জল ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে পাত্রটি নামিয়ে রেখে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠাণ্ডা হলে এই মিশ্রণটি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

আমলকি

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমলকি চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রস্তুত করতে সাহায্য করে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আয়রন শোষণেও সাহায্য করে যা চুলকে শক্ত ও মজবুত রাখে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। কয়েকটি শুকনা আমলকি নারকেল তেলের মধ্যে দিয়ে গরম করুন। তেলের রং কাল হয়ে আসলে তেলটি নামিয়ে ঠাণ্ডা করে মাথায় মাসাজ করুন। ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

গরম তেল মাসাজ

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যে কোন তেল (নারকেল, অ্যালমন্ড, সরিষার তেল ইত্যাদি) হালকা গরম করে মাথায় মাসাজ করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই মাসাজের পূর্ণ উপকার পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেল দিয়ে মাথা মাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

আলুর রস

আলুর মধ্যে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, কপার এবং নায়াসিন যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব পূরণ করে। ফলে চুলের শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া কমে আসে। পরিষ্কার কিছু আলু পিষে এর রস সরাসরি স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রেখে শুকিয়ে পর্যাপ্ত জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধ

ফ্যাট এবং প্রোটিন চুলের পুনর্গঠন করে, এবং চুল পাতলা হওয়া এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন পাওয়া যায়। নারকেলের দুধ মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

পিঁয়াজের রস

পিঁয়াজে রয়েছে উচ্চ মানের সালফার, যা চুলের গ্রন্থিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান বহন করে, যা জীবাণু এবং পরজীবী ধ্বংস করে দেয়। কয়েকটি পিঁয়াজ পিষে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।

চুল পড়া রোধ করার কিছু ঘরোয়া প্যাক 

 পাকা কলার হেয়ার প্যাক

কলা যে চুলের জন্য খুবই কার্যকরী তা অনেকেরই জানা নেই। চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলের রুক্ষতা দূর করতে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।মাঝারী সাইজের পাকা কলা একটা, আর মধু নিন মাঝারী সাইজের একটি পাকা কলা নিন। কলাটাকে ভালো করে পেস্ট করুন। সাথে ২ চামচ মধু মেশান। রেডি আপনার প্যাক। এবার ভালো করে প্যাকটি চুলে ও মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট রাখার পর শ্যাম্পু করে নিন। এই প্যাকটি চুলের আগা ভাঙ্গা ও রুক্ষতা দূর করে। সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। চুল সুন্দর ও মজবুত হবে।

 আলুর হেয়ার প্যাক

আলু চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। কি ভাবছেন মজা করছি! না তাহলে ভুল ভাবছেন। সত্যি আলু চুলের জন্য ভীষণ উপকারি। আলু ৪ থেকে ৬ টা, ডিমের কুসুম একটা, মধু, ও অল্প জল।

আলু ভালো করে পিষে রস বের করে নিন। এবার তাতে ডিমের কুসুম , ১ চামচ মধু ও অল্প জল মিশিয়ে নিন। প্যাক রেডি। চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে একদিন করে করুন এই উপায়ের ব্যবহার। দেখবেন চুল পড়া কমে গিয়েছে।

 রসুনের হেয়ার প্যাক 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া কমানোর সহজ ও কার্যকরী উপায় হল রসুনের প্যাক। ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন, নারকোল তেল। একটি বাটিতে নারকোল তেল নিন। তাতে রসুন বাটা মেশান। মিশ্রণটি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা হলে মাথার ত্বকে ও সারা চুলে মিশ্রণটি লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিন । সবচেয়ে ভালো হয় যদি রাতে মেখে সকালে মাথা ধুয়ে নেওয়া যায়। । সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করুন। ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন।

গ্রীনটি হেয়ার প্যাক

গ্রীনটিতে থাকে প্রচুর গুনাগুণ। চুলের জন্য খুবই উপকারি। হালকা গ্রীনটি সারা মাথায় লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক বসে থাকুন। চুল শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। গ্রীনটিতে অ্যাণ্টি অক্সসিডেণ্ট থাকে। অ্যাণ্টি অক্সসিডেণ্ট চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন।

 ডিমের হেয়ার প্যাক চুলের জন্য

ডিম পুষ্টিকর সবাই জানি। ডিম চুলের জন্য পুষ্টিকর। ১ টা ডিম, মধু, টকদই। একটা ডিম নিয়ে তাতে ২ চামচ মধু ও অল্প দই মিশিয়ে নিন ভালো করে। এরপর মিশ্রণটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে  শুকনো পর্যন্ত। ৩০ মিনিট ধরে নিন শুকোতে সময় লাগবে। সপ্তাহে একবার করে করতে পারেন।

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে আবারো বলছি চুল থাকলে চুল একটু আধটু পড়বেই তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে একটা কথা সত্যি যে দিনে যদি ১০০ তার মতো চুল পরে তাতে ক্ষতি নেই। কথা হচ্ছে  যাতে করে বেশি চুল না পরে বা চুল পরে পরে আপনি ত্বকের পর্যায়ে চলে যাচ্ছেন  ঠিক তখনি আপনাকে চুলের  যত্ন নিতে হবে। তার জন্য ওপরের বেশ কতগুলো টোটকাই বা টিপস বলুন সেগুলো ভালো করে অনুসরণ করলেই আশা করা যায় আপনি ভালো হয়ে যাবেন বা আপনার চুল পরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

লেখক – শান্তনু পাল