চুল পড়া বন্ধের উপায় – Hair Tips In Bangla

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ chalokolkata তে স্বাগতম। হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো আশা করি সকলেই ভালো আছো। আমি  সব সময় চেষ্টা করে থাকি আপনাদের প্রতি নিয়ত চাহিদা বা জানকারী দেবার। আপনাদের যদি কোনো রকম অন্য কিছু বিষয়ে জানার থাকে যে কোনো বিষয়ে …তাহলে আমাকে কমেন্ট বক্স এ জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমি যথাসাদ্ধ চেষ্টা করবো আপনাদের সাহায্য করার।

 কি চুল নিয়ে সমস্যা ?চুলের গোড়া ফেটে যাচ্ছে ? চুল পরে যাচ্ছে ? চুলের যত্ন নিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান পেতে প্রথম থেকে শেষ অবদি পড়তে হবে। কথা দিচ্ছি সমস্যার সোম আধান হবেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে যেই চুলে হাত দিলেন অমনি দেখলেন যে হাতে উঠে এল একগোছা চুল। আর এর জন্যই সারাদিন আপনার মন খারাপ হয়ে থাকবে। আপনি ভাববেন যে আপনি চুলে নিয়মিত তেল দেন, প্যাক ব্যবহার করেন, তাও কেন চুল পড়ছে। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুলের যত্ন নেন তো? কি, আঁতকে উঠলেন! হ্যাঁ, শুতে যাওয়ার আগেও আপনাকে চুলের সমান যত্ন নিতে হবে কারণ আপনি জানেনও না, ঘুমের সময়ও আপনার চুল ভেঙে যেতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেল পড়ুন আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন। এর সাথে  আমরা জানবো যে –  চুল পড়া বন্ধের দোয়া, চুল পড়া রোধে প্রাকৃতিক উপায়, অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, মেয়েদের চুল পড়া রোধের উপায়, চুল পড়া রোধে ঔষধ, চুল পড়া রোধে শ্যাম্পু, চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু, চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম ইত্যাদি ইত্যাদি।

1. চুল শুকিয়ে নিন

মনে রাখবেন, আপনার চুল যখন ভিজে অবস্থায় থাকে তখন তা নরম থাকে। আর নরম চুল ভেঙে যাওয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি। তাই আপনি ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার চুল শুকিয়ে নিন। তারপর ঘুমোতে যান। এতে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।

2. চুল বেঁধে ঘুমোবেন না

আমাদের অনেকেরই অভ্যেস চুল বেঁধে ঘুমোতে যাওয়া। অনেকে বলেন এভাবে ঘুমোলেই নাকি চুল ভাল থাকে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। আর উপরের দিকে চুল বেঁধে তো কখনই ঘুমোবেন না। চুল খুলে নিচের দিকে রেখে তারপর ঘুমোন। যদি একান্তই বাঁধতে হয়, তাহলে একটা হাল্কা করে নিচের দিকে বেঁধে তারপরে ঘুমোন। কিন্তু চেষ্টা করুন চুল খুলে নিচের দিকে করে ঘুমনোর।

3. সিল্কের বালিশের কভার নিন

আপনার চুল রাতে ঘুমনোর সময়ে ভাঙতে পারে শক্ত কিছুর সঙ্গে বারবার ঘষা লাগলে। আর ঘুমনোর সময়ে আপনার চুল সরাসরি সংস্পর্শে আসে বালিশের। তাই বালিশ আর বালিশের কভার দুটোই নরম হওয়া প্রয়োজন। আপনি সে দিক থেকে সিল্কের কভার বা সাটিনের কভার দেখতে পারেন। এই দুটোই আপনার চুলের জন্য বেশ উপকারী হবে।

4. স্ক্রানচি ব্যবহার করুন

আগেই বলেছি যে ঘুমনোর আগে চুল বাঁধা ঠিক নয়। কিন্তু তাও অনেকের অভ্যেস থাকে চুল বেঁধে ঘুমনোর। চুল খুলে রাখলে ঘুমতে অসুবিধে হয় কারণ অনেক সময়ে মুখে চুল এসে লাগে। সেক্ষেত্রে বলব, শক্ত গার্ডার ব্যবহার করবেন না। তার বদলে নরম হেয়ার স্ক্রানচি ব্যবহার করুন। এতে চুল ভাঙার সম্ভাবনা অনেক কমবে।

যদি আপনি চান আপনার চুল আপনার মুখে না লাগুক, আর আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন, তাহলে আপনি সিল্কের একটা স্কার্ফ দিয়ে আপনার চুল মুড়িয়ে নিন। এতে দেখবেন আপনার ঘুমোতেও বেশ আরামদায়ক লাগছে। আর আলাদা করে আপনার চুল বাঁধতেও হচ্ছে না। তাই স্কার্ফ ব্যবহার করলে একসঙ্গে অনেক উপকারই পাওয়া যাবে।

5. চুল আঁচড়ে ঘুমোন

আপনি হয়ত খেয়াল না করেই রাতে ঘুমোতে চলে যান চুল এমনিই খোলা রেখে। সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। চুল এলোমেলো হয়ে থাকলে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আপনি তাই চুল আঁচড়ে এক জায়গায় চুল এনে তারপর ঘুমোতে যান। দেখবেন চুল এতে খুব ভাল থাকবে।

6. সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করুন

যদি আপনি চান আপনার চুল আপনার মুখে না লাগুক, আর আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন, তাহলে আপনি সিল্কের একটা স্কার্ফ দিয়ে আপনার চুল মুড়িয়ে নিন। এতে দেখবেন আপনার ঘুমোতেও বেশ আরামদায়ক লাগছে। আর আলাদা করে আপনার চুল বাঁধতেও হচ্ছে না। তাই স্কার্ফ ব্যবহার করলে একসঙ্গে অনেক উপকারই পাওয়া যাবে।

7. তেল মেখে ঘুমোন

শুষ্ক চুলই সবচেয়ে বেশি ভেঙে যায়। তাই চুলকে কখনই রুক্ষ হতে দেওয়া চলবে না। আপনি যদি আপনার চুলকে সুন্দর দেখতে চান তাহলে একে হাইড্রেটেড রাখুন। আর চুলকে হাইড্রেটেড রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে আপনার চুলে ভাল করে তেল লাগান। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই তেল চুলে লাগিয়ে নিন আর সকালে শ্যাম্পু করে নিন। এটা চুলকে একই সঙ্গে কন্ডিশনিংও করবে, আবার নরমও রাখবে। তাই চুল ভাঙবে কম।

শেষ কথা 

তাহলে বন্ধুরা, পুরোটা ভালো করে পড়লেন তো নাকি ? নাকি ওপরের একটু আর নিচের একটু পরেই হয়ে গেলো। পুরোটা পড়ুন আর সেভ করে রাখুন। আর স্টেপ গুলো এক এক করে মানতে শুরু করুন দেখবেন কিছু দিনের মধ্যেই আপনি মজা পাবেন। এবার আর চুল নিয়ে বা চুল ভেঙে যাওয়া নিয়ে নিশ্চয়ই আর কোনও চিন্তা নেই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।