বসন্তের status – বসন্তের sms

বসন্ত এসে গেছে

আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা
কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে

মধুর অমৃত বাণী, বেলা গেল সহজেই
মরমে উঠিল বাজি; বসন্ত এসে গেছে

থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে
মথা নত করে রব, বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে।।

গগনের নবনীলে মনের গোপনে
বাজে ঐ, বাজে ঐ, বাজে ঐ

পলাশের নেশা মাখি চলেছি দু’জনে
বাসনার রঙে মিশি শ্যামলে স্বপনে

কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান
বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে

পূর্ণিমা রাতে ঐ ছোটছুটি করে কারা!
দখিনা পবনে দোলে, বসন্ত এসে গেছে

কেমনে গাঁথিব মালা, কেমনে বাজিবে বেণু
আবেগে কাঁপিছে আঁখি, বসন্ত এসে গেছে

থাক তব ভুবনের ধুলিমাখা চরণে
মথা নত করে রব, বসন্ত এসে গেছে
বসন্ত এসে গেছে।।
বসন্ত এসে গেছে, বসন্ত এসে গেছে

এই বসন্তে অনেক জন্ম আগে
তোমায় প্রথম দেখেছিলেম আমি

হেঁটেছিলেম নিরুদ্দেশের পানে
সেই বসন্ত এখন ভীষণ দামী

আমার কাছে, তোমার কাছে, আমার কাছে
বসন্ত এসে গেছে।।

 

বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন এবং চৈত্র মাস মিলে হয় বসন্ত ঋতু। বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে শীত চলে যাবার পর এবং গ্রীষ্ম আসার আগে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় তাপমাত্রা বাড়তে থাকে কারণ পৃথিবী সূর্যের দিকে হেলে থাকে। পৃথিবীর অনেক প্রান্তে এই ঋতুতে ফুল ফুটে, নতুন গাছের পাতা গজায়, নতুন গাছের জন্ম হয়। এই সময় অনেক পশুপাখি মিলন ঘটায় এবং বাচ্চার জন্ম দেয়। আবার পৃথিবীর অনেক জায়গায় এই সময় বৃষ্টিও হয়। এর ফলে গাছপালা বেড়ে উঠে, ফুল ও ফলের পরবর্তী বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।’ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।’ ফুল ফোটার পুলকিত এই দিনে বন-বনান্তে, কাননে কাননে পারিজাতের রঙের কোলাহলে ভরে উঠছে চারদিক। আজ বৃহস্পতিবার। পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার দিন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা/ এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো…।’ বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ফাল্গুন ও চৈত্র দু’মাস বসন্তকাল। এ ঋতুতে শীতের শুষ্কতায় বিবর্ণ প্রকৃতি ফিরে পায় প্রাণ। গাছে গাছে দেখা দেয় কচি পাতা। দক্ষিণা হাওয়ায় মাতিয়ে তোলে চারিদিক। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে সব গাছ। কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, মালতী, মাধবী, বকুল, শিমুল, পলাশসহ নানা জাতের ফুল ফোটে। আমের মুকুলের সৌরভে ম ম করে আকাশ বাতাস। আর এই আগুন লাগা ফাগুনেই গাছে গাছে সুললিত কণ্ঠে প্রিয়াকে ডেকে আকুল হয় কোকিল। বসন্তকে বরণ করার প্রধান অনুষঙ্গ ফুল। পহেলা ফাল্গুনের দিন তরুণীরা চুলে খোপা বেঁধে কেউ বেনী করে ফুলের মালা, ফুল দিয়ে জড়িয়ে ঘুরতে বের হয়। এজন্য দেশের বৃহত্তম ফুলের বাজার শাহবাগ, কাঁটাবনসহ রাজধানীর ফুলের দোকানগুলোতে ওঠে ব্যবসা। গাঁদা, রজনীগন্ধা, বেলী ও গোলাপের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। পহেলা ফাল্গুন বা বসন্তের প্রথম দিনে বাঙালি নারীরা বাসন্তী বা হলুদ রঙের শাড়ি পরে তাজা ফুলের অলংকার ব্যবহার করে ঢাকা শহরে বের হয়।

এ মাসে একুশে গ্রন্থমেলা হওয়ার কারণে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ বসন্তের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, টিএসসি, চারুকলাসহ পুরো শাহবাগ এলাকাতেই অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ,তরুণ-তরুণীরা বসন্তে উৎসবে মেতে ওঠে। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। কচিপাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগবে দোলা। বিপুল তরঙ্গ প্রাণে আন্দোলিত হবে বাঙ্গালি মন। বাঙালি জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। এ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। বসন্তেই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল। তাই কেবল প্রকৃতি আর মনে নয়, বাঙালির জাতীয় ইতিহাসেও বসন্ত আসে এক বিশেষ মাহাত্ম্য নিয়ে। বসন্ত হয়ে উঠেছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক অনন্য উৎসব। ফাগুনের প্রথম দিনে বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে পথে নামে তন্বী-তরুণীরা। নতুন ফুলে খোঁপা সাজায়। অসংখ্য রমণীর বাসন্তী রঙে রঙিন হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ, পার্ক, একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশোভিত সবুজ চত্বরসহ পুরো রাজধানী। তরুণরাও আজ পরবে বাসন্তী রঙের পোশাক। প্রকৃতির ছোঁয়া নিতে তারাও বেরিয়ে পড়বে। বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিণত হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মিলনমেলায়। একে অন্যের হাতে তুলে দেবে প্রিয় কোনো কবির কবিতার বই কিংবা ভালোবাসার গল্প। অসাম্প্রদায়িক উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়বে সারা শহরে।

1. আগুন ভরা আকাশ. গরম গরম বাতাস
ছিরবিরানি গা.. গরম কমে না.. কলসি কলসি জল..
মাথায় দিবি কত বল.. এইতো সবে শুরু..
ভালো থেকো গুরু..শুভ বসন্ত

2.শীত গেলো গরম এল,
পুকুরের জল ময়লা হল।
গরমের এখনো নুতন রুপ,
নদীতে দিতে হবে ডুপ।
ওরে আমার বন্ধু গন,
তোমাদের গরমের নিমন্ত্রণ। শুভ বসন্ত

3.একটি কবিতা..
একটি পলাশ..
একটি কোকিল..
তুমি আর আমি..
সব মিলিয়ে আজ..শুভ বসন্ত

4.বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর,
গ্রীষ্মের আগমনে রোদেলা দুপুর।
বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুল,
এই দুপুরে তোমাকে দেখতে মন হলো বেকুল।শুভ বসন্ত

5.হে বসন্ত,
খনিকের মায়ায় যাসনে তুই চলে..
যদিও যাবি,
যাস তুই আমায় একটু বলে।
যাবার সময়,
দিস আমায় তোর রঙের একটু খানি ছোয়া।
দিবি কি আমায়??
আমি এই অল্প খানি চাই,
সারাজীবন থাকবো আমি তোরই অপেক্ষায়। শুভ বসন্ত

6.গাছে গাছে নতুন পাতা..
ফুল ফুটছে বেশ।
সব পাখির মন খারাপ..
শিতের হল শেষ।
নতুন রুপে,নতুন সাঁঝে..
নিভাবে মনের আগুন।
তাইতো আজ প্রকৃতি জুড়ে।।
বসন্তের ফাগুন। শুভ বসন্ত

7.ফুল ফুটলো রাশি রাশি,
উদাস মনটা বেজাই খুশি।
বসন্তের আগমনে,
ফুল ফুটেছে সব বাগানে।
তাই কোকিল গান করে,মনের টানে। শুভ বসন্ত

8.ফুলের রানি,রূপের রানি,
কোথায় তুমি যাও ?
তোমার সাথে সঙ্গী করে..
আমায় নিয়ে যাও।
কি সুন্দর হাসি তোমার..
মায়াবীতে ভরা…
তোমায় পেলে সত্যি আমি..
হব দিশে হারা,, শুভ বসন্ত

9.প্রকৃতি সেজেছে আজ অপরূপ সাজে,
মনের মাঝে একি সুর বাজে।
শিমুলের বনে আজ লেগেছে আগুন,
আজ কি তবে আবার এসেছে ফাগুন? শুভ বসন্ত

10.আমি চলে যাচ্ছি…
৫ মাস আর হয়তো দেখা হবে না…
যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিও …শুভ বসন্ত

11.বর্ষা আসে কান্না নিয়ে
জৈষ্ঠ্য আসে হেসে,
ভাদ্র আসে গরম নিয়ে,
পৌষ আসে কেঁপে। শুভ বসন্ত