চুমু খাওয়া, চুমু খাওয়ার উপকারিতা – Benefits Of Kissing

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে বা আপনাদের পাশে থাকতে। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের কাছেএমন একটা জিনিসের ব্যাপারে আলোচনা করবো সেটা আমি জানি আপনাদের অনেকটাই ভালো লাগবে।আজকে আমি আমাদের সবার প্রিয় চুমু নিয়ে কথা বলবো আর আমরা জন্য যে চুম্বনের উপকারিতা, চুমুর উপকারিতা, কিস করার উপকারিতা। চলো তাহলে শুরু করা যাক।

চুমু খাওয়া শুধু আপনার আকর্ষণবোধ কিংবা আগ্রহই প্রকাশ করে না, বেশি করে চুমু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ও আপনার সঙ্গী থাকতে পারেন সুস্থ ও সবল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে শুধু মানসিক বিষয়ই নয়, ব্যাপক মাত্রায় শারীরিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত চুমু।

ফিটনেস এক্সপার্ট প্রাচী আগারওয়াল বলেন, ‘শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃস্বরণ করে। যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করে এবং আপনার শারীরিক মাপ ঠিক রাখে। এ ছাড়াও চুমু আপনার হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো এবং এটা আপনার দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।’

জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন, আবার নিয়মিত ডায়েটও করছেন। তবে সে সবই তো কষ্টের কাজ। কেমন হত, যদি মেদ ঝরত কোনো ভাললাগার কাজে। হ্যাঁ দিনে বারবার নিয়ম করে চুমু খেলে এমনটাই ঘটতে পারে। আর শুধু ওজন কমানোই কেন, আরও নানা উপকার হয় চুমু খেলে।আমরা দেখে নেবো যে কারণে আপনার বেশি করে চুমু খাওয়া উচিত তাই এক নজরে সেগুলো দেখে নেয়া যাক।

মুখমণ্ডলের রক্তচলাচল বাড়ে

চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির নড়াচড়া হয়। ফলে মুখমণ্ডলের রক্তচলাচল বাড়ে। তাই ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখায়।

ক্যালোরি ক্ষয় হয়

২ মিনিট একটানা চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। আপনি যদি মনে করেন, শুধু জিম করা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় করা যাবে, তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খাওয়া হলে প্রতি মিনিটে মাত্রাভেদে এক থেকে দুই ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এ কারণে আপনি যদি দৈনন্দিন ফিটনেসের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রাখেন ‘চুমু’কে তাহলে তা খুবই কার্যকর হবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে

চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যায়ামও হয়। ফলে রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

অনিদ্রার সমস্যা হয় না

যাঁরা নিয়মিত চুমু খান, তাঁদের অনিদ্রার সমস্যা হয় না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।‌‌‌

মানসিক চাপ কমায়

চুমু খাওয়ার ফলে তা আপনার মন থেকে ডজনখানেক সমস্যার চিন্তা দূর করে দেয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি শরীরের শান্ত করার রাসায়নিক। এ ছাড়াও চুমুর ফলে আপনি গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, যা শরীরকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে।

শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বাড়ে

চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।

মাইগ্রেইন

মাথায় যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের মতো ক্রনিক ব্যথার থেকেও মুক্তি দেয় মুহূর্তের গভীর একটা চুমু।

তারুণ্য ধরে রাখবে

চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির উদ্দীপনা হয়। এ ছাড়াও এর উপকারিতার মধ্যে রয়েছে আপনার কপালের ত্বক থেকে শুরু করে চোয়ালের মসৃনতা তৈরি পর্যন্ত। আপনার তারুণ্য অনুভব করতে এটি যেমন সাহায্য করবে তেমনি আপনাকে তা তরুণ দেখাতেও সাহায্য করবে। মুখের রক্তচলাচল বেড়ে যাওয়ায় এর মাধ্যমে আপনার মুখের দ্যুতি বেড়ে যাবে।

ব্যথা

চুমু খেলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামক হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা দেহে ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে।

দাঁতের ক্ষয়রোধ কমে

নিয়মিত চুম্বন দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। অনেকেরই চুমু খাওয়ার আগে মুখ ও দাঁতের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন চুমুও দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চুমু স্যালভিয়া নিঃস্বরণ বাড়ায়। এটি অ্যাসিডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, খাবারের কনাগুলো সরিয়ে দেয় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।

আপনার হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে

চুমু খাওয়ার সময় কখনো আপনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর বেড়ে যেতে পারে হৃৎস্পন্দন। এতে হৃৎপিণ্ডের ব্যায়াম হবে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে আরো কয়েকটি উপকার হয়। যেমন এটি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়মিত হতে সাহায্য করে, রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ কারণে চুমুর মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক হৃৎপিণ্ড বজায় রাখা সম্ভব।

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে গেলে চুমু  পাপ নয় আর যদি সেটার উপকার হয় তাহলে ব্যাস আর কোনো কোথায় নেই খান ভালো করে বেশি করে জোটও পারবেন আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে চুমু খান আর ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন চুমুর সাথে থাকুন।