আপনি কি জানেন পরিবার পরিকল্পনার কি ? না এটা আপনার কোনো সবার জানার দরকার। নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু শুরু করছি আজকের এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হল – পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা ও পরিবার পরিকল্পনার কতটা দরকার সেটা নিয়ে আলোচনা। আমরা সবার আগে জেনে নেবো যে পরিবার পরিকল্পনা আসলে কি জিনিস।
পরিবার পরিকল্পনা কী এবং কেন – পরিবার পরিকল্পনা স্লোগান
একদম সোজা কোথায় বলতে গেলে পরিবার পরিকল্পনা বলতে জন্মনিয়ন্ত্রণ বুঝানো হয়ে থাকে । একটি পরিবারের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতির লক্ষ্যে একটি দম্পতি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সচেতনভাবে চিন্তা-ভাবনা করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকেই বলা যায় ‘পরিবার পরিকল্পনা’ । যে কোনো কিছু করার আগে আমাদের পরিকল্পনা করতে হয় বা করাটা ভালো। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠন করা । সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিবারের সার্বিক মঙ্গল ও উন্নতিসাধন করাই পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্য । স্বামী-স্ত্রী মিলে আলোচনা করে পরিকল্পিতভাবে পরিবার গঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই পরিবার পরিকল্পনা । পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি দম্পতি সর্বমোট কয়টি সন্তান নেবেন, কতদিনের বিরতি নেবেন ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, পরিকল্পনা করে থাকেন এবং জন্ম-নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেন । বন্ধুরা তাহলে বোঝা গেলো তো পরিবার পরিকল্পনা আসলে কি জিনিস।
জরুরী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলেই স্ত্রীর গর্ভে সন্তান জন্ম নেয় । সন্তান ধারণে সক্ষম (১৫-8৯) বছর বয়সী একজন মহিলার ডিম্বকোষে অসংখ্য ডিম জমা থাকে । সেখান থেকে প্রতি মাসে একটি ডিম পরিপক্ক হয়ে ডিম্ববাহী নালী দিয়ে জরায়ুর দিকে আসতে থাকে । এই পরিপক্ক ডিমটি সেইসময় যদি পুরুষ শুক্রকীটের সাথে মিলিত হয় তাহলে গর্ভসঞ্চার হয় । শুক্রকীটের সাথে মিলিত না হলে পরিপক্ক এই ডিমটি মাসিকের রক্তস্রাবের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে । জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো পদ্ধতি দ্বারা ডিমকে পরিপক্ক হতে না দিলে বা পরিপক্ক ডিম ও শুক্রকীটের মিলনে বাধা সৃষ্টি করা গেলে গর্ভসঞ্চার হতে পারে না । বিভিন্নভাবে গর্ভসঞ্চারে বাধা সৃষ্টি করা যায় । এ গুলোকে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলা হয় । যেমন-
1. ডিম ও শুক্রকীটকে মিলিত হতে দেয় নাঃ যেমন- পুরুষ বন্ধ্যাকরণ, মহিলা বন্ধ্যাকরণ ও কনডম ব্যবহার ।
2. ডিমকে পরিপক্ক হতে না দিয়ে এবং ডিম্বস্ফুটন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখেঃ যেমন- খাবার বড়ি, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্টের ব্যবহার ।
3. ডিম ও শুক্রকীট মিলিত হয়ে যে ভ্রুণের সৃষ্টি করে সেটিকে জরায়ুতে গ্রথিত হতে দেয় নাঃ যেমন- আইইউডির ব্যবহার ।
এই সকল পদ্ধতির যে কোনো একটি ব্যবহার করে গ্রহীতা ইচ্ছা অনুযায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
শেষ কথা
জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি প্রয়োগের স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে এই সকল বিষয় নিয়ে ভালোভাবে কথা বলে নেবেন। যদি আপনার পছন্দের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আপনার অসুবিধাজনক লাগে অথবা এই ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আপনি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পান তবে সেক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মনে রাখবেন আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও আপনার নিয়মিত STD চেকের রুটিনকে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়, এই পরীক্ষাগুলি কঠিন আপনার ও আপনাকে ঘিরে যারা থাকেন তাদের সুরক্ষার জন্য।এটি সুপারিশ করা হয় যে,আপনি প্রতি 3 মাসে STD এর রুটিনের একটি প্যানেল করুন যখন আপনার যৌনকার্য আরো রুটিন মাফিক হবে সেই সময়ের।
পরিবার পরিকল্পনার গ্রহণ কেন প্রয়োজন
সত্যি কথা বলতে গেলে একটি সুস্থ ,সবল ও সুখী পরিবার সবার প্রত্যাশা থাকে । আর এজন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা । বিয়ের পর কখন প্রথম সন্তান নেবেন, পরবর্তী সন্তান আবার কবে নেবেন, কয়টি সন্তান নেবেন এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে আলাপ করে জন্মবিরতিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন ।
স্বামী ও স্ত্রীর শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক চাপ কমায়।
সংসারে সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ বাড়ায়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি কমায়।
স্বামী – স্ত্রী পছন্দমত সময়ে এবং পছন্দমত সংখ্যায় সন্তান নিতে পারেন।
সন্তান সংখ্যা কম হলে সব সন্তানদের যথাযথ যত্ন নেয়া যায়, তাদের চাহিদা সমূহ সহজে পূরণ করা যায়।
ঘন ঘন গর্ভধারনের ঝুঁকি কমায়, ফলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং মা ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এর কাজ কি
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের কাজ হল পরিচিতি ,দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পদের নাম : পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক।
যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট। পদমর্যাদা : তৃতীয়. শ্রেণী। কর্মস্থল : ইউনিয়ন।
নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা : উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা।
মূল্য দায়িত্ব : পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের দায়িত্ব গুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে মা, শিশু, প্রজননস্বাস্থ্য, পুষ্টি সেবা প্রদান এবং পরিবার পরিকল্পনা কার্যাবলীর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০ প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি চাকরির খবর পাবেন সবার আগে বার এই এক পেজে। সরকারি চাকরি প্রার্থীর জন্য চলমান বিশেষ সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা চাকরির খবর যা কে এফ প্ল্যানেট এর সরকারি জব সার্কুলার ক্যাটাগরিতে পাবেন । তাছাড়া বেসরকারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং জব ক্যাটাগরি তো আছেই । চাকরি পেতে দেরি না করে আজই এপ্লিকেশন করুন।