রাজ্যে গণপিটুনির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, বিধানসভায় পাস বিল

বন্ধুরা আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের বলবো আমাদের রাজ্যের সরকার একটি নতুন আইন পাশ করেছেন যা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। সাথে বেশির ভাগ মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।আর বেশ কিছু লোকের মুখ কালো হয়ে যেতে পারে। চিন্তায় পড়তে পারেন বেশ কিছু মানুষ। হ্যা বন্ধুরা আমাদের রাজ্যের সরকারের পক্ষ থেকে এমনি একটি আইন পাশ করেছেন। আমাদের রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে কোনো মানুষ যদি গণ পিটুনিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন তাহলে পেতে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। এই মৃত্যুদণ্ড হল এই শাস্তির সর্বাদিক শাস্তি। আমরা জেনে নেবো একটু বিস্তারিত ভাবে।

বন্ধুরা রাজস্থানের পর গণপিটুনি রুখতে এবার নতুন আইন পশ্চিমবঙ্গে । শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট, বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল পেশ করেছে রাজ্য সরকার । নয়া আইন অনুযায়ী গণপিটুনির অপরাধ প্রমাণ হলে সশ্রম যাবজ্জীবনের শাস্তি দেওয়া হবে ।

গণপিটুনি রোধে কড়া রাজ্য । নয়া আইন অনুযায়ী গণপিটুনিতে মৃত্যু হলে অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে । গণপিটুনিতে মদত দিলেও কড়া শাস্তি দেওয়া হবে । তাই সাবধান। আপনি নিজেও জানবেন না কখন আপনিও হতে পারেন এই শাস্তির ভাগিদার। শুক্রবার কংগ্রেস ও সিপিএম বিধায়করা এই বিলকে সমর্থন করেছেন। বিজেপি বিধায়করা সমর্থন বা বিরোধিতা, কোনোটাই করেন নি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “রাজস্থান গণপিটুনি প্রতিরোধে বিল এনেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশকে পথ দেখাল।

আমরা দেখে নেবো এই আইনের সাজার তালিকা 

মৃৃত্যু 

গণপিটুনিতে মৃৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ জরিমানা ও অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজা।

গুরুতর আহত

গুরুতর আহত হলে যাবজ্জীবন ও দোষীদের ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে ।

অল্প আহত

অল্প আহত হলে দোষীর ৩ বছরের কারাবাস ও দোষীর সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা জরিমানা হবে ।

তাহলে আপনি ভাবতেই পারছেন কতটা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজ্য সরকার। সত্যি কথা বলতে আমরা অনেক সময় হুজুকের বেশে এমন অনেক কাজ করে ফেলি যেটা আমাদের করা উচিত নয়। আমরা অনেকেই এমন অনেক কাজ করে ফেলি যেটার জন্য অনেক সাধারণ মানুষ যার কোনো দোষ নেই তাকে প্রাণ হারাতে হয়, বা আহত হতে হয়। ওনার ঘরেও মা আছেন, হয়ত আছেন ছোট ছোট বাচ্চা, হয়তো আছেন ওনার স্ত্রী, হয়তো পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাই আপনার যদি কিছু করতেই হয় করুন তবে মারধর করে নয়। আইনের পথ নিয়ে চলুন।.যদি দোষী চিন্নিত হয় সাজা ওনাকে পেতেই হবে আর তার জন্য আইন আছে। আমাদের কোনো অধিকার নেই কাউকে মারা বা শারীরিক ভাবে আঘাত করা।

গণপিটুনি প্রতিরোধ নিয়ে কেন্দ্র এখনও তেমন কোনও আইন পাশ করাতে পারে নি। বিধানসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “গণপিটুনির বিরুদ্ধে আমদের সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট গণপিটুনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের সচেতনতা বাড়ানো দরকার।”

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে একটাই কথা সবার উদ্দেশে বলবো যে আইন নিজের হাত এ তুলে নেবেন না। যাকে তাকে ধরে মারধর করবেন না। কোনো কিছু জানতে পারলে বা বুঝতে পারলে বা দোষী প্রমাণিত হলে পুলিশ কে খবর দিন বা পুলিশের হাথে তুলে দিন। ভালো থাকবেন ও ভালো রাখবেন।