ফেসবুক স্ট্যাটাস -Facebook Status Bangla

নিঃসঙ্গতাকে সাথী করে চলতে চলতে একদিন অপ্রত্যাশিত ভাবেই তোমার সাথে পরিচয়। অনেকটাই অজানা, অচেনা তবু যেন কত পরিচিত। ভাবলাম এই বুঝি আমার ঠিকানা, এখানেই শেষ পথচলা। এখন শুধু ভালবাসার ছায়ায় বিশ্রাম, অবিরাম বিশ্রাম।কিন্তু সব ভাবনা কি সত্যি হয়??একদিন কাছে এসেও কাছের মানুষ হারিয়ে যায়। এখন আমাদের ভাবনা তা হচ্ছে, ভাবি কেউ নেই তো কি আছে আমাদের ফেসবুক দাদা তো আছে তাকে বললেই ঠিক কোনো না কোনো একটা উপায় বেরিয়ে আসবে আর আমার সমস্যাটাও সমাধান পেয়ে যাবে। এ ছাড়াও আমাদের জীবনে ফেসবুক স্টেটাস অনেকটাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। যেমন ধরা যাক এখন বর্ষা কাল বাড়িতে একা  বাইরে মুষল ধারে বৃষ্টি, যাবার জায়গা নেই কোথাও; এই যে একাকিত্ব আমরা কিন্তু আর কাউকে না বললেও ফেসবুক স্টেটাস এর মাধ্যমে সব বন্ধু দের কে শেয়ার করে দি’, প্রতি নিয়ত। আবার ধরুন এই বর্ষা কালে আমাদের বাঙালির প্রধান খাবার খিচুড়ি আর এই খিচুড়ির সাথে যদি কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ মানে (বেগুন ভাজা, আলু ভাজা,পটল ভাজা, ডিম ভাজা,আর যদি ইলিশ মাছ ভাজা পাওয়া যায় তো সোনায় সোহাগা) পেয়ে যাই ব্যাস আর কি চাই, আর চাওয়া পাওয়াটা আমরা আমাদের ক্যামেরায় বন্দি করে ফেসবুক স্টেটাস দিয়ে দি।  ইতিহাস সাক্ষী আছে বাঙালি হল খাদ্য রসিক। আমরা এখন কোনো রেস্তোরাতে গিয়ে খাওয়ার মুখে তোলার আগেই আমাদের মোবাইল এর ক্যামেরায় বন্দি করে ফেসবুক স্টেটাস এ না দিলে রেস্তোরায় যাওয়াটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

ফেসবুক স্ট্যাটাস সংগ্রহ – স্মার্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস

1.নেমে এলো তবে ঝড় উড়ে গেলো শহরের আঁধার আচল, উন্মুক্ত মাতাল শহরে ধুলো ওড়ে উড়ে যায় ঘামে জবজব যুবকের পোষা কাঁদাখোচা…বিনে পয়সার পাখি।

2.জলে ভেসে তবে এসেছি নগরে সম্বিত ফেরার পর ছবি দেখে চিনে নেয়া যাবে এই ভেবে মুখ গুজে রেখেছি আঁধারে
কখন ধাতস্থ হবো নাগরিক চালাকিতে কখন শিখে নেবো শহুরে বাবুয়ানা সব বলে পথ নির্দেশনা দেবে বিদেশী ইন্সট্রাক্টর।

3.রুপালী জ্যোছনা বিভ্রান্তি ছড়ায়, অযত্নের অসমান পথ আমাদের পাতি রসায়নে যেনো মসৃণতা হয়ে ধরা দেয় হোচট খেয়েছি যতোবার, ততোবার বিলা খাই পথে, কখনো বা চাঁদের উপর…শহুরে হুংকারে শাপশাপান্ত করেছি তাহাদের, নিজেদের চোখ অথবা মনন নিরাপদ হেফাজতে রেখে।

4.অপেক্ষার সময়টাতে অনেক গাছপালা মেলে দেই, কল্পনার সীমানা পেরিয়ে ঢুকে যাই অনধিকারে, তাই বলে ভেবে বসো না যে সেসব আমার সত্যি সত্যি চাই। আমি তখন পাহাড় চূড়ায় গড়েছি ছোট্ট লগ কেবিনটারে। তার ব্যালকনিতে ঝুলিয়ে দেয়া দোলনায় দোল খেতে খেতে সুগন্ধি চায়ের কাপে চুমুক আলতো করে। তোমাকেও নিয়ে যাই কখনো সখনো… তুমি তরমুজ কেটেছো হীরক ছুড়িতে। হঠাৎ আঙুলে লাল রেখা ভেসে উঠলে বুঝি কেটে গেছে…জীবনের তাল-স্বপ্নের বিভ্রান্ত বলিরেখা।

5.শৈশবে কুড়িয়ে পাওয়া কড়িটার গায়ে অন্য কারো নাম লেখা ছিলো… তবুও কেনো জানি একেবারে একান্ত নিজের বলে আগলে রেখেছি তারে। সেই হারানো কড়িটা যার ছিলো সেও কি ভাবেনি কড়িটার কথা আমার মতোই!

6.ভোরের বাতাস কেমন আনমনা কাঁধ ছুঁয়ে যায় চমকে উঠে পেছনে তাকিয়ে দেখি, দূরত্ব বেড়েছে দ্বিগুনের বেশি…
খিল খিল করে হেসে ফেলে কেউ; শব্দটাকে চেনা মনে হলেও সতর্ক জেনে গেছি ভাবনার সীমানা ডিঙিয়ে কখনো আসেনা রেলগাড়ি।

7.ঝড়ো বালুকনা তবে ঝরে যাক; বৃষ্টির বিলাসী পতনে বাজুক পুরোন দিনের সব কথা তবে…

8.ফিরে আসতে বলবোনা চাকারে! তবে থেমে যাবে সভ্যতা-এগিয়ে যাওয়া… আমিই না হয় গিয়ে দাঁড়ালাম তার পাশে না হয় দৌড়তে থাকি সভ্যতার গতিপথে, অনায়াসে।

9.পথের গা থেকে ঘামের গন্ধ ওঠে নতুন ধানের মতো; এমন শুকানো ত্বক কখন কিভাবে স্বেদসিক্ত হলো ভেবে এই বেলাটা কাটিয়ে দেই, রাত পেরিয়ে ভোরের আলো এসে থমকে দাঁড়ালে না হয় জানালাটা খুলে দেয়া যাবে।

10.আঙুলে ছুঁয়েছি জল…প্রার্থনার প্রহরে তোমারে এনে দেবে তার স্রোতধারা।নদীর এপারে বসে আমি তারা গুনি-ঢেউ গুনি-জলপিপি গুনতে গুনতে মনে হয় ডুবে গেলে তুমি আবার ওপারে ফিরে যাবে…সাতার কি ভুলে গেছো?

11.পথ ভুলে পড়ে আছি গুলশানে কোথাও যাবার কথা ছিলো সেই কবে থেকে কোনো এক সনাতন গাছ কালীর ছায়ায় ঝড়-বৃষ্টি-রোদ্দুরের স্মৃতি ভুলে কাটিয়ে দেবার কথা ছিলো জলমহাল আর নোনা জল ভালোবেসে,

12.আমি কি পোকার মতো ঢুকে যেতে চাই! তারপর ঘরের গন্ধ পাল্টে দিয়ে নিজের খুশিতে ভেবে নিতে পারি ঘরখানা আমার? সে যদি নিজের ঘরে ছুঁয়ে থাকে অন্য কোনো দুঃখ আমি বরং অপেক্ষা করি দূরে থেকে কখনো সুযোগ মিলে গেলে দুঃখের কিছুটা ভাগ চেয়ে নেয়া যাবে;

13. না ঘুমানোর আয়োজনে বিছানা সাজাই; তারপর রাতভর কিলবিল পোকার মতোন
আলোর রেখায় এবাড়ি-ওবাড়ি…

14. সূর্য্যটাকে ডুবে যেতে দেখলেই কেমন অসহায় লাগে। মনে হয় ঘরে ফিরে যেতে হবে।

15. দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ, তাহলে দেয়াল বনে যাই পেছনে ছুটছিলো যারা, তারা এসে ফিরে যাবে আমায় না পেয়ে।

16.যেহেতু বৃষ্টির দেখা নাই তাই মেঘ দেখে দেখে ভাবি একদিন জলের উচ্ছ্বাসে মুখ রেখে স্বপ্নপূরণ করে নেয়া যাবে, দেখো!

17.সরীসৃপের মতোন ঠাণ্ডা তোমাকে জড়িয়ে ঘুম দেয়া যেতো এই গরমের রাতে…

18.সন্ধ্যা কাটানোর জন্য মানুষের খোঁজে নামার মতোন বিরক্তিকর বয়সে পৌছে যেতে হয় ধীরে ধীরে মানুষেরা খুব বেশি খুঁজবেনা ব্যস্ততাকে…তার চেয়ে ভালো ব্যস্ত না থাকার অভিনয়, নিজেকে সুলভ করে দেয়া…

19.পাগলের ছাড়া আর কারো পায়ে বেড়ি পরানো দেখিনি। আমাদের পায়ে বেড়ি নেই! বেড়ি নেই! তবুও আমরা শহরের গণ্ডী ছাড়িয়ে কখনো অন্য কোথাও যাবার অধিকার রাখি নাই যেনো।

20.পাগলটারে আটকে রাখা হয় চার দেয়ালের ঘরে আমরা আটকে আছি শহরের সীমানায় তার উপর রাতের বেলা সীমানার চিহ্ন খালি চোখে দেখা যায় না…ইনফ্রারেড চশমায় ভিন রঙা শহরের প্রান্তরেখা।

21.কেউ কখনো দেয়াল খুঁজে বেড়িয়ে সময় নষ্ট করতে চায় না; দেয়াল বাঁধায় আটকে পড়া শিকারের খোঁজে কেউ আসে, কেউ আসে দেয়ালের ওপারে কল্পিত পথ যদি পাওয়া যায় টপকে গেলে, এই ভাবনায়…

22.ঘর মানে বেকার বিছানা, ঘামে আর ঘুমে মিলেমিশে কাদা খোঁচা; যেখানে অনেক ফুটপ্রিন্ট ফুটে থাকে… পরিচয়হীন সব পায়েরা কখনো চলে গেছে কাদা পার হয়ে দূর ইতিহাসে।

23. অথচ অবিবেচক পড়ে আছি পথ ভুলে গুলশানে শহরের সকল ঝা চকচকে দেয়ালে দেয়ালে ঘেরা গোলকধাঁধাঁর দিক খুঁজে পেতে ঘাম ঝরে; তবু পথ মুখ বের করে করুনারে দেখা দেয় নাই…

24.জানালার সাথে কপাটের কি সম্পর্ক লেখা আছে? কাজলে কাজলে খুঁজে আমি কেবল জলের কথা জেনেছি-মেনেছি…জানা বোঝা বলে আসলে কখনো কিছু থাকে না জীবনে, সবটাই মেনে নেয়া নিয়মের ব্যর্থ অথবা সফল ছায়াছবি। কেউ কেউ তারে নিয়তি বলেছে…

25.জানালার সাথে কপাটের কি সম্পর্ক লেখা আছে? কাজলে কাজলে খুঁজে আমি কেবল জলের কথা জেনেছি-মেনেছি…জানা বোঝা বলে আসলে কখনো কিছু থাকে না জীবনে, সবটাই মেনে নেয়া নিয়মের ব্যর্থ অথবা সফল ছায়াছবি। কেউ কেউ তারে নিয়তি বলেছে…

26.এসব আমার প্রত্যাশার তালিকায় ছিলো না কখনো, সত্যি করে এসব চাহিদা থাকলে আমি হয়তো পাহাড়ের কাছে মিনতি জানিয়ে একদিনের জন্য তারে আমার করে নিতাম, একদিনের জন্য হলেও টম কাকার সাদাঘরটাকে ধার চাইতাম… একদিনের জন্য হলেও তোমার পাশে বসে থাকতাম ব্যর্থ বিড়ালের মতো।

27.ওরা নাকি আমাদের চেয়ে পথ ঘাট ভালো চিনে আর তাই সম্বিত বিষয়ে যেসব ধারণা ছিলো ভুলে গেছি… মাটিতে বিছানো অন্ধকারে চোখ রেখে ভাবি, পীচ ঢালা পথ আর পাথরে বিশ্বাস রাখতে জানলে আমিও নগর বাউলের সাজে, নিয়নের তীর দেখে পৌছে যেতে পারতাম লক্ষ্যের কাছাকাছি…

শেষ কথা 

সত্যি কথা বলতে এখন ফেসবুক আর তার সাথে ফেসবুক স্টেটাস যদি না থাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এর অর্ধেক আনন্দই চলে যায়। ফেসবুক জীবনের একটা প্রধান অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। সব জিনিসের মধ্যেই ভালো আর মন্দ দুইই আছে  কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা ভালো কে কাছে নিয়ে মন্দ টাকে দূরে ফলে দেব আর প্রতি নিয়ত ফেসবুক আর ফেসবুক স্টেটাস কে বরণ করে নেবো আমাদের জীবনে।আর আপনার এই ফেসবুকের পোস্টের জন্যই রইল কিছু ফেসবুক ফটো কমেন্ট কালেকশন।