Best Art Films in Kolkata

কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি আপনারা বা তোমরা ভালোই আছো বা আছেন। আজকে আমরা আলোচনা করবো আর্ট ফিল্ম নিয়ে। আর্ট ফিল্ম কি ? আর্ট ফিল্ম বলতে মূলত কোন ধরণের সিনেমাকে বোঝায় ? চলচ্চিত্র এক প্রকারের দৃশ্যমান বিনোদন মাধ্যম। চলমান চিত্র তথা “মোশন পিকচার” থেকে চলচ্চিত্র শব্দটি এসেছে। এটি একটি বিশেষ শিল্প মাধ্যম।প্রথাগতভাবে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় অনেকগুলো একক ছবি তথা ফ্রেমের ধারাবাহিক সমন্বয়ের মাধ্যমে। এই স্থিরচিত্রগুলি যখন খুব দ্রুত দেখানো হয় তখন দর্শক মনে করেন তিনি চলমান কিছু দেখছেন। সিনেমার অনেক ধরন থাকলেও এর মূল ধারা দুটো, জনপ্রিয় ধারা যাকে আমরা কমার্শিয়াল বলে থাকি আর আরেকটি হচ্ছে শৈল্পিক ধারা যাকে বলা হয় আর্ট ফিল্ম। খুবই সংক্ষেপে, বানিজ্যিক মুনাফাকে পেছনে ফেলে নির্দিষ্ট শ্রোতা-দর্শকদের লক্ষ্যে নান্দনিক গতিশীলতায় পরীক্ষামূলক প্রকৃতি বা একটি রীতিবিরুদ্ধ অথবা অত্যন্ত প্রতীকি বিষয়বস্তু দ্বারা নির্মিত চলমান ছবিকেই বলা হয় আর্ট ফিল্ম। আমরা এখন জেনে নেবো কিছু আর্ট ফিল্ম এর সম্মন্ধে। 

1. অন্তর্জলী যাত্রা (১৯৮৭)

ছবির পরিচালক গৌতম ঘোষ। ১৯৮৭ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা, বসন্ত চৌধুরী, প্রমোদ গাঙ্গুলী, রবি ঘোষ, শম্পা ঘোষ আর মোহন আগাসে ইত্যাদি। ভারতীয় ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সতীদাহ প্রথা। মৃত স্বামীর সঙ্গে জীবিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার বর্বরতম সামাজিকতার যূপকাষ্ঠে বলি হওয়া অগণিত ভারতীয় রমণীদেরই একজন ‘অন্তর্জলী যাত্রা’র যশোবতী। তাকে নিয়ে অন্ধ শাস্ত্র আর সামাজিক সংস্কারের অজুহাতে জ্যোতিষী অনন্তহরি, কুলপুরোহিত কৃষ্ণপ্রাণ আর তারই জন্মদাতা লক্ষীনারায়ণ যে অমানবিক খেলা খেলেছে তারই লোমহর্ষক বাস্তবতার ছবি ‘অন্তর্জলী যাত্রা’।

2. আমু (২০০৫)

সোনালী বোসের পরিচালনায় ২০০৫ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। অভিনয়ে ছিলেন কঙ্কনা সেনশর্মা, বৃন্দা কারাট,অঙ্কুর খান্না, কুলজিৎ সিং।২০০৫ সালে সময়কালের ওপর নির্ভর এই ছবিটি, ভারতে একটি অত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের কথা নিয়ে তৈরী। ১৯৮৪ সালে ভারতবর্ষের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে সারা ভারতবর্ষে যে অসম্ভব এক অশান্তির পরিবেশের সূচনা হয়েছিলো, তার ওপর। সেই সময়ে টানা এক বছর যাবৎ যে শিখ বিরোধী রায়ট হয়েছিলো, তা সারা ভারতবর্ষে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সময়ে শিখদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অত্যাচার শুরু হয়।

এরম সময়েই আমু (কঙ্কনা) এক অনাথ শিশুর জন্ম হয় এবং তার লালন পালন করেন এক ভারতীয় প্রবাসী মহিলা, আমু বা অমৃতা তার স্নাতক পাস করার পর ঠিক করে সে তার জন্মস্থান ভারতবর্ষে ফায়ার আসে। এখানে তার আলাপ হয় কবীরের সাথে, এবং তার সাথে দিল্লীর নানান প্রান্তে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই পে তা জন্মের আসল রহস্যের সন্ধান। অদ্ভুত সুন্দর বন্ধনীতে বাঁধা এই গল্প আরো সুন্দর শৈলীর সাথে পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক। এক অসাম্য ছবি যা যথারীতি এর বিষয়বস্তুর জন্য ভুল পরিমানে বিরোধিতার সম্মুখীন হয়।  তবুও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এর পর এই ছবি শেষমেশ মুক্তি পায় ২০০৫ সালে।

3. সতী (১৯৮৯)

অপর্ণা সেন শুধু বাংলা না এমনকি  গোটা ভারত বর্ষের অন্যতম গুণী পরিচালক। বাংলা তথা ভারতবর্ষের সিনেমা জগতে অপর্ণা সেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, একজন পরিচালক হিসেবে তিনি যে সমস্ত বিষয়বস্তু নিয়ে প্রথম থেকে কাজ করে এসেছেন, এবং সমস্ত তাঁর স্বত্বা ও বিশ্বাসের সাথে মেয়েদের জীবনের সমস্ত না বলা কথা গুলি, দুঃখ – কষ্টগুলি, রোজকার জীবনের ক্লেদ কে যেভাবে মূর্ত করে তুলেছেন ছবির পর্দায়, তা আমাদের সিনেমার সম্পর্কে ধারণা অনেকটা পাল্টে দিয়েছে। আজকে কোথাও গিয়ে আমরা আমাদের জীবনের অনেক সত্যি কথা বড় পর্দায় দেক্যতে শিখেছি, শুধু মাত্র পরীর দেশের গল্প না।

উমা, একেবারে সাধারণ দরিদ্র এক গ্রামের মেয়ে, তাঁর মা বাবাও গত হয়েছেন।তাঁর কুষ্ঠি গণনা করে দেখা যায়, যে সে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের অধিকারিণী, যার সাথে তার বিবাহ হবে সে শীঘ্রই মারা যাবেন, এবং তাকে সতী হতে হবে। এমন অবস্থায় এমন মেয়েকে যে বিবাহ করবে তারও দুর্ভাগ্য এবং এই মেয়েরও। এমতাবস্থায় তার পরিবারের মানুষ ঠিক করে যাতে কোনো পক্ষেররি ক্ষতি না হয়, তাই তাকে একটি বট গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এবং তারপরেও চলে তার জীবন সংগ্রাম।

 

মন্দ মেয়ের উপাখ্যান (২০০২)

২০০২ সালে  দাসগুপ্তের পরিচালনায়  মেয়ের উপাখ্যান।বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত বরাবর তাঁর পরিচালনায়,  তার ছবিতে একটি অদ্ভুত মায়াময়তা থাকে। এক অতি মানবিক অবস্থা যা ,আমাদের জীবনের না পাওয়াগুলিকে অদ্ভুত ভাবে  দেয়। বুদ্ধদেব দাসগুপ্তের সিনেমার মধ্যে আমরা আমাদের জীবনের সমস্ত ভয়ঙ্কর অবস্থাগুলিকে চোখের সামনে দেখতে পাই।

বাঙালি লেখক প্রফুল্ল রায়ের একটি ছোট গল্পের ভিত্তিতে, পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত কর্তৃক উৎসাহিত কেন্দ্রীয় ধারণাটি, একটি মেয়ে লতি (সামতা দাস) এর গল্প বলছে, যার মা রজনী (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) একজন পতিতা, এবং একটি প্রত্যন্ত গ্রামের একটি পতিতালয়ে কাজ করে। রজনী, তার কন্যাকে এক বয়স্ক মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, কারণ তিনি ধনী। রজনী মনেকরে , যে সে তাঁর জীবনে যে কষ্ট পেয়েছে, বঞ্চনার সম্মুখীন হয়েছে তার মেয়ে সেই ধনী ব্যক্তির রক্ষিতা হয়ে হয়তো বাঁচবে, কিছুটা হলেও সুখের মুখ দেখবে। তবে লতি অত্যন্ত গুণ সম্পন্না ও জ্ঞানী, সে স্কুলে ফিরে যেতে চায় এবং তার পড়াশোনা শেষ করতে চায় এবং বস্তুগত সাফল্যের জন্য এত দাম দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সে কলকাতায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে সে আবিষ্কার করে এক নতুন জগৎ, যেখানে সে পায় এক বয়স্ক দম্পতিকে। যারা জীবনের প্রায় শেষে এসে দাঁড়িয়েছে, আর পায় এক ট্যাক্সি ওয়ালা।  তার জীবন ভরে ওঠে একদল নতুন মানুষে, যেখানে তার জীবন বোধটা আমূল বদলাতে থাকে। প্রথমবার তার জীবন একেবারে বদলে যায়। এক অসাধারণ গল্পের শুরু ও শেষ হয়। বুদ্ধ্বদেব দাসগুপ্তের এক কাল্পনিক জগতের সৃষ্টি  দেখা গেছে এই সিনেমাটিতে।

4. সব চরিত্র কাল্পনিক(২০০৯)

ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত এই কল্পজগতের গল্প বড় পর্দায় মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। অভিনয়ে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বিপাশা বসু , যীশু সেনগুপ্ত ও আরো অনেকে। এই ছবি ২০০৯ সালে ভারতীয় জাতীয় পুরস্কারে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়।  এছাড়াও নানান দেশি ও বিদেশী ফেস্টিভালেও সমাদৃত হয়।

ইন্দ্রনীল এক অসামান্য লেখক ও কবি, বিয়ে করেন এক প্রবাসী বাঙালি মেয়ে রাধিকা কে। এবং তার লেখার বা কল্পনার জগৎ যাই বলুন সমস্তই বাস্তব জীবন থেকে অনেকটা দুরে, তার সাথে ইন্দ্রনীলের রোজকার জীবনের কোনো মিল নেই, না ই কোনো যোগাযোগ আছে। রাধিকা একা হাতে এই বিবাহিত জীবন ও সামাজিক জীবন কে টেনে নিয়ে যায় এবং ইন্দ্রনীলের কবি সুলভ দায়িত্বজ্ঞানহীনতা চলতে থাকে। তার কোনো এক লেখার জন্য একটু পুরষ্কার পায়, এবং তার পরবর্তী মুহূর্তেই সে তার একমাত্র চাকরিটি ছেড়ে দেয়। তার জীবনে তার সংসারের কোনোরকম যোগাযোগ থাকে না, সংসার টাকে একা রাধিকা টেনে নিয়ে চলে। তার প্রতি ইন্দ্রের স্বামী হিসেবে কোনোরকম সাহায্য থাকেনা।তবে তাকে তার কাজের মাসি সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করে, এক মহিলা হয়ে বুঝতে পারে আর এক মহিলার কষ্ট। যার নিজের স্বামী তাকে সময় দেয়  না, এক কল্প জগতে বিচরণ করে। এই ক্রমাগত অবহেলার কারনে রাধিকা তার অফিসের এক সহকর্মীর কাছাকাছি চলে আসে। তারপর আরো নানান দোলাচল চলতে থাকে রাধিকা ও ইন্দ্রনীলের জীবনে। মনুষ্য মস্তিষ্কের এক অসামান্য সন্ধি বিচ্ছেদ এক অসাধারন ছন্দে। সিনেমা প্রেমীদের জন্য এই সিনেমা এক অনন্য সৃষ্টি।

5. যুগান্ত (১৯৯৫)

অপর্ণা সেন ভারতীয় চলচিত্রের এক অসামান্য অস্তিত্ব। তাঁর পরিচালিত সিনেমাগুলি ভারতীয় চলচিত্রে এনেছে নারী কেন্দ্রিক ভাবনার সূচনা। তার সিনেমাগুলির মধ্যে দিয়ে আমরা জানতে শিখি সাধারণ নারীজীবনের ওঠা পড়ার কথা, জানতে পারি যে নারী মানুষের জীবনেও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত চাহিদা আছে. তারা কোনো একটি লিঙ্গের হওয়ার অনেক অনেক  আগে একজন মানুষ। এই সিনেমায় অভিনয়ে ছিলেন অঞ্জন দত্ত, রুপা গঙ্গেপাধ্যায় এছাড়াও রো অনেকে।  ১৯৯৫ সাল যে সময়ে দেশের ঘরে ঘরে মহিলারাও সমাজের কর্মক্ষেত্রে একটু একটু করে যোগদান করছে।

দীপক আর অনুসুয়া দুজনেই বিংশ শতাব্দীর প্রাক্কালে স্থিত দুই আধুনিক মনষ্ক শিক্ষিত মানুষ। যারা নিজেদের েকে ওপরের সাথে থাকার সঙ্গে নিজেদের জীবন নিজেদের কর্মজীবন সম্পর্কে সমান দায়িত্ববান।  দুজনের এক সুখের সংসারে ভাঙন আসে, তাদের নিজের নিজের কর্মক্ষেত্রের উত্তরণের জন্য। দুজনকে আলাদা দুই শহরে থাকতে হয় এবং বেশ খানিকটা সমস্যা আলাদা কাটাবার পরে তারা আবার ফিরে আসে েকে অন্যের কাছে কিছুটা সময় একান্তে কাটাতে একেবারে ছেড়ে যাওয়ার আগে, এবং সেই সময়েই তারা বুঝতে পারে যে তাদের দুজনের প্রতি অনুভূতি এখনো এক ই রয়ে গেছে।  যে সমস্ত দম্পতি দুজনেই কর্মক্ষেত্রে জড়িত তাদের কাছে এই সিনেমা একেবারে তাদের জীবনের প্রতিচ্ছবির মত। অসামান্য ভাবে পরিচালক বর্তমান জীবনে একটি সম্পর্ককে সুন্দর করে নিয়ে চলার ছবি ফুটিয়ে তুলেছেনা বড় পর্দায়।

6. যুক্তি তক্কো আর গপ্পো (১৯৭৪)

যুক্তি তক্কো আর গপ্পো ঋত্বিক ঘটক এর পরিচালিত একটি চলচ্চিত্র। এই ছবিটির কাজ শুরু হয় ১৯৭৪ সালে এবং শেষ হবার পরে ছবিটি মুক্তিপ্রাপ্ত হয় ১৯৭৭ সালে। এই ছবিটি-ই ঋত্বিক ঘটক–এর শেষ ছবি। এই ছবিটিকে অনেকে ঘটক এর আত্মজীবনীমূলক ছবি বলে বিবেচনা করেন।

শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবি অথচ মাতাল নীলকণ্ঠকে মাঝ বয়সে স্ত্রী’র সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদে যেতে হয়। স্ত্রী, সন্তান আর কলকাতার গলিপথ ছেড়ে সে বেরিয়ে পড়ে। তার সঙ্গী হয় পাড়ার তরুণ নচিকেতা। দুজনের যাত্রা শুরু হয় অজানার উদ্দেশ্যে। পথে পরিচয় হয় বঙ্গবালা’র সঙ্গে। ১৯৭১-এর ৩০ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি মিলিটারির বর্বরতার শিকার সে। তার সঙ্গে আছে টোলের পণ্ডিত। কলকাতায় তারা এসেছেন জীবন ও জীবিকার আশায়। এই চারজন এক সাথে পথ চলা শুরু করে। এক সময় তারা এসে পৌঁছায় পুরুলিয়ায়। ছৌ নাচের শিল্পীদের সঙ্গে সেখানে ভূমি দখলদারদের লড়াই চলছে। লড়াইয়ের এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হয় পণ্ডিত। এরপর তারা তিনজন যায় বীরভূমে, সেখানে তার স্ত্রীকে সে অনুরোধ করে, কাল সকালে ছেলেকে একটু দেখতে দেয়ার জন্য শালবনে পাঠাতে। বনের ভেতরে নীলকণ্ঠ মুখোমুখি হয় বিদ্রোহী নকশালদের। সশস্ত্র নকশালদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধ হয়। গোলাগুলি শেষ হয়। এ সময় নীলকণ্ঠের ছেলে এসে পিতাকে ডাকে। তার ডাক শুনে পুলিশ আবার গুলি করে। নীলকণ্ঠ মারা যায়।

7.মৃগয়া (১৯৭৬)

মৃগীয়া, মৃণাল সেন পরিচালিত ১৯৭৬ সালে মুক্তি প্রাপ্ত  এক অসাধারন সৃষ্টি । এটি “ইনাম” নামে ভগবতী চরণ পানগ্রাহীর রচিত একটি ছোট গল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরী হয়। ছবিটিতে খুব নিপুণতার সাথে ১৯২০র সময়ে ব্রিটিশ শাসকদের দের নিপীড়ন ও ভারতীয় জমিদারদের সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার দেখানো হয়েছে। আর দেখিয়েছে যে সমস্ত ব্রিটিশ খারাপ ছিলেন না, কেউ কেউ এর মধ্যে এমন ছিল যারা মানুষ কে মানুষ বলে মনে করত এবং কোনো কোনো দেশীয় মানুষ তাদের খুব কাছের ও হত। প্রধান অভিনেতা, মিঠুন চক্রবর্তী এবং মমতা শঙ্কর উভয়ই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাদের সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন।

ঘিনুয়া এক আদিবাসী উপজাতির মানুষ যে কিনা অসাধারন তিরন্দাজ, তার বন্ধুত্ব হয় তাদের ছোট্ট গ্রামে আসা নতুন বিদেশী সাহেবের সাথে; যে আবার শিকারকরতে পছন্দ করেন।  এবং তার সাথেই হয় ঘিনুয়ার চুক্তি। এই গল্পের ওপর নির্ভর করে তৈরী এই সিনেমা আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক যতটা ১৯৭৬ এ ছিল।