Sad Love Poem in Bengali Language – বাংলা ভালবাসার মেসেজ

ব্রেকআপ! শব্দ তা পড়তেই বা শুনতেই আমাদের মাথায় প্রায় শ খানেক স্মৃতি ভেসে ওঠে, আর সেই সমস্ত স্মৃতি যে খুব বিশেষ সুখকর তা বলা যায় না। আমাদের জীবনে প্রেম যেমন একটা অনিবার্য জিনিস, তেমনি বিচ্ছেদ ও তার অনিবার্য অঙ্গ। কোনো মেয়ে বা ছেলে যেমন ই হোক না কেন, জীবনে একবার অন্তত সে প্রেমে পড়বেই, এবং সারা জীবনে কারুর একটা প্রেম হোক বা একশ টা একবার অন্তত পক্ষে একজন মানুষ প্রেমে ব্যর্থতার স্বাদ পায়। সে সেই মানুষটির সাথে থাকুক বা না থাকুক তাদের মধ্যে কিছুদিনের কিছু ক্ষনের বিচ্ছেদ হয় বটে। মন কষা কষি বা অভিমান যাই হোক না কেন দুটি মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও .দূরত্ব তৈরী করে। কিন্তু কিছু কিছু বিচ্ছেদৰ এমন হয় যে সেই দূরত্ব আর পূরণ করা যায়না, সময়ের সাথে সাথে অভিমান জমতে জমতে পাহাড়ে প্রিন্ট হ ও সেই পাহাড় ডিঙিয়ে আর কোনো প্রেম আস্তে পারেনা। আবার এমন অনেক প্রেম থাকে যেগুলো কোনোদিনই সম্পূর্ণ হওয়ার ছিলোনা, অপূর্ন থেকে যায়। কারন সবসময় দুটি মানুষ ভালো হলেই যে তারা একসাথে ভালো থাকবে তা হয় না।  তারা আলাদা ভাবে দুজনে অত্যন্ত ভালো মানুষ কিন্তু একসাথে হলেই তাদের সুজনের মধ্যেকার কেউ- স্বত্ব গুলি বেরিয়ে আসে, আস্তে বাধ্য করে, ফলে একসাথে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে, তা কতগুলো প্রেমের কুড়ি ফুটে ওঠার আগেই ঝরে পরে। সে গল্প গুলো শেষ হয়না বলে কি তাতে তাদের লেখকদের ডেডিকেশন কম থাকে একেবারেই নয়, বরং এদের লেখক এক্ষেত্রে প্রেমিক প্রেমিকারা অনেক বেশি প্যাশনেট হয় যার জন্য দুনজনের ভালো সেই দ্দূরত্বের কষ্ট সয়ে নেয়া যায়।

Sad Love Poem in Bengali Language – বাংলা ভালবাসার মেসেজ

প্রেম হল এমন এক অনুভূতি যার স্বাদ পেলে তাকে ছাড়া থাকতে মানুষের বেশ অসুবিধেই হয় বটে. একবার যদি এর আপনাকে ভালোলাগাবার ক্ষমতা আপনি চেখে নেন তারপর আপনার প্রেম হীন জীবন স্ব বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে।  তাই প্রেম এর পর যা আসে একেবারে অনিবার্য ভাবে যা হল বিচ্ছেদ \বা এখন কার সাহেবি ভাষায় জেক বলে ব্রেক আপ তা সয়ে আবার করে পুরোনো নিজেকে খুঁজে পাওয়া এক লম্বা পথ।  এই সময় কেউ কেউ আবার করে নিজের পুরোনো সত্বা কে ফায়ার পে কেউ কেউ একেবারেই পারে না।  গান, কবিতা, সিনেমা, গল্প, বন্ধু এই সমস্ত এই সময়ে বেশ সাহায্য করে।  যেভাবে হোক সেই মানুষকতা আর সেই মহা হারানোর চিন্তা থেকে যেভাবে মন কে দূরে রাখা যায় তাই আমাদের ভালো থাকতে দেয়।  তাই এই সময়ে নিজের মনকে নানান কাজে নান্দনিক কাজে ব্যস্ত  পাওয়া যায়।  আর এই সময়েই চোখে পরে সমস্ত কবিতা গল্প বা সিনেমা আর সব থেকে বেশি করে গান যা আমাদের এই অবস্থাকে একেবারে অক্ষরে অক্ষরে ব্যাখ্যা করে দেয় , গান গুলি শুনলে মনা হয় কেউ বুঝি আমাদের জীবনকে লুকিয়ে খুব কাছ থেকে দেখে সেখান থেকে ভাবনা চুরি করে লিখেছে, মানে কেউ যেন আপনার কথাই সুর করে গেয়ে যাচ্ছে। এমনই কিছু কথা, কোটস বা গানের লাইন আমরা এখানে দিলাম।

1. যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে – শিলাজিৎ 

এ বুকে আকাশ রেখেছিলাম, এ শরীর অশান্ত জঙ্গল।
খোলা মনে উড়তে পারলি না, এ মনের তুই কি পাবি তল !
যা, যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে, যা,
যা যা যা, খুঁজে নে অন্য কোনো বাসা।
খুঁজে নে গৃহস্থ জীবন,
ভুলে যা বন্য ভালবাসা।
যা, যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে, যা !

2. একবার বল – অনুপম রায় 

3. ভিনদেশী তারা – চন্দ্রবিন্দু 

তোমার গায়ে লাগেনা ধুলো
আমার দু-মুঠো চাল চুলো
রাখো শরীরে হাতে যদি
আর জল মাখো দুই হাতে
প্লীজ ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে
আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোয়া বাড়ী
আমি পাইনা ছুতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী”

4. নীল রং ছিল ভীষণ প্রিয় – রুপম ইসলাম 

“যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ
সেখানেই মুখ ডুবিয়ে খুঁজতে চাওয়া আমারি অভ্যেস।
যেখানে রোদ পালানো বিকেল বেলার ঘাস
সেখানেই ছুটবো ভাবি কিনব গল্প ভুল হবে বলার।
এই বুজি ফসকাল হাত আর কালো রাত
করে সময় গেল আয়োজনে।
প্রত্যেক দিন ভয় পাওয়া সব ইচ্ছেগুলো
অনেক ঝড়ের শব্দ শোনে”

5. আমার পরানো যাহা চায় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

আমি তোমারি বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস–
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী,  দীর্ঘ বরষ-মাস ।
যদি আর-কারে ভালোবাস,  যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও, আমি যত দুখ পাই গো ॥”

6. রঞ্জনা আমি আর আসবনা – অঞ্জন দত্ত 

সত্যিকারের প্রেম জানিনাতো কি সেটা
যাচ্ছে জমে হোম টাস্ক
লাগছে না ভালো আর মেট্রো-চ্যানেলটা
কান্না পাচ্ছে সারা রাত
হিন্দু কি জাপানী জানি না তো তুমি কি
জানে ঐ দাদাদের গ্যাং
সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি
পারবো না ছাড়তে এই ঠ্যাং
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না ।।

7. নিলাঞ্জনা – নচিকেতা 

সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়
হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময়
তখন উদাস মন ভোলে মনরঞ্জন
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা
ও মনের গভীরতা জানতে চায়
যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে
তাকাতো সে অবহেলে দু’চোখ মেলে
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা

8. ভুত ও তিলোত্তমা – রুপম ইসলাম 

Delete করছি তোমার SMS
আমার মগজ থেকে তোমায় করতে নিরুদ্দেশ
ভেবে নিতে পারো আমায় লস্ট কেস
সময় আমার কাঁচা তবু মনে পক্ক কেশ
ভেবে নিতে পারো আমায় লস্ট কেস
প্রিয়তমা কত ট্রমা
দাঁড়ি কমা আছে জমা
অসমাপ্ত পরে প্রাপ্ত
বাজেয়াপ্ত তর্জমা
মনে আগুন বনে ফাগুন
যেন ভূত আর তিলোত্তমা

9. পৃথিবীটা নাকি – জেমস 

পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে
ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দি
ঘরে বসে সারা দুনিয়ার সাথে
যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোতে
ঘুঁচে গেছে দেশ কাল সীমানার গণ্ডি
ভেবে দেখেছ কি
তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে
তারও দূরে
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে

10. লাল মাটির সরানে – শিলাজিৎ 

লাল মাটির সরানে মন আমার,
রইল পরে
জাম বনে আর নদির পাশে
নীল আকাশে
সেখানে ধুলোয় মাখা রইল পরে তোর চিঠি
বীরভূমের বিটিলো ,বল না কি  মিটিলো
না পেলি আমাকে আর তোকেও আমি পেলাম না
ঝরে আমি কুড়োয় এখনো কোনো দস্যি ছেলে
আমার আর রাখাল সাজা হল না।

শেষ কথা

প্রেম আমাদের জীবনে এক অভাবনীয় অনুভূতি যা আমাদের  সফলতা চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে আবার নিয়ে গিয়ে ফেলতে পারে আমাদের মপ্ন বলের একেবারে শেষ সীমায় যেখান থেকেএক ফায়ার আসার মত মনের বা শরীরে কোনো শক্তি ই আমাদের থাকে না. মনে হয় এই আমাদের জীবনের শেষ, আমাদের জীবনের আর কোনো কারন নেই, না আছে আমাদের বেঁচে থাকার কারন, সমস্ত পৃথিবী ই তখন অর্থ হীন মনে হয়। এমন সময়ে যদি সাথে থাকে কতগুলি অত্যন্ত কাছে বন্ধুর হাত বা একেবারে আপনজনের সাথে তবেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসা যায়. তবে এক যে আসা যায়না তা মোটেও নয়, অনেক মানুষ ই আছেন যারা নিজের মনের কথা বলতে পারেন না মুখ ফুটে তারা এই অসহনীয় সমস্যা একই পরেই আসেন, ও জীবনের বসন্ত উৎসবে সোল্লাসে মেতে ওঠেন বার বার। নিজেকে এই পৃথিবীর সমস্ত রসের ভাগিদার করে তোলেন।  পৰ না পৰ নির্বিশেষে সবাই গানের বা কবিতার সাহায্য নেন, একাত্ম হন, নিজেকে খুঁজে পান।  সেই সমস্ত মানুষ গুলোর জন্যি রইল এই কোটস।  ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।