Sad Quotes In Bengali – বিরহের কবিতা

বিরহকে কেন্দ্র করে লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ  প্রমুখ। ভাষায় ও ছন্দে  বিভিন্ন ভাবে তাঁরা নিয়ে এসেছেন মনের গভীরে প্রোথিত অনুভূতিকে। বাংলা ভাষায় রচিত রোমন্টিক পদ্যে বিরহ একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে।  নারী-পুরুষ নিয়ে এই বিশ্বচরাচর অনাদিকাল হতে চলছে।  তাই, নরনারীর সম্পর্ক  বিবর্জিত সাহিত্য কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। কেননা, সাহিত্য মানব জীবনেনরই প্রতিচ্ছবি। অধিকাংশ বাঙালি কবিই সম্ভবত এক বা একাধিকবার প্রেমে পতন বা বিরহে কাতর হয়েছেন।রবীন্দ্রনাথ এর কথাই ধরা যাকনা কেন…প্রথম জীবনে কাদম্বরী দেবীর বিরহে কাতর না হলে হয়তো তিনি এতো সৃষ্টিশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে কবিগুরু হয়ে উঠতেননা।  আমার কথা কেন জানি বিশ্বাস করতে ইচ্ছা কছেনা, তাইনা? আগ্রহ থাকলে  পত্রভারতীতে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় -এর এ বিষয়ে সাক্ষাৎ কারটি দেখুন।

কিংবা জীবনানন্দ দাস তার কবিতা “বনলতা সেন” এ যেভাবে বিরহের্ নিঃসঙ্গতা দেখিয়েছেন তা বাংলা সাহিত্যে অতুলনীয়।  আসলে জীবনানন্দ দাশের কবিতা প্রথম জনপ্রিয় হয় তার ‘বনলতা সেন” কাব্য-গ্রন্থটি  প্রকাশিত হবার পর। তার আগে তার একাধিক বই বেরিয়েছিল, প্রেমের কবিতাও লিখেছেন যথেষ্ট । কিন্তু বনলতা সেন এক অভিনব স্বাদ নিয়ে এলো ৷ ইতিহাস-মহ্তুন-করা এক নারীর কাছে কবি চেয়েছিলেন মাত্র দু’দণ্ডের শান্তি। বৈষ্ণব কবিতার ধারা ধরে রবীন্দ্র প্রণয়-গীথার যে সুর, তার আমূল পরিবর্তন হয় তিরিশের দশকে ।  আর বনলতা সেন কবিতাটিকেই ধরতে হয় এ দিক-বদলের চিহ্ন হিসেবে ।  এ প্রসঙ্গে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় -এর হৃদয় ছোয়া আবৃত্তি টি না উল্লেখ করেই পারছিনা।

ব্রেকআপ বা বিচ্ছেদ এই শব্দটা আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। প্রেমে ধোঁকা বা লেঙ্গি যাই হোক না কেন, দুটি মানুষের দুরে চলে যাওয়া বা বিচ্ছেদ বড়ই কষ্টের, প্রেম হোক বা বন্ধুত্ব যে কোনো বিচ্ছেদই আমাদের বেশ কষ্ট দেয়, আমাদের মন থাকে শরীর নুয়ে পরে মনের ভারে।দুটি মানুষ, দুটি অত্যন্ত ভালো মানুষ যে একসাথেও ঠিক ততটাই ভালো থাকবে এরম টা সবসময় হয়না; কারন সব মানুষেরই চাহিদা, ইচ্ছা, ভালো লাগা – মন্দ লাগা গুলো আলাদা হয়।  তাই তাল-মিলটাও ঠিকমতন থাকেনা।আর এরম সময়েই প্রয়োজন পরে খুব কাছের কাউকে বা মনের মতন কিছু যাতে ডুবে থাকা যায়। এই সময়ে গান, বই, বা সিনেমা যেকোনো একটি আমাদের শান্তি দেয়।  আর এই শান্তির খোঁজেই আমরা বার বার ফিরে যাই এমন কিছু লেখার প্রতি যা আমাদের সেই মানসিক অবস্থা কে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করতে পারে। এই সময়কার ব্যাথার কথা কবি ও লেখকেরা বর্ণনা করে গেছেন খুব সুন্দর করে, সেই রকমই কিছু দেওয়া হল যা আপনাদের ভাঙা মনে খানিক হলেও আদরের হাত বুলিয়ে দিতে পারে।

Break Up Quotes in Bengali – বিরহের কবিতা ও ভালোবাসার ছন্দ

প্রেমে বিচ্ছেদ আমাদের বরই কাতর করে তোলে , তখন সারা পৃথিবী রসাতলে গেছে মনে হয়। এই সময়েই যত রাজ্যের দুঃখের গান ও কবিতা আমাদের মনে ধরে, মনে হয় জীবনে কোনো সুখ নেই, স্বাচ্ছন্দ নেই; সব আনন্দ যেন আমাকে ছেড়ে নাম না জানা দেশে পারি দিয়েছে, আর কখনো ফিরবেনা বলে। এই সময়ের জন্যই কিছু ভালোবাসার ছন্দ রইল এখানে, যা আপনি সময়ে অসময়ে বিরহের ছবি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এ। এখানে রইল আপনার জন্য সেরা breakup status in bengali .

1. সুচেতনা, নয় তোমার কাছে কিছুই অজানা
তাহলে কেন দুরে সরে গেলে,
কেন তোমার হৃদয়ে আমার অস্তিত্বের
আগে প্রশ্নচিহ্ন রেখে দিলে ।
তুমিও তো আমায় ভালোবেসেছিলে –
সেকথা না বললেও আমি তো বুঝি ।
বুঝি তোমার মন কে, তোমার হৃদয়ের
প্রতিটি স্পন্দন-কে ।

2. যার পতিক্ষা করতে করতে আমি আজ
বেদনাতুর হৃদয় নিয়ে সুখে বেঁচে আছি —
তুমি আসবে বলে ।……সত্যিই কি তুমি আসবে?
আসবে কি আমার হৃদয়ের টুকরোগুলোকে
জোড়া লাগিয়ে নতুন স্পন্দন এনে দিতে ।
আসবে কি সব বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে আমার
বক্ষমধ্যে! আসবে কি তুমি , — সুচেতনা ??

3. হয়ত তোমার জন্য
বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় , হোটেলের জানালায়
এলোমেলো দমকা হাওয়ায় অবিন্যত্ত চুল-
কিছু জানা কিছু অজানায় , কিছু নিষিদ্ধ তাড়নায়
আকাঙ্খিত পরিণতি(না?) জীবনের বৃহত্তম ভুল

4. দাওনি অধিকার বিদায় বেলায় হাত টুকু ধরার !
তবুও তুমি-ই আমার স্বপ্নের নায়িকা ৷
গেছো চলে একলা ফেলে
হয়ত তোমার যোগ্য ছিলাম না আমি
কিন্তু পুরুষ ছিনাম , নেডাতে পারতাম প্রজ্জলিত বহ্নি !
কোনোদিনও কি একটা সুযোগও দিলে ?
শপিং মলে যাওয়ার আর রেস্তোরাঁয়  খাওয়ার বিনিময়ে
অঙ্গ বস্ত্র একে একে গেছো খুলে —
আজ লোকে তোমায় ভাবে বাথরুমই
তোম্রার শরীরী বর্ণনা রাস্তার গুঞ্জনে
শরীর ও সন্মানটুকু বিকিয়ে কী পেলে?

5. আজ আমি  শুষ্ক পুষ্প এক
কেও ফিরে তাকাবেনা  বারেক;
তবু হয়নি ব্যর্থ মোর জীবন
করিয়েছি চার চক্ষুৰ মিলন
হিয়ায় হিয় রাখি হাতে রাখি হাত,
চলার পথে প্রেরণা দিয়াছি কাছে দুরে যেখানেই থাক।
হয়তো শুষ্ক গোলাপ বইয়ের ভেতর পরে
প্রেমিকার হাতে তুলে দিতে হাত নড়বড়ে
কেঁপেছিল প্রেমিকের তারপরে
প্রিয়া নিশিদিন চুম্বে মোর, স্পর্শায় অধরে।
দর্শি প্রিয়ার প্রিয়ের নিবিড় আলিঙ্গনে
নিঃসার্থ সেবার আনন্দ পেয়েছিনু মনে।
আজ তারা কে কোথায় ! আছে কত দুরে
জানি নাকো; তাদের প্রেম স্মৃতি রেখোছ বুকে ধরে।

6.ভালোবাসা কিছু নয় , ভালোলাগাটাই সব —
তারই একটু চাই সুধু তব নয়নকোণে ৷
আমি ভালো আছি , বেশ ভালো আছি
সবাই যাও দেখে আমি খুব ডালো আছি ।
নিদ্রাতুর চোখে কোন কালে ভোরের আলো
আজ আর দেখিনা মিছি মিছি।
আর নেই আরব্য রজনীর দেশে গিয়েও উদাসী নয়ন
মনের কোণে কোনো এক বঙ্গললনার কপট অভিমান
শ্রীমতী থাক আর যাক , আজ খুশি শ্রীমান।

7. আমার স্বপ্নের নায়িকা
আজ হয়েছে নষ্টা
বেশ তো ছিলাম সর ভুলে ,
হঠাৎ করে স্বপ্নে এলে –
আজকের সবচেয়ে বড় সমস্য !
যতছিন ছিলাম সাথে দুজনাতে
সেন্ট্রাল পার্ক, নলবন, কিংবা ভিক্টোরিয়া –
দুজনের সমস্ত গোপন অভিসারে
বকে গেছি ঘন্টার পর ঘন্টা জুড়ে
তোমার ঠোঁট জুড়ে সতীত্ব আর আমার উঠতো ধোঁয়া ৷
তোমার বুকের উদ্ধত উষ্ণতায়
জ্বলতে চেয়েছি কতবার
মনের গোপন ইচ্ছেরা সব
লাশকাটা ঘরে নীরব, নিথর !

8. আজো রয়ে গেছে ভাঙ্গাচোরা স্মৃতিতে;
নীড়ে ফেরা পাখির কলরবে, আর্দ্র আঁখি পল্লবে
আর ফেলে আসা পথের যতিতে।
“দারিদ্র যবে দুয়ারে আসি দাড়ায়, প্রেম তবে গবাক্ষ পথে পালায়”
এই তো ছিল অমিমাংশিত সমীকরণ ;
পর্যাপ্ত পার্থিব প্রাচুর্য্যের প্রয়াস ছিল না — দিলেম স্বীকৃতি
বুকে ছিল বল , ভালবাসার আশ্রয়স্থল
চেয়েছি কি এমন নিষ্কৃতি !

9. চারিদিকে ভাষা ভাষা চাহুনি
অবিশ্বাসে ভরা দৃষ্টি ,
প্রতি মুহূর্তে বিষছে ; রক্তাক্ত হৃদয়
একি অনাসৃষ্টি !
চওড়া হাসির আড়ালে লুক্কায়িত
বিষাক্ত শূদন্ত !
হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়বে
নীল শরীরে মুক্তি দুরাগত ।
অসহায় যন্ত্রনায় যার বুকে রেখেছে মাথা
ব্যক্ত হয়েছে অব্যক্ত দু:খ গাথা
ক্রুর হাসি অন্তরে তার , বাহিরে নিস্পাপ আর্দ্রতা.
তৃষ্ণার্ত চোখের অধরা মরিচিকা ।

10. দুজনের সাথে চলার বুক ভরা আমন্ত্রণ –
পর্দা ঢাকা জানালায় আর হোটেলের দরজায়
ওৎ পেতে অসঃধ্য সম্মীকরণ
তোমার হৃদয়ের পাতায় আমার কবিতায়
সমস্ত সুলিখিত আগাম বার্তায়-
কোথাও ছিলো না তো হ্যায় ! পরিণতির কালো ছাই —–
নিয়তির ইচ্ছা সত্যি রোঝা দায় !
যা হওয়ার ছিলো হয়নি , যেভারে হওয়ার ছিলো তাও হয়নি
দুজনেই সরে গেছি আজ বহু দূরে;
শেষের পরেও একটি শুরু থাকে, আর সেটাও আমাদেরই হাতে
পারি নাকি আবার আসতে ফিরে?

শেষ কথা 

প্রেমের মত সুন্দর জিনিস যেমন হয়না , তেমনই প্রেমের মত ব্যাথাও কিছুতে হয়না। প্রেমের ব্যাথা বেশ গুরুতর, আর তার মলমও খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন।আর যে মলম পাওয়া যায় তা বেশ ক্ষণস্থায়ী; তাই মলম না পেলেও কিছুক্ষনের শান্তি পাওয়াই যায়, তার ই রসদ রইল ওপরে, শুধু মুখে মন খারাপের থেকে গানের সাথে মন খারাপ একটু বেশি সহনীয়। এখানে রইল একবিংশ শতাব্দীর কথায় যাকে বলা হয় bengali sad love shayari