কবিতা, বাংলা কবিতা – Bengali Poem

বন্ধুরা আমরা কবিতা কিন্তু খুব ভালোবাসি। কিন্তু বন্ধুরা কবিতা বলতে অনেক ধরণের কবিতা হতে পারে সেটা প্রেমের কবিতা বা রোমান্টিক কবিতা বা ভালোবাসার কবিতা ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু আজ আমি আপনাদের কিছু কবিতা শেয়ার করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

বাংলা কবিতা – Bengali Poem

1. বাংলার মানুষের বাড়ছে কষ্ট…
পরম প্রকৃতি যে আজ হয়েছে রুষ্ট ,
কত ফসল…কত সবুজ হয়েছে নষ্ট…
অপারগ তুমি, করেছো প্রকৃতিকে তুষ্ঠ ..?
প্রকৃতির দান কেউ কখনো করেছো গণ্য…?
মনে রেখো তবে,
যত বড়োই হও না তুমি politician…
যত বড়োই হওনা তুমি বিত্তশালী..
যত বড়োই হওনা তুমি মস্তান..
প্রকৃতির কাছে তুমি একেবারে তুচ্ছ।।

2. শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,
বনলতা সেন।
কোথায় গিয়েছ তুমি আজ এই বেলা
মাছরাঙা ভোলেনি তো দুপুরের খেলা
শালিখ করে না তার নীড় অবহেলা
উচ্ছ্বাসে নদীর ঢেউ হয়েছে সফেন,
তুমি নাই বনলতা সেন।
তোমার মতন কেউ ছিল কি কোথাও?
কেন যে সবের আগে তুমি চলে যাও।
কেন যে সবের আগে তুমিবিস্তারিত
3. পরাবাস্তব বৃষ্টিতে ভেজে বগলের বর্ষাতি–
শুকনো আষাঢ়, মিছে গর্জায় আকাশের কালো হাতি;
কখনো ধূসর নীলিমায় শু’য়ে গর্ভিনী কোনো মোষ
হতাশার মতো প্রসব করছে সাদা-সাদা খরগোশ!
এ-আষাঢ় যাবে সাদাকালো আর নীলের কোলাজ দেখে?
বর্ষাসংখ্যা সাময়িকী জুড়ে মেঘের পদ্য লে’খে?
ঈশানের দিকে চেয়ে দেখি যেই জমছে সম্ভাবনা
‘বৃষ্টি হবে না’ ঘোষণায় বলে ঢাকা বেতারের খনা।
অবচেতনের কোথায় তবুও কদমের ঘ্রাণ পাই:
অলীক জলের শিহরণে কাঁপে করিডোরে বনসাই–বিস্তারিত
4. উঠানের সেই দিকে আন্ধারের ইয়া লম্বা লাশ,
শিমের মাচার নিচে জোছনার সাপের ছলম,
পরীরা সন্ধান করে যুবতীর ফুলের কলম,
তারার ভিতরে এক ধুনকার ধুনায় কাপাশ,
আকাশে দোলায় কার বিবাহের রুপার বাসন,
গাবের বাবরি চুল আলখেল্লা পরা বয়াতির,
গাভির ওলান দিয়া ক্ষীণ ধারে পড়তাছে ক্ষীর,
দুই গাঙ্গ এক হয়া যাইতাছে- কান্দন, হাসন।
একবার আসবা না?- তোমারেও ডাক দিতে আছে
যে তুমি দুঃখের দিকে একা একা যোজন গিয়াছো?
একবার দেখবা না তোমারেও ডাক দিতে আছে
যে তুমি আঘাত নিয়া সারাদিন কি তফাত আছো?
যে নাই সে নাই সই, তাই সই, যা আছে তা আছে,
এমন পুন্নিমা আইজ, কোন দুঃখে দুয়ার দিয়াছো?
5. কে য্যান কানতে আছে- তার শব্দ পাওয়া যায় কানে,
নদীও শুকায়া যায়, আকালের বাতাস ফোঁপায়,
মানুষেরা বাড়িঘর বানায় না আর এই খানে,
গোক্ষুর লতায়া ওঠে যুবতীর চুলের খোঁপায়।
বুকের ভিতর থিকা লাফ দিয়া ওঠে যে চিক্কুর,
আমি তার সাথে দেই শিমুলের ফুলের তুলনা,
নিথর দুফুর বেলা, মরা পাখি, রবি কি নিষ্ঠুর,
আগুন লাগায়া দিবে, হবে খাক, তারি এ সূচনা।
অথচ আমারে কও একদিন এরও শ্যাষ আছে-
আষাঢ়ের পুন্নিমার আশা আর এ দ্যাশে করি না,
চক্ষু যে খাবলা দিয়া খায় সেই পাখি বসা গাছে,
অথচ খাড়ায়া থাকি, এক পাও কোথাও নড়ি না।
সকল কলস আমি কালঘাটে শূণ্য দেইখাছি,
তারে না দেইখাছি তাই দ্যাখনের চক্ষু দিতে রাজি।।
9. আপনি যে আছে আপনার কাছে,
নিখিল জগতে কী অভাব আছে।
আছে মন্দ সমীরণ, পুষ্পবিভূষণ,
কোকিল-কূজিত কুঞ্জ।
বিশ্বচরাচর লুপ্ত হয়ে যায়,
এ কী ঘোর প্রেম অন্ধ রাহুপ্রায়
জীবন যৌবন গ্রাসে।
তবে কেন, তবে কেন এ দুরাশা?
হৃদয়ে জ্বালায়ে বাসনার শিখা,
নয়নে সাজায়ে মায়া-মরীচিকা,
মন দিয়ে মন পেতে চাহি।
ওগো কেন,
কেন মিছে এ পিপাসা।
ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেন,
তবে কেন মিছে ভালোবাসা।
10. কবিরা তো চিরকাল মিথ্যুক , তবু
কি কবিতাগুলো মিথ্যে
বানানো কথার এই কিংশুক , স্ফুলিঙ্গ নিত্যে-
অনিত্যে..
ডাক দিলে কল্পনা পাখিটা , উপমার শীস দিয়ে বন্য
নাগরিক জীবনের বাকিটা , রূপকথা হবেই অনন্য।।