ডিপ্রেশন কবিতা – Depression Poems In Bengali

আপনি কী ডিপ্রেশন আছেন ? আপনি কী জানেন ডিপ্রেশন কাকে বলে ? ডিপ্রেশন কী ? চলুন একটু পরে নেওয়া যাক। বন্ধুরা আজ আমরা ডিপ্রেশনেই ব্যাপারে বা ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তার আগে আমি আপনাদের সাথে ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আমরা জন্য যে ডিপ্রেশন কাকে বলে ? বন্ধুরা ডিপ্রেশন  জিনিস যা কিনা মানুষকে আসতে আসতে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। সেই সময়টা যে যাই বলুক না কেন এক কান দিয়ে ঢোকাবে আরেক কান দিয়ে বের করবে। ডিপ্রেশন বা অবসাদ’ শব্দটি যদিও আমাদের অনেকের জানা আবার অনেকের জানা না থাকতেও পারে।

যদি আমরা ডিপ্রেশনের খুব কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজতে চাই, সবার আগে আসবে এই অবসাদ’ শব্দটি। অবসাদ – এই শব্দটির সাথে যে দুঃখ বা বিষাদ লেগে থাকে, সর্বনাশা রোগটিও ঠিক সেইরকমই।  যে বিভিন্ন আঙ্গিকে  ডিপ্রেশন বা অবসাদ রোগটিকে বোঝবার চেষ্টা করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র দেওয়া নিয়মাবলী (গাইডলাইন)। এই নিয়মাবলী অনুযায়ী, অবসন্ন মন (‘লো মুড’), শক্তিহীনতা (‘লো এনার্জী’) এবং উৎসাহহীনতা (‘লো ইন্টারেস্ট’)-কে ডিপ্রেশনের আওতায় ফেলা হয়েছে। তাই আজ আমি আপনাদের কাছে কিছু গুণী বেক্তির তথা নিজস্ব কিছু ধারণা নিয়ে আজকের আমার এই ডিপ্রেশন নিয়ে কবিতার সম্ভার।

1. জীবন চলছে না আর সোজাপথে দ্যাখো আজও হাসি কোনওমতে বেঁচে গেছি বলি হ’তে হ’তে হয়তো মরে গেলে হ’ত বেশি ভাল কেন এত সুখ ফেলে গেলো জীবনের সেরা স্মৃতিগুলো ?

 

2. বন্ধুদের ভিড়েও একলা একলা আমি খুঁজে ফিরি লক্ষ্য আমার পাল্টাচ্ছে না এই অবস্থাটা যদিও পাল্টে যাওয়াই দরকার। 

3. বন্ধুরা সব ফিরছে বাড়ি দূর থেকে… কেন যে আজ হিংসে হল তাই দেখে, দেখতে গিয়ে সন্ধ্যে হল জানলাতেই আগের মত মেঘ করেছে কান্না নেই কেবল মুঠোয় বন্দি কফির একলা কাপ ডিপ্রেশনের বাংলা জানি । মনখারাপ ।

4. ডিপ্রেশনের বাংলা নাকি নিম্নচাপ ? বৃষ্টি এল। সঙ্গে কফি এক-দু’ কাপ নামছে বিকেল, অল্প ভিজে রাস্তাঘাট ছাতার নীচে মিইয়ে গেল পাপড়ি চাট। 

5. কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে! বলে, কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাশ ঠেলে’। পড়ে না ক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা। কেহ বলে, বৌ-এ গিলিয়াছে গোটা। কেহ বলে, মাটি হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে! কেহ বলে, তুই জেলে ছিলি ভালো ফের যেন তুই যাস জেলে!

6. কাউকে কষ্ট দেব না, চেষ্টা করবো হাসি উপহার দেওয়ার। আমার জন্য যেখানে ক্ষতি হবে সেখান থেকে সরে আসবো, আর থাকবেনা কোনো কিছু পাওয়ার।

7. গতকাল বড়ো ছেলেবেলা ছিল আমাদের চারিধারে, দেয়ালের মতো অনুভূতিমাখা মোম জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে আমরা দেখেছি শিখার ভিতরে মুখ । গতকাল ছিল জীবনের কিছু মরণের মতো সুখ । গতকাল বড়ো যৌবন ছিল শরীরে শরীর ঢালা, ফুলের বাগান ঢেকে রেখেছিল উদাসীন গাছপালা ।

8. “কোন ভয় নেই। আমি আছি তো। আছিতো আমি।” এসব কাব্যে খুঁজে পাওয়া যায়।

9. সন্ধেবেলা শহরফেরত ভিড় ট্রেনে দীন ভিখিরি যেমন শোনায় অন্ধ গান – আমার তেমন মুখ লুকনোর জায়গা নেই। তুমিই আমার শান্তি খোঁজার সংবিধান।

10. অপেক্ষা তোমার ছায়াকে দীর্ঘতর করেছে। যেন কবরখানা থেকে উড়ে আসা কবুতর, যেন ওয়াইনের পাত্রে এলিয়ে থাকা রোদ, যেন ধাতব পাতের গা দিয়ে গড়িয়ে পড়া বয়স।

11. কবিতা এমনই থাকে। পুরাতন রীতির পোশাকে সে বোতাম। আধভাঙা। বহু পথ পাশ দিয়ে গেলে, তবে তার স্থিতি আসে। মানুষেরা ছুঁয়ে দ্যাখে তাকে কোনওদিন দূর থেকে হেঁটে এসে, দূরের বিকেলে।

12. তাকে বলে দিও, আমি নিজেকে লুকিয়ে আজও তাকেই ভালোবাসি। আমি নিজেকে খুঁজেছি তার সুরে। 

13. আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি, ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে-, এদেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?

 

14. এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা- তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার, নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পঁচা লাশ, মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস শরীর ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে । আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি ঘুমুতে পারিন। 

15. আমি থাকতে চাই ,নিয়ে একলা মন.. নিয়ে একলা দেশ। ভিতবু সান্তনা আমি চাইছি না পেতে আর। 
16. আমরা দু’জনে মাটি খুঁড়ে-খুঁড়ে লুকিয়েছিলাম প্রেম, গতকাল বড় ছেলেবেলা ছিল বুঝিনি কী হারালাম ! গতকাল বড়ো এলোমেলো চুলে, বাতাস তুলেছে গ্রীবা,, চুমু খেয়ে গেছে কৃষ্ণচূড়ার, উজ্জ্বল মধুরিমা । গতকাল বড়ো মুখোমুখি ছিল, সারাজীবনের চাওয়া, চোখের নিমিষে চোখের ভিতরে, চোখের বাহিরে যাওয়া। 

17. আসবে মানুষ একের পর এক। জন্মদিন। ফুলের ঝাঁকে ওই উদাসীন দীর্ঘ চোখ, দেখবে কোনও সীমান্তহীন অক্ষগ্রাম, নিন্দুকেরা এমনি বলে, একলা লোক ?