করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ – Covid19, Coronavirus

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা বর্তমানে আমাদের জীবনে করোনা ভাইরাস একটা দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ হয়ে আছে।  আর এই অংশটা কতদিন থাকবে সেটা এই মুহূর্তে কেউ বলতে পারবে না

১লা জুন, ২০২০ থেকে আমাদের শুরু করতে হবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, এ যুদ্ধে জিততে হলে, ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত আমাদের নিজেদের শরিরেই করোনা এন্টিবডি তৈরী করতে হবে। তাই সবাই প্রস্তত হই শারিরীক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবে!

Covid19 পজিটিভ হলে যা জানা জরুরিঃ-

1. ভিটামিন সি (যথাসম্ভব)
2. ভিটামিন ই (ট্যাবলেট পাওয়া যায়)
3. প্রতিদিন সকাল ১১টার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহানো.
4. কমপক্ষে একটি করে ডিম প্রতিদিন।
5. প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম।
6. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান এবং প্রতি বেলায় গরম খাবার খাওয়া.
এই কাজ গুলোই হাসপাতালে করা হয়।

করোনা ভাইরাসের দেহের pH এর মান 5.5 থেকে 8.5 তাই এর চেয়ে বেশি pH level এর খাবার গ্রহনের মাধ্যমে আমরা এর রাসায়নিক গঠন ভেংগে দিতে পারি।

5.5 থেকে 8.5 এর থেকে বেশি pH level এর কিছু খাবার হল :
লেবু – 9.9 pH

পাতিলেবু – 8.2 pH

এভোকাডো – 15.6 pH

রসুন– 13.2 pH *

আম- 8.7pH

ছোট কমলা – 8.5pH

আনারস- 12.7 pH

কমলালেবু – 9.2 pH

তারই সাথে জিংক ট্যাবলেট খেতে পারি। এর বাহিরেও চীন যে ভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করেছে তাও নেওয়া যেতে পারে।

চীনের প্রতিটি বাড়িতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রুগী আছে।কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা এই ভাইরাস এর জন্য কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না।তারা এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।এর পরিবর্তে তারা গরম জলের ভাপ দিয়ে ভাইরাসকে বিনাশ করছেন।এর জন্য তারা মাত্র ৩টি কাজ করছেন।
সেগুলো হলোঃ

1. তারা দিনে চারবার কেটলি থেকে গরম জলের ভাপ নিচ্ছেন।

2. দিনে চারবার গরম জল দিয়ে গারগেল করছেন।

3. আর দিনে চারবার গরম চা পান করছেন। এভাবে টানা চারদিন এই ৩টি কাজ করেই ভাইরাসটিকে দমন করছেন তারা। এভাবেই পঞ্চম দিনে হচ্ছেন করোনা নেগেটিভ।

আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত?

1. গলা চুলকাবে
2. গলা শুকিয়ে আসবে
3. শুকনা কাশি হবে
4. তীব্র জ্বর
5. শ্বাস ছোট হয়ে আসবে
6. গন্ধ ও স্বাদের অনুভুতি চলে যাবে

তাই এই লক্ষনগুলো দেখার সাথে সাথে গরম জল ও লেবুর রস খেতে শুরু করুন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শেয়ার করুন আপনি জানুন, অন্যকে জানতে সহায়তা করুন।

এই মহামারীর মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সহ নাগরিকদের কাছে সাতটি বিষয়ে সঙ্গ প্রার্থনা করেন—-

প্রথমত : বাড়িতে বয়স্ক মানুষদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে, এমন ব্যক্তি, যাঁদের পুরনো রোগ আছে, তাঁদের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল হতে হবে। তাঁদের করোনা থেকে অনেক সামলে রাখতে হবে।

দ্বিতীয়ত : লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের ‘লক্ষ্মণ রেখা’ সম্পূর্ণ রূপে পালন করতে হবে, বাড়িতে তৈরি ফেস কভার বা মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

তৃতীয়ত : নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশাবলী পালন করা উচিৎ।

চতুর্থত : করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ অবশ্যই ডাউনলোড করা দরকার। অন্যদেরও এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে উৎসাহিত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পঞ্চমত : যতটা সম্ভব প্রতিবেশী গরিব পরিবারগুলির দেখাশোনা করতে হবে । তাঁদের খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করা প্রয়োজন ।

ষষ্ঠত : যাঁদের যাঁদের নিজেদের ব্যবসা আছে বা যারা শিল্পোদ্যোগী,তাঁরা, তাঁদের সংস্থার কর্মরত মানুষদের প্রতি সংবেদনশীল হন, কাউকে চাকরি থেকে বের করে দেবেন না। যাতে এই সব মানুষদের জীবিকা সঙ্কট না হয়।

সপ্তমত : দেশের ‘করোনা যোদ্ধা’, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে হবে।

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে কবিড এর কোনো শেষ কথা নেই। ভালো থাকতে হলে আপনাকে শুরু করতে হবে এখুনি। হয়তো আপনি ঠিক আছেন, বা হয়তো আপনি মনে করছেন যে আপনার তেমন কিছু হবে না অর্থাৎ আপনি নিশ্চিত হয়তো যে আপনি করোনা আক্রান্ত হবেন না, কারণ আপনি তেমন কোনোরকম সঙ্গ বা কারোর সাথে মেলা মেশা করেন না বা আপনি একদমই বাইরে যান না তাই আপনার এইরকম ধারণা। কিন্তু আমি আপনাকে বলবো যে পুরোপুরি না হলেও ধারণাটা আপনার ভুল। কোথায় কিভাবে একটা ছোট্ট জিনিস থেকে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন সেটা একমাত্র ভগবান ছাড়া কেউ আমরা বলতে পারবো না। সুতরাং একটাই কথা বলবো যে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুরতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে হবে। মুখে মাস্ক যেটা এখন অত্যন্ত জরুরি সেটা ব্যাবহার করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলতে হবে। বাইরে থেকে আসার পর সেই জামাকাপড় ধুয়ে দিতে হবে। জামা কাপড় সূর্যের তাপ এ সকালে হবে। এইগুলো এখন  আপনাকে মেনে চলতে হবে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য। আপনি এই যুদ্ধে জয়ী হবেন এটাই আমাদের কাম্য। ভালো থাকবেন।