প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোজনা – Pradhan Mantri Shramyogi Mandhan Yojana

বড় ঘোষণা কেন্দ্রের ! মাসিক ৩,০০০ টাকা নিশ্চিত পেনশন

অবসরের পর জীবনটা সুন্দর করতে চান? তাহলে কিছু না ভেবে এখনই কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পেনশন যোজনায় নিজেকে নথিভুক্ত করুন (Pradhan Mantri Sram Yogi Mandhan Yojana) ৷ যা কিনা আপনার জন্য কার্যকরী ৷ এই যোজনার সুবিধা পাবে যে কোনও অসংগঠিত সংস্থাতে কর্মরত ব্যক্তি ৷ তাঁরা ইচ্ছে করলেই এই যোজনাতে নাম নথিুভুক্ত হতে পারে ৷

এই যোজনাতে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আপনাকে মাসে অন্ততপক্ষে ১৫ হাজার টাকা বেতন হতে হবে ৷ প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সের পর প্রত্যেক মাসে মিলবে ৩০০০টাকা ! এই যোজনায় ব্যক্তির বয়স যদি হয় ২৯ , তাহলে প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা জমা দিতে হবে এই যোজনাতে ৷ যদি ব্যক্তির বয়স যদি হয় ১৮, তাহলে ৫৫ টাকা জমা দিতে হবে এই যোজনাতে৷ ৪০ বছর বয়স হলে ২০০ টাকা ৷ এই স্কিম চালু হবে ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষ থেকে ৷

এই যোজনায় ব্যক্তির বয়স যদি হয় ২৯ , তাহলে প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা জমা দিতে হবে এই যোজনাতে ৷ যদি ব্যক্তির বয়স যদি হয় ১৮, তাহলে ৫৫ টাকা জমা দিতে হবে এই যোজনাতে৷ ৪০ বছর বয়স হলে ২০০ টাকা ৷ এই স্কিম চালু হবে ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষ থেকে ৷

দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের ভাস্ত্রালে নির্ধারিত কিছু কর্মীর মধ্যে এই বিমার কার্ডও বণ্টন করেন তিনি। অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা যাতে ৬০ বছর বয়সের পর নিয়মিত মাসিক ৩,০০০ টাকা করে পেনশন পান তা সুনিশ্চিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা করল কেন্দ্র। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময় এই প্রকল্পের উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য এ ধরনের বিমা প্রকল্প আনা হল। প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সম পরিমাণ অর্থ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হবে।’ মাসিক ১৫ হাজার টাকার কম বেতন পান এমন কর্মীদের নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার আবেদন জানান তিনি। এই প্রকল্প কার্যকর করার দায়িত্ব ভারতীয় জীবন বিমা নিগমকে দেওয়া হয়েছে। বাজেটে এই প্রকল্প প্রথম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই কর্মী নথিভুক্তির কাজ শুরু হয়ে যায়। শীঘ্রই প্রকল্পে নথিভুক্ত কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি অতিক্রম করবে বলে এ দিন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ১০.৯৫ লক্ষ কর্মী এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। দেশের ৩৬টি রাজ্যে প্রায় ২.৩৬ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টারে এই নথিভুক্তির কাজ চলছে। এই প্রকল্পের জন্য বাজেটে ৫২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। প্রয়োজনে অতিরিক্ত অর্থ জোগানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কেন্দ্র।

এই প্রকল্পে হকার, রিক্সা চালক, নির্মাণকর্মী, কাগজ কুড়ানি, বিড়ি শ্রমিক থেকে শুরু করে সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা ১৮ বছর বয়স হলেই যোগ দিতে পারবেন। ১৮ বছরে এই প্রকল্পে যোগ দিলে মাসে ৫৫ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে এবং ৬০ বছর পর্যন্ত এই টাকা দেওয়া যাবে। ৬০ বছর বয়স অতিক্রমের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মাসে ৩,০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন।

গোটা দেশে এই প্রকল্প শুরু হয়ে গেলে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী এর আওতায় আসবে বলেই আশাবাদী প্রসাদ। দেশের মোট ৪৭.২৯ কোটি কর্মীর ৮৮ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রের।

এর আগে, ইউপিএ জমানার পেনশন প্রকল্প ‘স্বাবলম্বন’-এর খোলনলচে বদলে নতুন পেনশন প্রকল্পের নামকরণ করা হয় অটল পেনশন যোজনা (এপিওয়াই)। মূল লক্ষ্য দেশের দরিদ্র এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের বৃদ্ধ বয়সে আয়ের ব্যবস্থা করা।

২০১৫ সালের ১ জুন থেকে অটল পেনশন যোজনা শুরু করে কেন্দ্র। পেনশন প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুদান এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশন দেওয়া হবে স্থির করা হয়। ১৮ বছর বয়স থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রকল্পে যোগ দেওয়া যায় এবং ৬০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর গ্রাহকদের ন্যূনতম মাসিক ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই প্রকল্পে।

এর ফলে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের কাছে এখন দু’টি পেনশন প্রকল্পের বিকল্প রয়েছে। অটল পেনশন যোজনায় ১৮ বছর বয়সে মাসিক ৩,০০০ টাকার প্রকল্পে যোগ দিলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে মাসে ১২৬ টাকা দিতে হয়। সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে মাসে ২১০ টাকা অনুদান দিতে হয়। কাজেই, কোনও ব্যক্তি চাইলে মাসে মাত্র ১৮১ টাকা দিলেই ৬০ বছর বয়সের পর মাসিক ৬,০০০ টাকা পেনশন পাবেন। মাসে ২৬৫ টাকা খরচ করতে পারলে ৬০ বছর অতিক্রমের পর ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। শুধু তাই নয়, অটল পেনশন যোজনায় গ্রাহকের মৃত্যু হলে জমা রাশির পুরোটাই তাঁর নমিনি পাবেন। অর্থাৎ, পেনশনের পাশাপাশি জমা রাশি ফেরত পাওয়ার সুবিধাও রয়েছে ওই প্রকল্পে।

শেষ কথা  

আমাদের এখানে অনেক বিয়ষয়ের ওপর অনেক অনেক প্রকল্পের ব্যাপারে দেওয়া আছে যেটা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। আমাদের পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে জানানোর চেষ্টা করুন আর এমডির একটু কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। ভালো থাকবেন