খুশকি দূর করার উপায় – Dandruff Treatment in Bengali

শীত শেষ, খুশকি তবুও নাছোড়বান্দা ! ১০টি সহজ টোটকায় গায়েব করুন খুশকি !

হ্যালো বন্ধুরা আমি শান্তনু। শীত প্রায় শেষ বললেই চলে আর আস্তে চলেছে সেই আবার প্যাচপ্যাচে গরম। সত্যি কাঁপুনি ঝঁকুনি দিয়ে হলেও আমরা বেশ লেপের তলায় ভালোই ছিলাম। কিন্তু কি আর করা যাবে আমাদের ভারত বর্ষের এটাই তো এক অনবদ্য মহিমা ঋতুর। তো বন্ধুরা এই গরমের মধ্যে আমাদের অনেকের মাথায় খুশকি যাকে আমরা ইংরেজিতে বলি Dandruff দেখা যায়। বা যারা বাইক চালায় হেলমেট পরে তাদের মাথায় তো হয়েই থাকে কম বেশি, বা যাদের হয়না বা যাদের নেই একদম তাদের ব্যাপার আলাদা। কিন্তু যাদের আছে এই সমস্যা তাদের জন্য আজ আমি কিছু সহজ টোটকা যাতে থাকবে চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় বাখুশকির চিকিৎসা (Dandruff Home Remedies) .

বন্ধুরা আমাদের আগে জানতে হবে খুশকি কেন হয় খুশকি সমস্যায় কখনোই ভোগেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না! কারণ এটা অতি সাধারণ একটা সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটা ক্রম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি পড়ে এবং মাথা চুলকায়। মাথায় খুশকির সৃষ্টি নানা ভাবে হতে পারে। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, যদি চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়। শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও ধুলাবালিযুক্ত। ফলে খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। যাঁদের খুশকির সমস্যা অন্যান্য সময় থাকে না, দেখা যায় শীতকালে তাঁদেরও খুশকির সমস্যা হয়।

মাথায় খুশকির সৃষ্টি নানা ভাবে হতে পারে। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, যদি চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়! আসুন, জেনে নেই চিরতরে এই সমস্যা দূর করার উপায় বা খুশকি দূর করার কার্যকরী উপায়

1.পরিষ্কার শ্যাম্পু কজা চুলে টকদই নুনের মিশ্রণ লাগান। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহ টানা করলে খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন !

2. সমপরিমাণ নারকেল তেলে – পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে দুদিন মাথায় মাখুন এই মিশ্রণ। ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন কখনই এই তেল সারারাত মাথায় রাখবেন না।

3. মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। সারা রাত জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন মেথিগুলো তুলে নিয়ে বেটে নিন ও নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।টকদইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে শ্যাম্পু করুন।

4. শ্যাম্পু করার আগে ভাল করে মাথা ভিজিয়ে নিন। এবার হাতে নুন নিয়ে সারা মাথায় ভাল করে ঘষে নিন। খুশকি গায়েব।

5. পিঁয়াজের রস, ডিমের সাদা অংশ ও পাতিলেবুর রস দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। মাথায় আধ ঘণ্টা লাগিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে  একটি ডিমের সাদা অংশ, ৪ টেবিল চামচ টকদই ও পিঁয়াজের রস পরিমান মতো নিয়ে খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন।

6. পুরনো তেঁতুল জলে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।

7. টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেন্দি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।

8. চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

9. পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।

10. কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে আমলকী পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। তিন মিনিট এই পেস্ট মাথার ত্বকে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণ চুলের ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকি কমাতে সাহায্য করে।

খুশকি দূর করতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন

খুশকি দূর করার শ্যাম্পুর নাম – খুশকির জন্য শ্যাম্পু (Dandruff Treatment Shampoo)

পতঞ্জলি কেশকান্তি অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ হেয়ার ক্লিনজার, ২০০ মি.লি.

ডক্টর বাত্রা’স ক্লিনজিং শ্যাম্পু, ১০০ মি.লি.

হেড অ্যান্ড শোল্ডার অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু, লেমন ফ্রেশ শ্যাম্পু

সার্ভ অ্যালোভের ক্লিনজিং অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু উইথ টি ট্রি অয়েল, ১৫০ মি.লি.

বায়োটেক বায়ো মার্গোসা অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার, ১৯০ মি.লি.

শেষ কথা 

নিয়মিত চুল আঁচড়ান। এতে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। পুষ্টিকর খাবার খান। এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে। চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি। কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে খুশকির মতো হয়। তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হোন।ভালো লাগলে প্লিজ কমেন্ট করবেন আর আপনাদের বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন।