খুসখুসে কাশির সমস্যা, খেয়ে দেখুন আদা-মধুর চা – Cold and Cough Home Remedies

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমাদের সর্দি কাশি সবার কম বেশি হয়েই থাকে সেটা নিয়াই কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমাদের এই সর্দি কাশি ১২ মাস লেগে থাকলেও শীতকালে এর প্রভাব বেশি। আজ আমরা জানবো যে কিভাবে আমাদের ঘরোয়া বেশ কিছু মজার উপায়ে খুসখুসে কাশির সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। আজ আমরা জন্য যে – খুসখুসে কাশি হবার কারণ, কাশি ভালো না হওয়ার কারণ, , কাশির ট্যাবলেট, শুষ্ক কাশির ঔষধ, শুকনো কাশির ঔষধ, কাশির জন্য এন্টিবায়োটিক, শুকনো কাশির সিরাপের নাম, ইত্যাদি ইত্যাদি। 

কাশি কী কী কীরণে হয় ? 

ঠান্ডা লাগা ছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাশির অজস্র কারণ আছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ চারটি-

1. ইনফ্লামেটরি বা প্রদাহজনিত কাশি। মূলত শ্বাসনালী বা ফুসফুসে রক্ত চলাচল বেড়ে গিয়ে এই কাশির সৃষ্টি। ল্যারেনজাইটিস অথবা ফ্যারেনজাইটিস জাতীয় রোগ এই ধরনের কাশির জন্য দায়ী।

2. মেকানিক্যাল অর্থাৎ বাইরে বা ভিতর থেকে তৈরি হওয়া কোনও চাপের ফলে সৃষ্ট কাশি। ধরা যাক, শ্বাসনালীর ভিতরে কোনও টিউমার হয়েছে। তার চাপে কাশি হতে পারে। হৃদরোগের জন্য কাশিও একই পর্যায়ের।

3. কেমিক্যাল অর্থাৎ সিগারেট, বিড়ি বা কোনও তামাক জাতীয় বস্তু গ্রহণ করার জন্য কাশি। যে কোনও গ্যাস যেমন, গাড়ির পোড়া কার্বন কিংবা ক্লোরিনের ঝাঁজালো গ্যাস অথবা কোনও কিছু পোড়া বস্তু থেকে বের হওয়া ধোঁয়ার কারণে হওয়া কাশি এর উদাহরণ।

4. থার্মাল – আবহাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডা বা গরমের মধ্যে যাতায়াতের ফলে সৃষ্ট কাশি এর উদাহরণ। ঋতু পরিবর্তনের সময় এখন যে কাশি চারিদিকে মানুষের হচ্ছে তা এই ধরনের কাশির মধ্যে পড়ে।

খুসখুসে কাশির সমস্যা– শীতে সর্দি-কাশি সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কাশি থামতেই চায় না। এ সময় আদা ও মধুর চা খুবই উপকারী। আদা কুচি করে গরম জল বা গরম চায়ে দিয়ে পান করুন। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা একেবারেই দূর হবে।

খুসখুসে কাশি, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য আদা চায়ের জুড়ি নেই। আদা চা বুকে জমে থাকা কফ দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা জ্বরে খেতে পারেন আদা চা। ঠাণ্ডা সারাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে আদা চা।

এ ছাড়া চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালিজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদও দূর হয়।

আসুন জেনে নিই কীভাবে তৈরি করবেন আদা চা –

উপকরণ

২ কাপের বেশি জল । ২ ইঞ্চি খোসাসহ আদা। চা পাতা আধা চা-চামচ। স্বাদমতো মধু বা চিনি (ইচ্ছে হলে নাও দিতে পারেন)।

পদ্ধতি

জল ভালোমতো ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত জল আদা থেতলিয়ে দিয়ে দিন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর চা পাতা ও চিনি দিন। ভালোমতো ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে লেবুর রস দিন।

চরিত্রগত ভাবে অবশ্য কাশি দু’রকমের –

1. ড্রাই বা শুকনো কাশি

2. প্রোডাকটিভ বা কফ উৎপাদক কাশি।

শুকনো কাশি হয় টিবির প্রথম অবস্থায়। এ ছাড়া ল্যারেনজাইটিস, ফ্যারেনজাইটিস বা ট্রাকিয়াটাইটিস হলে এই ধরনের কাশি হয়। আলজিহ্বা বড় হলেও এই কাশি হয়। অত্যন্ত বিরক্তিকর এই কাশির চরিত্র। সর্বক্ষণ কাশতে থাকেন রোগী। রাতের দিকে কাশির তীব্রতা বাড়ে। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে গলার রোগে নিয়মিত ভোগেন এমন মানুষদের এই ধরনের কাশি হয়।

অন্য দিকে, কফ উৎপাদক কাশির ক্ষেত্রে কফের পরিমাণ, রঙ, গন্ধ এবং সময় বিচার করে কাশির কারণ চিহ্নিত করেন চিকিৎসকেরা।
– কাশির সঙ্গে পুঁজের মতো কফ হলে বুঝতে হবে রোগীর ফুসফুসে ফোঁড়া হয়েছে।
– যদি কফের রঙ হলদেটে হয় বুঝতে হবে সংক্রমণজনিত কাশি।
– কালচে বা ধূসর রঙের হলে বুঝতে হবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বাতাসের ধুলোময়লা ঢুকে সংক্রমণ হয়ে কাশি হচ্ছে।
– লালচে-কালো রঙের কফ হলে বুঝতে হবে নিউমোনিয়ার জন্য কাশি হচ্ছে।
– কফের রঙ যদি গোলাপি হয় তা হলে কাশির কারণ ফুসফুসে পানি জমা।
– শরীরের অবস্থানগত কারণে কাশির হ্রাস-বৃদ্ধি হলে; যেমন ডান দিকে পাশ ফিরে শুলে যদি বেশি কাশি হয়, তখন বুঝতে হবে ফুসফুসে সমস্যা অথবা ব্রঙ্কাইটিস থেকে কাশি হচ্ছে।

কী করবেন ?

1. এসময় তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জামাকাপড় পড়তে হবে।

2. যাদের অ্যালার্জির ধাত তাদের ধুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

3. যারা সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করেন তাদের তা বন্ধ করতে হবে।

4. রোদে বা গরমে শরীর ঘেমে গেলেও এখনই এসি ব্যবহার করা যাবে না। ভেজা পোশাক খুলে গা মুছে পোশাক বদলে নিন।

5. রাতে মাথার দিকে জানলা খুলে ঘুমাবেন না। গায়ে চাদর রাখতে হবে। কারণ, রাত যত বাড়বে ততই তাপমাত্রা কমবে।

6. উষ্ণ গরম জল স্নান করুন। খুব সকালে বা রাতে স্নান না করাই ভালো।