রূপচর্চায়, ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন টুথপেস্ট

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের রূপচর্চায় ও ত্বকের যত্নে ব্যবহার সম্পর্কে কিছু টোটকা ঘরোয়া পদ্ধতি জানাবো যাতে আপনারা অতি সহজেই ঘরে বসেই ভালো থাকতে পারেন। ঘরোয়া রূপচর্চা

মুখে, বিশেষ করে দুই গালে, কপালে, গলায়, পিঠে একটা বয়সের পর দাগ-ছোপ পড়ে মোটামুটি সব মহিলারই। তবে যাঁরা নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন, রোদের হাত থেকে সুরক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন, তাঁরা দীর্ঘদিন এই ধরনের স্পটের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে সক্ষম হন। তাই ত্বকের যত্নআত্তির ব্যাপারে কোনওরকম সমঝোতা না করাই ভালো। নিয়মিত ক্লেনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চরাইজ়িংয়ের রুটিন মেনে চলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিশ্চিত করুন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকছে। মনে রাখবেন যে আমরা আজকাল দিনের অনেকটা সময়, এমনকী রাতের বেলাতেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকি। তাই যতটা আন্দাজ করা যায়, আসলে আপনার ত্বকের তার চেয়ে অনেক বেশি আর্দ্রতা প্রয়োজন। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, সুইট আমন্ড অয়েলও ময়েশ্চরাইজ়ার হিসেবে খুব কাজের। আপনার ত্বকের জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো, সেটা কেবল বুঝে নিতে হবে।

আমাদের মুখের ত্বকেরও কিছু চাহিদা থাকে যা আমরা পূরণ করতে পারি নাইট ক্রিমের মাধ্যমে। একমাত্র ঘুমের সময় আমাদের শরীর, ত্বক অনেক বেশি রিলাক্স থাকে তাই রাতে ক্রিম খুব ভালো কাজ দেয়। রাতের জন্য তৈরি ক্রীম গুলোতে আলাদা কিছু উপাদান থাকে, যা সারা রাত ত্বককে পুষ্টি যোগায়। আর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তবে যাদের ব্রণ আছে তাদের নাইট ক্রিম ব্যবহার না করাই ভাল। চলুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তিনটি নাইট ক্রিম বানানোর নিয়ম : Beauty Tips Fairness Home Remedies – Bangla Beauty Tips For Fairness

ত্বকের দাগ দূর করার গোপন কিছু ঘরোয়া কৌশল,বড় কোনো আঘাত থেকে সৃষ্টি ক্ষতের দাগ যে কেবল ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে তা নয়। বরঞ্চ ব্রণের দাগ, বসন্তের দাগ, পোকা কামড়ানোর দাগ সবই কিন্তু মুখে নিজের উপস্থিতির ছাপ রেখে সৌন্দয যায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা

শুধু দাঁত নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও সমান কার্যকর টুথপেস্ট! ত্বকের যত্নে টুথপেস্ট দিতে পারে এমন কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা যা নামী-দামি প্রসাধনীও দিতে পারে না। ত্বকের কয়েকটি সাধারণ সমস্যার সমাধানে টুথপেস্টের অসাধারণ ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন…

ব্রণ-এর সমস্যায়

ব্রণর সমস্যাতেও টুথপেস্ট দারুন কার্যকরী। বিশেষ করে ব্যথাযুক্ত ব্রণর ক্ষেত্রে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণর উপর টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণর ফোলা ভাব অনেক কমে গিয়েছে আর ব্যথাও অনেক কম।

মুখের বলিরেখার সমস্যায়

শুধু যে বয়স বাড়লেই ত্বকে বলিরেখা পড়ে, তা কিন্তু নয় ! অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণেও আকালে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। টুথপেস্টকে জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এবার মুখ, গলায়, ঘাড়ে এটির প্রলেপ লাগান। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পেস্ট শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এ ভাবে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বলিরেখার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

অনুজ্জ্বল ত্বকের সমস্যায়

চটজলদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে টুথপেস্টের জুড়ি মেলা ভার! বাইরে যাবার আগে যদি ত্বকের যত্ন নেবার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকে তাহলে ব্যবহার করুন টুথপেস্ট। সাধারণ ফেসওয়াসের মতোই টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ত্বক

হোয়াইট হেডস-এর সমস্যায়: ধুলো-ময়লা, দূষণ, মেকআপ ইত্যাদির কারণে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে। ফলে দেখা দেয় ব্ল্যাক হেডস। ব্ল্যাক হেডস-এর পূর্ববর্তী অবস্থা হল হোয়াইট হেডস। এতে লোপকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। যে সব জায়গায় এই হোয়াইট হেডস রয়েছে যেমন, নাক, কপাল, চিবুক— সে সব জায়গায় পুরু করে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগান। শুকিয়ে গেলে খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলুন। এরপর ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল মিলবে চমকে দেওয়ার মতো!

টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
  •  ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
  •  এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
  • ১৫ মিনিট পর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
  • সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

 শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।

৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।

এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।

এরপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

 দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
  • ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
  •  এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
  • জল দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
  • সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে তেমন কিছু বলবো না। একটা কোথায় বলতে চাই কোনো কিছু চিন্তা না করে আজকেই আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমার এই ঘরোয়া টোটকা ব্যাবহার করতে পারেন। ভালো থাকবেন।