নাক ডাকার সমস্যা সমাধান – How to Stop Snoring While Sleeping

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

একঝলকে দেখে নেওয়া যাক hide

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের আমাদের মধ্যে অনেকেরই একটি বিশেষ ধরণের সমস্যা যেটা হলো নাক ডাকা। মানে তা সোজা ভাবে বলতে গেলে আমরা অনেকেই বিভোর ঘুমের মধ্যে নাক ডাকি। যেটা কিনা অসহ্য কর হয়ে ওঠে অন্য জনের যে বা যারা পাশে থাকেন। তারা ঘুমোতে পারেন না আপনার বা মার এই নাক ডাকার কারণে। বিকট একটা শব্দ যার ফলে শত চেষ্টা করে থাকলেও অন্যজন ঘুমোতে পারেন  না। তাই আমি শান্তনু আজ আপনাদের এই নাক ডাকা য়হেকে কিভাবে বাঁচবেন আর এই নাক ডাকা থেকে কিভাবে আপনি নিজে মুক্তি পাবেন সেই কোথায় জানাবো। আমরা জন্য যে –  নাক ডাকার হোমিও ঔষধ, নাক ডাকা বন্ধের ক্লিপ, নাক ডাকার ঘরোয়া সমাধান, নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়, নাক ডাকা বন্ধের হোমিও ঔষধ, নাক ডাকা বন্ধ করার মেশিন, নাক ডাকা বন্ধের ডিভাইস ইত্যাদি ইত্যাদি। 

নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় -How to Stop Snoring Home Remedies

আপনার সঙ্গী কি ঘুমোলেই নাক ডাকেন? সঙ্গীর ‘নাসিকা গর্জন’-এ কি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারছেন না? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই! আপনার সঙ্গী কি ঘুমোলেই নাক ডাকেন? সঙ্গীর ‘নাসিকা গর্জন’-এ কি রাতের পর রাত ঘুমোতে পারছেন না? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই!

নাক ডাকার সমস্যা বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাঝবয়সীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ আর ২০ শতাংশ মহিলাই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও স্বাস্থের পক্ষে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

জার্মানির মিউনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, স্লিপ ডিসঅর্ডারের এই সমস্যায় হৃদপিণ্ডের ডান এবং বাঁ দিকের ভেন্ট্রিকুলারের মারাত্মক ক্ষতি হয়।  এই সমস্যার চিকিত্সা অবশ্যই রয়েছে। তবে ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কী ভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক…

ধূমপান ছাড়তে হবে

ধূমপানের কারণে এমনিতেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কিছু জটিলতা তৈরি হয়। আবার ধূমপান থেকে টারবাইনেটস নামে নাকের বিশেষ এক ধরনের টিস্যু স্ফীত হয়ে যেতে পারে এবং এ থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ধূমপানের এই দুই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। ধূমপানের বদ-অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলে আপনার আর আপনার সঙ্গীর রাতের ঘুমই শুধু ভালো হবে না, তা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের নাটকীয় উন্নতিতে সহায়ক হবে।

গাজর – আপেলের রস

শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে খুবই কার্যকর। শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে খুবই কার্যকর।

২টি আপেল ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিয়ে ব্লেন্ড করুন অথবা মিহি করে বেটে নিন। এ বার ২টি গাজর কেটে ব্লেন্ড করুন অথবা মিহি করে বেটে নিন।

এর পর একটি পাতিলেবুর ১/৪ অংশ কেটে (এক চামচের মতো) তার রস চিপে এতে দিয়ে দিন এবং এর সঙ্গে এক চামচ আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কিছুটা জল দিয়ে বেশ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন।

এই পানীয়টি নিয়মিত পান করতে পারলে নাক ডাকার সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত পরিমাণে মসলাযুক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীতে বেশি মাত্রায় অ্যাসিডের প্রতিক্রিয়া শুরু হতে পারে। অনেক গবেষণা থেকেই দেখা গেছে, এজাতীয় সমস্যার সঙ্গে নাক ডাকার সম্পর্ক আছে।  যদি কিছুতেই নাক ডাকার কারণ খুঁজে বের করতে না পারেন, তাহলে খাবারদাবারে মসলার পরিমাণ কমিয়ে বিষয়টা পরীক্ষা করে দেখতে ক্ষতি কি।

হলুদের চা

  • হলুদ হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি উপাদান।
  • দুই কাপ জল মাঝারি আঁচে বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
  • এতে এক চামচ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দিন (গুঁড়ো হলেও চলবে)। এ বার আবার জ্বাল দিতে থাকুন।
  • যখন জল ফুটে এক কাপ পরিমাণে চলে আসবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ফেলুন।
  • এ বার আধা চামচ মধু ও ৩-৪ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
  •  নিয়মিত ঘুমুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এটি পান করতে পারলে নাক ডাকার সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।

শোয়ার ভঙ্গি বদলান

যাঁদের নাক ডাকে, তাঁরা চিত্ হয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে শোয়ার অভ্যাসটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন। আর যদি চিত্-কাত হতে হতে আর সঙ্গীর খোঁচা খেতে খেতে বিব্রত হয়ে থাকেন, তাহলে সঙ্গীর দিকে পিঠ দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। আপনার পাজামায় কোমরের কাছে একটা টেনিস বল গুঁজে রাখলে আপনা-আপনি চিত্ হয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পেয়ে যেতে পারেন। এতে নাক ডাকাও কমতে বা বন্ধ হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কমান

অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর একটা। আপনার ওজন যত বেশি হবে, নাক ডাকার আশঙ্কাও তত বেশি বাড়তে থাকবে। আর অতিরিক্ত মুটিয়ে মানুষের নাক ডাকার শব্দও কিন্তু বেশি। ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। কয়েক কিলোগ্রাম ওজন কমাতে পারলেও হয়তো নাক ডাকা না-ডাকার বিষয়টা আপনার কাছে স্পষ্ট হতে পারে।

নাক না গলা জেনে নিন

আপনি নাক দিয়ে শব্দটা করছেন, নাকি গলা দিয়ে—সেটা আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দুটাই একসঙ্গে হতে পারে। তবে নাক বা গলার যেকোনো একটায় সমস্যা থাকলে নিশ্চিন্তে আপনি নাকের ড্রপ বা গলার স্প্রে—যেকোনো একটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন।

বিছানা পরিষ্কার রাখুন

বিছানাপত্রে বেশি ধুলাবালি থাকলে, ঘর বেশি ময়লা হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। এ পরিস্থিতিতে নাকের নালিতে ধুলা-ময়লা সংক্রমিত হয়ে নাকের পেশি ফুলে উঠতে পারে এবং নাক ডাকা শুরু হতে পারে। তাই বিছানাপত্র ও ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুবই জরুরি। এটাই স্বাস্থ্যসম্মত এবং এতে ঘুমও ভালো হয়। আর নাক ডাকাও দূর হতে পারে।

জৈবিক কারণ খুঁজুন

চিকিত্সাবিজ্ঞান অনুসারে নাক ডাকার তিনটি প্রধান জৈবিক কারণ আছে। নাকের নালিতে পুরু নরম প্রলেপ থাকা, অন্য কোনো কারণে নাকের নালি আংশিক সংকুচিত থাকা এবং জিহ্বার পেছনে বায়ুপথ সংকুচিত থাকা। আসল কারণ খুঁজে বের করতে না পারলে এ থেকে নিস্তার পাবেন না। একজন সাধারণ চিকিত্সক যদি এ বিষয়ে সাহায্য করতে না পারেন, তাহলে নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নিন।

স্থায়ী সমাধান

নানা ধরনের বুদ্ধি-পরামর্শ চেষ্টা করে দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে থাকলে কিংবা এ নিয়ে বিব্রত হতে হতে বিষয়টা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে থাকলে এবার স্থায়ী সমাধানের দিকে এগোন। একজন নাক-কান-গলারোগ সার্জনের কাছে যান। এখন লেজার রশ্মির মাধ্যমে নাকের ও জিহ্বার পেছনের শ্বাসনালির সংকুচিত অবস্থা দূর করার চিকিত্সা সম্ভব। স্থানীয়ভাবে চেতনানাশক ব্যবহার করে এ অপারেশন খুব বেশি সময়সাপেক্ষও নয়। তবে অবশ্যই তা হতে হবে দক্ষ অস্ত্রোপচার বিশেষজ্ঞের অধীনে।