ফেলে আসা দিনগুলো স্মৃতি নিয়ে স্ট্যাটাস – Old Memories Quotes In Bengali

“মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার রঙ্গে রঙ্গে ছবি আঁকে”

 

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। কমেন্ট করলে খুশি হবো। কেমন লাগলো আপনার কাছে কমেন্ট করে আমাদের জানান। শুরু করছি আজকের আশ্চর্য বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সকলকে ছোট বেলায় যাবো। আমার পুরো বিশ্বাস আপনাকে একবার হলেও চোখে জল আসবে। আমার বিশ্বাস আপনাকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দেবে। আমার বিশ্বাস আপনাকে আপনার সেই সকল বন্ধুদের কথা মনে করিয়ে দেবে যারা হয়তো আজ আপনার কাছে আসে পাশে নেই। হ্যা বন্ধুরা আমাদের ছোট বলাটা ঠিক এমনটাই ছিল জানেন। আমাদের হাত এ কোনো ফোন ছিলোনা। ছিলোনা কম্পিউটার এ গেম খেলার মতন কোনো চিন্তা ভাবনা। আজ আমি সেই সমস্ত জিনিস আপনাদের মনে করিয়ে দেব। নিয়ে যাবো আপনাদের সকলকে সেই ছোট্ট বেলায় যেটা আমরা সকলে খুব মিস করি। বিশ্বাস করুন অন্য কিছু না সত্যি মিস করি। চলো যাই একটু ছোটবেলায়। আজ আমরা  জন্য যে – ফেলে আসা স্মৃতি, ফেলে আসা দিনগুলি কবিতা, ফেলে আসা স্মৃতি নিয়ে কবিতা, ফেলে আসা দিনগুলো, স্মৃতি নিয়ে স্ট্যাটাস, স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা, ফেলে আসা দিনগুলো কবিতা, স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ ইত্যাদি ইত্যাদি। 

জীবন! সে তো পদ্ম পাতার শিশির বিন্দু। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে একটু একটু করে প্রখর হওয়া ভোরের প্রথম আলোকরশ্মি কিংবা শীতের রাতে টিনের চালের টুপ-টাপ শব্দ – এইতো জীবন। স্বল্পায়ত, কিন্তু বড্ড বেশিই বৈচিত্র্যময়। বিয়ের আসরে সদ্য পা রাখা নববধূটির মত ‘জীবন’টাকেও সাজানোর জন্য কত প্রয়াস, কত ব্যস্ততা। এর মাঝেও ফেলে আসা মুহূর্তগুলোর জন্য একবার হলেও সবাই পিছনে তাকায় আর অবাক হয়ে আবিষ্কার করে স্মৃতির অ্যালবাম সাজিয়ে বসে থাকা সুবিন্যস্ত অপেক্ষমান স্মৃতিগুলোকে।

ফেলে আসা কিছু স্মৃতি, কিছু প্রিয় মুখ
ভালোবাসার আবেশ জড়ানো কিছু চেনা সুখ।
কিছু কিছু সম্ভাবনা, আর কিছু কল্পনা
বিস্মৃতির অতলে হারানো কিছু প্রিয় ঠিকানা।

1. মনে পরে গেলো সেই ছোট বেলার কথা। যখন আমাদের ঠান্ডা লেগে যেত বা সর্দি কাশি হতো, তখন আমাদের মা আমাদের পায়ের তলায় ও বুকে পিঠে খাটিঁ সর্ষের তেল মালিশ করে দিতো। আজ কোথায় সে দিন ?

2. ছোট বেলায় রান্না ঘরের উনুনের পাশে মাটিতে বসে গরম গরম রুটি আর ঝোলা গুড়ের স্বাদ ছিল অন্য রকম। আজ কোথায় সে দিন ?

3. ছোট বেলায় শীতকালে সবুজ রঙের টিনের কৌটোয় নারকোল তেল যখন জমাট বেঁধে যেত। 

4. শীত কালে ঠান্ডা জলে স্নান করার সময় যেমন তা হতো আর কি। ভাবতাম ঢালবো কি ঢালবো না  

5.ছোট বেলায় স্কুল এ যাবার সময় যখন বোতাম চিরে যেত তখন মা গায়ে পড়া জামার ওপর দিয়েই বোতাম লাগিয়ে দিতো 

6.শীতকালে সকাল বেলায় মা অথবা বাবা শীতের পোশাক ও অন্যতম ছিল বউটুপি সব কিছুপরিয়ে দুধ বা হরলিক্স এর গ্লাস তা হাত এ দিতো –

7. শীতকালে ছোট বেলায় সেই বাজার থেকে কতবেল নিয়ে এসে ভাই বোনেরা মিললে সব কিছু দিয়ে মাখা করে খাওয়া হতো। 

8. এটা যদিও খুব ছোটবেলায় না। বান্ধবীকে সাইকেলের সামনে বসিয়ে নিয়ে এদিকে ওদিকে ঘুরতে যাওয়া মজাটাই ছিল আলাদা। আজ আর সেটা নেই।

9. ছোটবেলায় যখন মায়ের সাথে ইনজেকশন লাগাতে যেতাম তখন খুব ভয় পেতাম আর ঠিক তখনি মা বলতেন যে দেখবি একদম লাগবে না। পিঁপড়ের কামড় এর মতন লাগবে শুধু। 

10. শীতকালে রোদ এ বসিয়ে যখন মা সর্ষের তেল মাখাতো আর বলতো যে শরীরের অবস্থা কি করেছিস চাষ করতে গেছিলিস নাকি 

11. ছোট বেলায় যখন বৃষ্টি পড়তো তখন মা বলতো যে তাড়াতাড়ি গিয়ে জামা কাপর গুলো তুলে নিয়েআয়। সব ভিজে গেলো। তখন আমরা পড়ি মরি করে দৌড়ে গিয়ে জামা কাপড় গুলো নিয়ে আসতাম।

12. ছোট বেলায় সাদা কালো টিভি দেখার জন্য যখন বাড়ির চাল এ উঠে এই এন্টেনা তা ঘোরাতে হতো। 

13.মনে পরে গেলো শীতকালে যখন বিছানা পত্র মায়ের সাথে রোদ দিতাম। 

14.ছোট বেলায় যখন আমাদের জামার বোতাম ছিড়ে যেত আর অন্য কোনো বোতাম না পাওয়া যেত তখন একটাই উপায় ছিল আর সেটা হলেও সেপ্টিপিন। 

15. ছোট বেলায় অমল ও দই ওয়ালার গল্প বা নাটক কে না জানি আমরা। সেই গল্প আমাদের সকলকে এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে সেটা আমরা বড়দের মানে দাদা, ভাই, বাবা এদের পিঠে ছোড়ে দই চাই দই এমন করে খেলা করতাম। 

শেষ কথা 

স্কুলের কথা যখন আসলই, দপ্তরি ভাই এর কথা না বললে তো লেখাটা কেমন যেন অপূর্ণ থেকে যায়। নামটা মনে পড়ছে না, কিন্তু চেহারাটা দিব্যি চোখে ভাসে আজো। কাঁচা-পাকা চুল, জমিদারি গোঁফ আর নীল রঙের ইউনিফর্ম পরা হাস্যোজ্জ্বল এক চেহারা। মনে হয়, এইতো সেদিন- জমিদারি গোঁফে হাত বুলাতে বুলাতে ডান হাতে পিতলের ঘণ্টা আর হাতুড়ি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন স্কুলের বারান্দা দিয়ে। অতঃপর- ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং……। সাথে সাথে চিৎকার করতে করতে এক ঝাঁক দুরন্ত ছেলেমেয়ের দৌড়ঝাঁপ শুরু। আহ্, সোনালী সেই দিনগুলো ছিল বটে!