থাইরয়েডের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে যোগাসনের কথা বলছেন বাবা রামদেব

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। কমেন্ট করলে খুশি হবো। কেমন লাগলো আপনার কাছে কমেন্ট করে আমাদের জানান। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি কিছু তোমাদের এমন কিছু টিপস দেব যা তোমাদের সকলকে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে আমার মনে হয়। ব্যাপারটা হলো আমাদের অনেকের থাইরয়েডের সমস্যা থেকে মুক্ত হতে যোগাসন করুন। বিস্তারিত জানার জন্য ভালো করে পড়ুন আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টা। আমরা জানবো যে – যোগাসনের তালিকা, যোগাসন পদ্ধতি, যোগাসন ব্যায়াম, যোগাসনের ছবি ও নাম, যোগাসন নাম, যোগাসনের ভূমিকা, যোগাসন কাকে বলে, যোগাসন কি ?

বন্ধুরা আমাদের ভারত বর্ষের যোগাসনের জনপ্রিয়তা বহু বছরের। এখন তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।বিভিন্ন রকম যোগা, তার বিভিন্ন রকম উপকারিতা।থাইরয়েড থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস কিংবা শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা।শরীরের এধরণের যেকোনো সমস্যা কাবু করার জন্য, যোগাসনের থেকে ভালো বোধহয় আর কিছু নেই।

আর যোগাসনের দুনিয়ায় বাবা রামদেবের নাম শোনেন নি, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তাঁর দেখানো বিভিন্ন যোগাসন আজ জীবনে সুস্থ থাকার উপায়।থাইরয়েডের মত সমস্যা যেখানে ওষুধের ওপরই জীবন নির্ভর করে, সেখানে বাবা রামদেবের কিছু যোগাসন অসাধারণ কাজ করে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে।যদি আপনিও এই সমস্যায় ভোগেন, ও দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই মন দিয়ে পড়ুন আজকের লেখা।দেখে নিন কোন কোন যোগাসন, থাইরয়েডের সমস্যা থেকে ওষুধ নির্ভর নয়, এক সুস্থ জীবন দিতে পারে।

হলাসন

এই ব্যায়ামটা অনেকটা আগের টার মতই।আগের ব্যায়ামটা করার পর, সঙ্গে সঙ্গেই এটা করে নিতে পারেন।প্রথমে মাটিতে শুয়ে পড়ুন সোজা হয়ে।এরপর আসতে আসতে পা তুলুন ওপরে।হাত থাকবে মাটিতে।এইভাবে ধীরে ধীরে হতের ওপর ভর দিয়ে শরীরকে ওপর দিকে তুলুন।ঠিক আগের ব্যায়ামটার মত।পা একেবারে সোজা করে তুলে দিন হাতের সাহায্যে।এবার পা ধীরে ধীরে মাথার কাছে নিয়ে যান পা মাথার দিকে নামান। মানে পা কে মুড়িয়ে ধীরে ধীরে মাথার ওপরে নিয়ে যান।পায়ের পাতা থাকবে মাথার পিছনে।এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও শ্বাস ছাড়ুন।

উজ্জায়ী প্রাণায়াম

এই প্রাণায়ামটি কিছুটা আগের মতই, তবে টেকনিকে একটু তফাৎ আছে।এরজন্য প্রথমে বাবু হয়ে মেঝেতে বসুন।আরামদায়ক ভাবে বসুন।প্রত্যেক প্রানায়ামের সময়ই আরামদায়ক ভাবেই বসবেন।কারন যথেষ্ট মনোযোগ না দিলে কিন্তু কোন লাভ হবে না।তাই এমন কোন জায়গা বেঁছে নেবেন না, যেখানে বিন্দু মাত্র কোন রকমের অসুবিধা হয়।

ভালোভাবে বসে হাত দুটো দুই হাঁটুর ওপর রাখুন।চোখ বন্ধ করুণ।এবার ধীরে ধীরে গভীরভাবে শ্বাস নিন।গভীরভাবে শ্বাস নেবেন তাহলেই শ্বাস নেওয়ার সময় একটা শব্দ হবে।পুরোপুরি শ্বাস নিয়ে জাস্ট কয়েক সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখুন।খুব বেশীক্ষণ কিন্তু নয়।জাস্ট কয়েক সেকেন্ড শ্বাস ধরে রেখে, আবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।শ্বাস ছাড়ার সময় একদম ধীরে ধীরে আরামে শ্বাস ছাড়বেন।

বডিতে কোন রকম প্রেশার না পড়ে।এইভাবে ১০বার শ্বাস নিন ও শ্বাস ছাড়ুন।মনে রাখবেন শ্বাস নেওয়ার সময় কিন্তু বেশ গভীরভাবে শ্বাস নেবেন।এবং এর ফলে শ্বাস নেওয়ার একটা শব্দ হবেই।কিন্তু শ্বাস ছাড়ার সময় একদম হালকা ভাবে ছাড়তে হবে।তখন আওয়াজ হবে না।এটা থাইরয়েড সমস্যার জন্য উপকারী।এছাড়াও ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি এসব সমস্যার জন্য ভীষণ উপকারী।

সর্বাঙ্গসন

এটা করা একটু কঠিন হলেও এর উপকারিতা কিন্তু অনেক।এরজন্য প্রথমে মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন।হাত দুটো কোমরের পাশে থাকবে।শুয়ে এবার পা দুটোকে উঁচুতে তুলতে হবে।হাতের ওপর ভোর দিয়ে পা দুটোকে যতটা পারেন উঁচুতে তুলুন।কোমরটাও উঁচুতে উঠবে।কোমরের দুদিকে একটু পেছনে হাত দুটো রাখুন।তারপর হাতের ওপর ভোর দিয়ে বা হাতের সাহায্যে কোমরকে উঁচুতে তুলুন।

এইভাবে যতটা পারেন শরীরকে ওপরে তুলুন।খালি বুকের একটু অংশ মাটিতে থাকবে।বাকি শরীরকে ওপরের দিকে তুলুন।তবে হাতের কনুই দুটো থাকবে মাটিতে।কনুই পর্যন্ত হাতটা মাটিতে রাখুন।অর্থাৎ কনুই পর্যন্ত হাতটা এখানে ঠিক স্ট্যান্ডের মত কাজ করবে।যেটা শরীরকে ওপরের দিকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।এইভাবে থাকুন ৩০ সেকেন্ড।ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও শ্বাস ছাড়ুন।

কপালভাতি প্রাণায়াম

এটা একটা খুব ভালো প্রাণায়াম।যেটা করাও খুব একটা শক্ত নয়।প্রথমে মেঝেতে বসুন। পা ক্রস করে।মানে বাবু হয়ে বসা যাকে বলে।তারপর দুই হাত দুই হাঁটুতে রাখুন। আরামদায়ক ভাবে বসুন।বসার সময় যেন কোন অসুবিধা না হয়।বসে চোখ বন্ধ করুণ।এবার একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিন।তারপর দ্রুত শ্বাস ছাড়ুন।

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, যে শ্বাস নেওয়ার সময় ধীরে ধীরে গভীর ভাবে শ্বাস নেবেন।কিন্তু ছাড়ার সময় দ্রুত শ্বাস ছাড়বেন।দ্রুত শ্বাস ছাড়ার সময়, শ্বাস ছাড়ার একটা শব্দ হবে।এইভাবে ১০ বার শ্বাস নিয়ে ১০ বার শ্বাস ছাড়ুন।

এই ব্যায়াম গুলি ছাড়াও কিছু আকুপ্রেসার পয়েন্টর কথা বাবা রামদেব বলেছেন।যেগুলো থাইরয়েড সমস্যার ক্ষেত্রে খুব উপকারী।এই সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।তবে সেই জন্য ডাক্তারের থেকে অবশ্যই পরামর্শ নিয়ে নিন।জেনে নিন কীভাবে করবেন।কারন এর একটা সঠিক টেকনিক আছে।ভুল ভাবে করে ফেললে, কিন্তু কোন লাভই হবে না।বরং ক্ষতি হবে।তাই ডাক্তারের থেকে আকুপ্রেসার সম্পর্কে ভালো করে জ্ঞান নিয়ে নিন।কীভাবে করবেন, কতক্ষণ করবেন ইত্যাদি।

এই চারটি ব্যায়ামই থাইরয়েড সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ ভালো।বেশ উপকার দেবে।তবে শেষের ব্যায়াম দুটি খুব সাবধানে করবেন। অবশ্যই প্রথম দিকে কারুর সাহায্য নিয়ে করবেন।কোন রকম তাড়াতাড়ি নয়, ধীরে ধীরে করবেন।আজ এই অমূল্য চারটি যোগাসনের সন্ধান দিলাম।সুস্থ থাকতে এরকম আরও যোগাসন শিখতে, চোখ রাখুন আমাদের আর্টিকেলে।

শেষ কথা 

এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো ব্যায়াম বা সব থেকে ভালো যোগাসন এ ভালো হয়। তেমনি আজকের লেখাটায় আমি আপনাদের বলেছি যে থাইরয়েড ভালো হবে এই কোটা যোগাসন  এ। নিয়মিত করে অকঁৰাৰ দেখুন হাতে নাতে ফলাফল।