জেনে নিন পটলের স্বাস্থ্যগুণ

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আমরা আজকে জানবো যে পটলের বেশ কিছু গুনাগুন যা আপনাদের কারোর জানা নেই।

বন্ধুরা আমরা বাঙালিরা পটল বলতে সবাই চিনি আর এই পটোলের অনেক রকমারি রান্নাও জানি। কিন্তু আমরা কি জানি যে এই পটোলের কত গুনাগুন ? তাই আজকে আমি আপনাদের সবার জন্য এই সুস্বাদু পটোলের সম্পর্কে কিছু গোপন গুনাগুনের কথা বলবো।

বন্ধুরা পটল একটি প্রধান গ্রীষ্মকালীন সবজি। বাংলাদেশ তথা ভারতেও প্রায় সবজায়গাতেই পটলের চাষ হয়।  গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে যখন সবজির অভাব দেখা দেয় তখন পটল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে কাজ করে। জাতভেদে পটোলের ফলন প্রতি হেক্টরে চার টন থেকে ১৫ টন পাওয়া যায়। এর ইংরেজি নাম  Pointed gourd .
পটলের অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। এই সবজিটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

1. হজমের উন্নতি ঘটায়

এই সবুজ রঙের সবজিটিতে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে।

2. কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে

পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে।

3. ওজন কমতে সাহায্য করে

পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।

4. রক্তকে পরিশোধিত করে

পটলের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। এর ফলে ত্বকের যত্নেও এই সবুজ সবজিটি ভালো কাজ করে।

5. কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়

পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে।

6. ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করে

আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠান্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথা কমতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল।

7. ত্বকের জন্য উপকারী

পটলে ভিটামিন এ ও সি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল।

পটলের ঔষধি গুনাগুণ 

1. পটল ও ধনেপাতা থেঁতলে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণটিকে ৩ ভাগ করে এর সাথে মধু মিশিয়ে ৩ বাড়ে পান করুন। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে।

2. পটলের রস মাথায় লাগালে মাথা ব্যথা কমে।

3. পটলের পাতার রস দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং টাকের সমস্যা সমাধানেও কাজে লাগে।

4. পটলের তরকারী খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়।

শেষ কথা 

আমাদের সমাজে আমাদের মাঝেই এমন অনেক খাবারের জিনিস বা সবজি আছে যার অনেক উপকার আছে কিন্তু আমরা সঠিক জানিনা বা কোনোদিন জানতেও চাইনা। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে শুধু খেলেই হবে না,  খাবারের সাথে সাথে আমাদের জানতে হবে যে এটার কি কি গুন্ আছে বা এটার গুনাগুন কি ইত্যাদি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।