আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন।বন্ধুরা আলু এমন একটা জিনিস যে সবার পছন্দ। ভারতের সব জাগায় আলু সব থেকে বেশি চলে সবজির মধ্যে তবে কলকাতা বা বাঙালিদের মধ্যে এটা সব চাইতে বেশি চাহিদা ও পছন্দের একটা জিনিস। যদিও সুগার বা ডায়াবেটিস আছে এমন মানুষের খাওয়া একদমই বারন। আজ আমি আপনাদের এই আলুর বিশেষত্ব জানাবো। আলু খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক হওয়ার কারণে খুব কম মানুষই আছেন যারা আলু খেতে পছন্দ করেন না। দামে সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার কারণে সব শ্রেণির মানুষের কাছেই এটি একটি পছন্দের সবজি। আমরা আজ জানবো যে – আলু খাওয়ার উপকারিতা, আলুর গুনাগুন, গোল আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা, মিষ্টি আলুর উপকারিতা, আলু খেলে কি হয়, গোল আলুর অপকারিতা, মেটে আলুর উপকারিতা, শাক আলুর উপকারিতা, আলু খেলে কি ওজন বাড়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আলু খাওয়ার উপকারিতা – আলুর গুনাগুন
1. আলুতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছে যা ত্বকের জন্য জরুরী। আলু বেটে কিংবা আলুর রস ত্বকে লাগালে বিভিন্ন দাগ, র্যাশ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া রোদে পোড়া ভাবও দূর করতে সহায়তা করে আলুর রস
2. আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে যা মন ভালো রাখার জন্য কার্যকরী দুটি উপাদান সেরেটোনিন ও ডোপামিন নামক নিওট্রান্সমিটার গঠনে সহায়তা করে। নিওট্রান্সমিটার মস্তিষ্কে অনুভূতি আদান প্রদান করে থাকে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো করতে সহায়তা করে।
3. প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে আলু খাওয়া অনেক উপকারী কারণ এতে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত আলু খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং শরীর মুটিয়ে যায়।
4. আলুতে গ্লুকোজ, অক্সিজেন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এমিনো এসিড, ওমেগা-৩ ও অন্যান্য ফ্যাটি এসিড আছে যা মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
5. আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। একটি মধ্যম আকৃতির (১৫০গ্রাম) আলুর ত্বকে প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’’ আছে। এছাড়া আলুতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, ফলেট ও আয়রন আছে।
6. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে কম সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তার সাথে প্রয়োজন বেশি পরিমাণে পটাসিয়াম। আলুতে এই দুটি জিনিসই সঠিক পরিমাণে আছে বলে রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়
7. ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতেও আলু রয়েছে লিস্ট এ। আলুতে রয়েছে ফোলেট যা ডি.এন.এ. তৈরী ও মেরামত করতে সাহায্য করে। এর ফলে যেসব কোষগুলি ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, সেগুলি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া আলুতে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার মুক্ত করতে সাহায্য করে।
8. কিডনি স্টোন থেকে মুক্তি ও হজম ক্ষমতা ও পাচনতন্ত্র সঠিক থাকলে শরীরে জলের পরিমাণও সঠিক থাকে। এর ফলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সমস্যা রোধ করা যায়
9.দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও আলু খান। দাঁত বা মাড়ির সমস্যার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি বেশ উপযুক্ত। তাই এক টুকরো আলু দিয়ে রোজ দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের নানা সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
10. কোলেস্টরল আলুতে থাকা ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, মিনারেল ও পটাসিয়াম কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ সাহায্য করে। এর ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।