আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। ডায়াবেটিস জেক আমরা চলতো ভাষায় বলি সুগার, তা এই ডায়াবেটিস বা সুগার জিনিসটা প্রায়ই ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আজ আমরা সংক্ষেপে জেনে নেবো যে কোন ফলের রোষে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস। আমরা আরও জেনে নেবো যে – ফলের রসে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাবার, ডায়াবেটিস রোগীর ফল, ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট , ডায়াবেটিস বই , খেজুর ডায়াবেটিস, ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট এবং খাদ্য তালিকা ইত্যাদি ইত্যাদি। আসুন জেনে নিই কামরাঙ্গা ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে?
কামরাঙ্গার বৈজ্ঞানিক নাম
Averrhoa Carambola,
কামরাঙ্গা english
Chinese Gooseberry, Carambola।
সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে এর ফলন হয়। কামরাঙ্গা কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়। কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোনো কোনো গাছে একাধিকবার বা সারা বছরই এ ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি’ র ভালো উৎস।
বন্ধুরা আমরা কামরাঙ্গা অনেকেই চিনি। বিশেষ আকার আর স্বাদের জন্য অনেকের পছন্দের ফল কামরাঙ্গা। গ্রামের অনেক বাড়ির আনাচে কানাচে দেখা যায় কামরাঙ্গা গাছ। কারোর কারোর বাড়ির ছাদেও দেখতে পাওয়া যায় এই ফলের গাছ।
সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির চাহিদা রয়েছে অনেক জায়গায়। ওষধীগুণ সমৃদ্ধ এ ফল একদিকে যেমন পূরণ করে আমাদের শরীরের পুষ্টি, তেমনি প্রতিরোধ করে বিভিন্ন রোগ। সাধারণত টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা পায় আমরা। এতে ভিটামিন এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।
পুষ্টিগুণ
- প্রতি একশ গ্রাম কামরাঙ্গায় শক্তি মেলে
- ৩১ কিলোক্যালরি।
- শর্করা ৬.৭৩ গ্রাম।
- চিনি ৩.৯৮ গ্রাম।
- খাদ্য ফাইবার ২.৮ গ্রাম।
- স্নেহ ০.৩৩ গ্রাম।
- প্রোটিন ১.০৪ গ্রাম।
- প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) ০.৩৯ মিলিগ্রাম।
- ফোলেট (বি৯) ১২।
- ভিটামিন সি ৩৪.৪ ।
- মিলিগ্রাম ছাড়াও কামরাঙ্গায় পাওয়া যাবে ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও দস্তা।
বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই? বাড়ছে কোলেস্টেরল? ভুগছেন হাইপারটেনশনে? হার্ট অ্যাটাকের ঝঁকিতে রয়েছেন? তাদের জন্য বলছি, চিন্তা কী ? চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও হাতের কাছেই আছে এর সহজ সমাধান। এর জন্য মাত্র এক কাপ কামরাঙ্গার রসই যথেষ্ট।
এই ফলে ভিটামিন B5 ও ভিটামিন B6 প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমাতে এবং হাইপারটেনশন দূর করতে কামরাঙ্গার জুড়ি নেই।
কামরাঙ্গায় ভিটামিন B9 অর্থাত্ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
কামরাঙ্গায় ভিটামিন C-এর পরিমাণ আম, আঙুর, আনারসের চেয়ে বেশি। কামরাঙ্গায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, লিচু, ডাবের জলের চেয়েও বেশি। তাই এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি ফল। তবে কামরাঙ্গা একটি অক্সালেট সমৃদ্ধ ভিটামিন C জাতীয় ফল। সে কারণে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের কামরাঙ্গা কম খাওয়াই ভালো।
শুধু ফলই নয়, কামরাঙ্গা গাছের পাতাও বেশ উপকারি। কামরাঙ্গার পাতা এলাজিক অ্যাসিড, যা খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
কামরাঙ্গা সর্দি-কাশিতে দারুণ উপকারি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কামরাঙা চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত উজ্জ্বল করে। মুখের ব্রন কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা মরিচ ও কামরাঙ্গার চাটনি, জুস, জ্যাম, জেলি বা আস্ত কামরাঙ্গাও খেতে দিব্যি লাগে।
শেষ কথা
কামরাঙ্গা একটি মজার ফল হলেও খালি পেটে কোনোভাবেই খাওয়া ঠিক নয়। ডায়ারিয়া হলে কামরাঙ্গা না খাওয়াই ভালো।
কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক
কামরাঙ্গা পাতার উপকারিতা
কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ
কামরাঙ্গা ফুল
কামরাঙ্গা খেলে কি ক্যান্সার হয়
কামরাঙ্গার আচার