আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমরা আপনাদের জন্য এক দারুন টপিক মানে ওই খাবারের ব্যাপারেই বলবো। আর সেটা আমরা অনেকেই সেটা পছন্দ করি না, সেটা হল – মুলা। আমরা জেনে নেবো যে – মুলার অপকারিতা, মুলার শাকের উপকারিতাম, মুলা খেলে কি হয়, মুলোর উপকারিতা, গাজর, মুলা english ইত্যাদি ইত্যাদি
বন্ধুরা আপনি কি সত্যি জানেন যে মুলো কতটা স্বাস্থ্যকর? সবজি জুস অলৌকিকভাবে উপকারী। যারা ডায়েটিং করেন তাদের বেশির ভাগই গাজর, বীটরুট এবং অন্যান্য সবজি জুস খায়। কিন্তু মুলাও যে জুস তৈরি করে খাবার জন্য একটি ভালো সবজি জানেন না অনেকেই। মুলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই শুষে নিতে পারে আমাদের দেহ। আপনারা কি জানেন যে এক গ্লাস মুলার জুসে কী আছে ? ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, কপার, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন এ. সি ও বি৬ হলো কয়েকটি পুষ্টি উপাদান যা মুলা সরবরাহ করে।
1. শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে
আপনি অ্যাজমা বা ব্রঙ্কাইটিসের মতো কোনো শ্বাসনালীসংক্রান্ত রোগে ভুগছেন? তাহলে মুলার জুস আপনার উপকার করতে পারে ফুসফুসে থাকা শ্লেষ্মা বা কফ পরিষ্কার করে। এমনকি এটি বমিভাব, বমি এবং গলাদাহের চিকিৎসায়ও বেশ কার্যকর।
2. উপকারী এনজাইম আছে
এতে রয়েছে মাইরোসিনেজ, এস্টির্যাসেস, অ্যামাইলেস এবং ডায়াস্ট্যাস নামের এনজাইম যেগুলো ফাইব্রোমিল্যাগিয়ার মতো ছত্রাকজনিত রোগ নিরাময় করতে পারে।
3. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
মুলরা জুস হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পিত্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হলে মুলরা জুস আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে মুলার জুস খান।
4. এটি প্রদাহরোধী
এতে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান মুত্রনালীর প্রদাহ দূর করে। এবং কিছু কিডনি রোগের উপশম করে। প্রকৃতপক্ষে নিয়মিতভাবে মুলার জুস খেলে কিডনিতে পাথর হওয়াও প্রতিরোধ করে।
5. এটি একটি বিষ পরিষ্কারক
মুলার জুস আপনার দেহে জমে থাকা বিষ পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য উপাদান। এটি ব্লাডার, কিডনি, প্রোস্টেট এবং পরিপাকনালীতে জমে থাবা বিষ পরিষ্কারে বেশ কার্যকর। এটি দেহ থেকে ক্ষতিকর ট্রক্সিন এবং জীবাণু বের করে দেয়। মুলার জুস গলব্লাডার এবং লিভারকে পরিষ্কার করতেও খুব ভালো কাজ করে।
6. ক্যান্সার প্রতিরোধ
মুলার জুসে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন এবং ভিটামিন সি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঠেকায়। গবেষকরা মুলার জুস কী করে মলাশয়ের ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, অন্ত্রের ক্যান্সার এবং কিডনি ক্যান্সার ঠেকাতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
7. ত্বকের রোগ সারায়
এতে রয়েছে ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এসব উপাদান ব্রন, একজিমা এবং র্যাশের মতো ত্বকের সমস্যা দূর করে।
শেষ কথা
মূলা শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্টকাঠিন্য কমায়, পাকস্থলী ভালো রাখে। এই শাক আয়রণের জন্য আদর্শ। এটি রক্তশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মুলা শাকে থাকা আয়রণ এবং ফসফরাস ফাটিগো কমায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মূলা শাকের জুস প্রাকৃতিকভাবে ইউরিনারি ব্লাডার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। মূলা শাকে অবিশ্বাস্য পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।