আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের বলবো যে কৃমি কত রকমের হয়ে থাকে। আর কি কি ক্ষতি করে কৃমি। আমরা আরও জন্য যে – ফিতা কৃমির বৈজ্ঞানিক নাম, ফিতা কৃমি কি ধরনের প্রাণী, কৃমি কত প্রকার, ফিতা কৃমি in english, গুঁড়া কৃমির চিকিৎসা, কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও আরও অনেক কিছু। সম্পূর্ণ জানার জন্য লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। নিজে তো জানবেনই আর অপরকেও জানাতে সাহায্য করবেন। সবার আগে ঠিক এই নিচের হলুদ রঙের কেখাতার ওপর ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন।
- 1 কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
- 2 ফিতা কৃমি -Tape Worm
- 3 কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
- 4 প্রতিরোধ – Prevention
- 5 চিকিৎসা
- 6 কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
- 7 শেষ কথা
কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
ফিতা কৃমি -Tape Worm
ফিতা কৃমি দেখতে ফিতার মতো ৫ থেকে ২৫ ফুট বা আরো বেশী লম্বা হয়। ছোট্ট মাথার সাথে অসংখ্য খণ্ড (শসার বীচির মতো) একটি সাথে আরেকটি যুক্ত হয়ে এ কৃমির দেহ গঠিত। সাধারণত পেটে একটি মাত্র ফিতা কৃমি থাকে তবে বেশীও থাকতে পারে। ফিতা কৃমি ক্ষুদ্রান্ত্রে থেকে ডিম পাড়ে।
মানুষের মলের সাথে ফিতা কৃমির ডিম মাটিতে পড়ে থাকে কিংবা ঘাসে লেগে থাকে। মাঠে চরার সময় গরু, মহিষ, শুকর, এ ডিম গুলো খেয়ে ফেললে গরু, শুকরের অন্ত্র ভেদ করে লার্ভা দেহের অন্যত্র যায় এবং সিস্ট হয়ে মাংস পেশীতে বেঁচে থাকে। মানুষ অসিদ্ধ বা অর্থ সিদ্ধ সিস্টযুক্ত গরুর বা শূকরের মাংস খেয়ে সংক্রমিত হয়। যারা খুব বেশী শিক কাবাব খায় তাদেরও এ রোগ হবার আশংকা বেশী। অন্ত্রে ফিতা কৃমি থাকলে কখনো কখনো পেটে ব্যথা হতে পারে। কৃমির লেজের দিক থেকে কিছু খণ্ড যা দেখতে অনেকটা শসার বিচির মতো মলের সাথে বেরিয়ে আসে। বিপদ দেখা দেয় যখন ফিতা কৃমি মানুষের ব্রেনে বা মস্তিষ্কে ফিতাকৃমি সিস্ট তৈরি করে। এ শিষ্টগুলো মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
আমরা এখন জেনে নেবো যে ফিতা কৃমি ব্যাপারে।
প্রতিরোধ – Prevention
1. যেহেতু প্রতিরোধ চিকিৎসার তুলনার অধিকতর ভালো তাই প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত।
2. জন্মেও পর ৫ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো।
3. খাবার তৈরি, পরিবেশন, খাওয়ার পূর্বে এবং মল ত্যাগ করার পরে সাবান বা ছাই দিয়ে হাত ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে সাবান টাই বেশি ব্যাবহার করে ভালো।
4. নিয়মিত স্নান করা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়া এবং বড় হবার আগে অবশ্যই নখ কেটে ফেলা।
5. শিশুর সুতা কৃমি হলে সুতির জাঙ্গিয়া পরিয়ে শোয়ানো উচিত যাতে সে মলদ্বার হাত দিয়ে না চুলকাতে পারে।
6. খালি পায়ে মাঠে রাস্তায় বা পায়খানায় না যাওয়া।
7. অসিদ্ধ বা অর্ধ সিদ্ধ মাংস না খাওয়া।
চিকিৎসা
কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
শেষ কথা
শেষ কথা বলতে প্রতিটি লক্ষণের আলাদা আলাদা ঔষধ হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে। আপনারা এরকম কোনো রকম সমস্যায় পড়লেই ডাক্তারের সাথে সত্তর যোগজপগ করবেন। আমার মোতে এই রকম রজার বা এই রকম সমস্যায় হোমিওপ্যাথি বেস্ট। এ লক্ষণ সমূহের সাথে কোনটা আপনার রোগের সাথে মিলে তা ডাক্তারকে স্পষ্ট করে জানালে চিকিৎসা পেতে সহজ হবে। ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন। ধন্যবাদ।