চোখের যত্ন নেওয়ার উপায় -Care Of Eyes In Bengali

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আমরা আজকে চোখ নিয়ে কথা বলবো। আমাদের শরীরের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল এই চোখ। আর তারই যত্নের জন্য আজকের বিষয়। আজকে আমাদের বিষয় হল চোখ। আমরা আরও জন্য যে – চোখের জন্য উপকারী ফল, চোখের ভিটামিন ঔষধ, চোখের ভিটামিন কিচোখের জন্য কোন ভিটামিন, চোখের খাদ্য, চোখের উপকারী ফল, কি খেলে চোখের পাওয়ার বাড়ে। 

 

বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে চোখ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের মূল্য যারা অন্ধ তারা খুব ভালো করেই বুঝতে পারেন। কিন্তু আমরা যারা বেশ ভালো ভাবে দেখতে পাই তারা বেশিভাগ সময়েই চোখের যত্ন নেই না। অবহেলা করি অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু এই কাজটি একেবারেই উচিৎ নয়। আমাদের চোখের যত্নে অনেক বেশি সচেতন হওয়া জরুরী। আমরা যদি আমাদের নিজেদের জন্য সচেতন না হয় তা হলে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কেউ দেখাবে না। তাহলে আর দেরি কেন চলুন তবে আমরা দেখে নি আমাদের চোখের যত্ন আমরা কিভাবে নেবো।

চোখের সুরক্ষায় একটানা কম্পিউটারের পর্দায় সময় দেওয়া উচিত নয়। চোখ সুস্থ রাখতে চোখের নিয়মিত বিশ্রাম ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।

1. চোখকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সব সময় সাথে রাখুন সানগ্লাস। বিশেষ করেগীষ্ম কালে অর্থাৎ অতিরিক্ত গরম কালে আমাদের সানগ্লাস ব্যাবহার করতেই হবে। যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই বাইরে বেরুলে সানগ্লাস পরবেন।

2. যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা ঘরে এসেই প্রথমে লেন্স খুলে ফেলবেন। যতোটা কম পারা যায় কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করুন। চশমা ব্যবহারে আগ্রহী হোন।

3. বেলা চোখে জলের ঝাপটা দেয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে চোখ ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। এতে বাইরের ধুলোবালিতে মিশে থাকা রোগজীবাণু দূর হবে।

4. প্রতিদিন অন্তত ১ বার চোখের ওপরে ঠাণ্ডা জল বা ভেজানো কাপড় ১০-১৫ মিনিট দিয়ে রাখবেন। এতে চোখের কর্নিয়া সুস্থ থাকবে।

5. সম্ভব হলে চোখে কাজল দেয়া থেকে বিরত থাকুন। গরম কালে কাজল গলে চোখের ভেতরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় যা চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

6. মেয়েরা ঘরে ঢোকা মাত্র চোখের মেকআপ তুলে ফেলবেন। বেশি জোরে ঘষে চোখের মেকআপ তুলবেন না। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাহায্য আলতো করে চোখের মেকআপ তুলুন।

7. ঘুমানোর আগে চোখে ভালো কোনো ব্র্যান্ডের এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ক্রিম বা সেরাম অথবা জেল ব্যবহার করুন।

8. চোখের যে কোনো সমস্যায় অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

চোখের জন্য কোন ভিটামিন, চোখের খাদ্য, চোখের উপকারী ফল,

একই সঙ্গে যে সব খাবার চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে সেগুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত। চোখের প্রতি যত্নে সব সময় সর্তক থাকতে হবে সবাইকে।

ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বিটা-ক্যারোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার চোখের ছানি পড়া, দৃষ্টিশক্তি কমে আসা, বয়সজনিত পেশী  পতন এবং সূর্যালোক, বায়ু দূষণ ও সিগারেটের ধোঁয়ার মতো বিষয়গুলির ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। যে পাঁচটি খাবার চোখের স্বাথ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারী তা নিচে দেওয়া হলো।

 

গাজর ও অন্যান্য কমলা রঙের ফল সবজি

চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ কমলা রঙের ফল সবচেয়ে উপকারী। এসব ফলে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়ে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া রোধে কাজ করে। গাজর ছাড়াও মিষ্টি আলু, কুমড়ো, লাউ জাতীয় সবজি, কমলা ও লাল মরিচেও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে।

সবুজ শাক সবজি

পাতা কপি, শাক, ব্রকলি, সবুজ শাক সবজি এমনকি ডাল এবং অ্যাভোকাডোর ভেতর থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চোখের ছানি ও ম্যাকুলার পতন রোধে দারুণ কার্যকরী। দৃশ্যমান আলো চোখের লেন্স ও রেটিনার ক্ষতি করে।  সবুজ শাক সবজি সপ্তাহে এক বা দুইবার এবং কিউই ও আঙুর ফল খাদ্য তালিকায় যুক্ত হলে চোখের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।

জাম এবং লেবু জাতীয় ফল

ভিটামিন সি চোখের ক্ষতি এবং চোখের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন প্রত্যেকের খাবার তালিকায় ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার থাকা বাঞ্ছনীয়। দিনে একটি কমলা, আঙুর, লেবু ‍বা বাতাবি লেবু খাওয়াই যথেষ্ট। সকল জামেই জন্য প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি থাকে। স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি, কালো জাম, আম, পেপে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল।

বীজবাদাম এবং সকল শস্য

চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ‘ই’ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড চোখের জন্য অত্যন্ত দরকারি। এসব পুষ্টির বড় উৎস বাদাম ও বীজ। দৈনিক ভিটামিন ‘ই’এর চাহিদা পূরণে দুই মুঠো পরিমাণ কাজুবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ, পেস্তা বাদাম বা অন্য কোনো বাদাম খেতে হবে।

মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার

মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড ও চোখের সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপ‍ূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। স্যালমন, সারডিন, টোনা, হেরিং, রাঘববোয়াল মাছ এবং কাঁকড়া ও ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি রয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন এসব খাদ্য গ্রহণ করলে দৃষ্টিশক্তি ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই তা দারুণ কার্যকর হবে।