কোষ্ঠকাঠিন্য হোমিও ঔষধ

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ chalokolkata তে স্বাগতম। আমি  সব সময় চেষ্টা করে থাকি আপনাদের প্রতি নিয়ত চাহিদা বা জানকারী দেবার। আপনাদের যদি কোনো রকম অন্য কিছু বিষয়ে জানার থাকে যে কোনো বিষয়ে …তাহলে আমাকে কমেন্ট বক্স এ জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমি যথাসাদ্ধ চেষ্টা করবো আপনাদের সাহায্য করার। অনেকের মেসেজের মধ্যে বাছাই করা একটা টপিক যার নাম কোষ্ঠকাঠিন্য যাকে ইংরেজিতে আমরা বলি Constipation সেটাকে নিয়েই আজকে আমাদের বিষয়। আমরা জানবো যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান কি ভাবে পাওয়া যাবে।

বন্ধুরা সবার আগে আমাদের জানতে হবে যে কোষ্ঠকাঠিন্য  অর্থাৎ Constipation  আসলে কি বা কাকে বলে ?

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা সঠিক চিকিৎসার অভাবে পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ দেহে বয়ে নিয়ে আসে। অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস, অপুষ্টিকর খাবার ইত্যাদির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়ে থাকেন অনেকেই। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। যদি ডাক্তারের কাছে যেতে না চান তবে ঘরোয়াভাবে এই সমস্যা বাড়তে না দিয়ে সমাধান করে নিন।

কিশমিশ ও গরম দুধ

১০/১২ টি কিশমিশ নিয়ে ভালো করে ধুয়ে বিচি থাকলে তা ছাড়িয়ে নিন। এরপর ১ গ্লাস দুধে কিশমিশ দিয়ে ১ চিমটি দারুচিনিগুঁড়া দিয়ে ভালো মতো ফুটিয়ে নিন। এভাবে টানা তিন দিন দুধ পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।

ত্রিফলা

ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেক প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ১ চা চামচ ত্রিফলা পাউডার ১ গ্লাস গরম জল অথবা গরম দুধে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে তা নিয়মিত পান করুন। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। বাজারে অনেক হোমিও ঔষধের দোকানে ত্রিফলা পাউডার কিনতে পাওয়া যায়।

ইসবগুল

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ইসবগুল অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। ১ গ্লাস গরম জলে ২ টেবিল চামচ ইসবগুল দিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। যখন ইসবগুল জলে শুষে নিয়ে জেলির মতো আঠালো হবে তখন তা পান করুন। প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে পান করুন এই ইসবগুল।

তিলবীজ

তিলবীজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। তিলবীজ ভেঙ্গে গুঁড়ো করে তা আটা বা ময়দার সাথে মিশিয়ে চাপাতি বা রুটি তৈরি করে খেতে পারেন। এতে করে দেহে ফাইবারের অভাব পূরণ হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

 লেবু

লেবুর রস কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধ করতে খুব সহায়তা করে থাকে। হালকা কুসুম গরম জলে তে লেবু চিপে নিন। চাইলে এতে সামান্য লবণ ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে একদমই খালি পেটে লেবু জলে খেয়ে নিন। আবার সন্ধ্যার দিকে আরেক গ্লাস খান। এই পানীয়টি প্রতিদিন নিয়ম করে খান দেখবেন খুব দ্রুতই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সেরে যাবে।

 ক্যাস্টর অয়েল

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধ করার অন্যতম সহজ উপায় হল ক্যাস্টর অয়েল। সকালে খালি পেটে ২ চামচ ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে নিন। দেখবেন খুব দ্রুতই আপনার পেটের সমস্যা রোধ হয়ে যাবে। চাইলে কোন ফলের জুসের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খেতে পারেন।

 মধু

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে প্রিতিদিন মধু খেতে ভুলবেন না। এই সমস্যায় মধু খুব উপকারী।

প্রতিদিন ২/৩ বার এক চামচ করে মধু খান। কুসুম গরম জলের সাথে লেবুর রসমধু মিশিয়ে মিশ্রণটি খেয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন।

 পালং শাক

হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে পালং শাক এর উপকারিতা অনেক বেশি। বিশেষ করে যখন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিবে তখন পালং শাক খেতে ভুলবেন না।

1. কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যা রোধ করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখুন। আপনি চাইলে এটি সালাদের মতো করে খেতে পারেন কিংবা রান্না করেও খেতে পারেন।

2.  যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব বেশি জটিল আকার ধারণ করে থাকে তাহলে, পালং শাক জুস বানিয়ে অর্ধেক জলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বেলা নিয়ম করে খেয়ে নিন। আপনার এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।-হেলথ বার্তা।

Tag –  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার হোমিও ঔষধ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপ

পায়খানা হওয়ার ঔষধ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ব্যায়াম, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়, পায়খানা কষা থেকে মুক্তির উপায়