মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির উপায়

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের বলবো এমন একটি টপিক যেটা এখনকার অনেক বড়ো সমস্যা। সবার সামনে লজ্জায় পড়তে হয়, সেটা হল মুখের দুর্গন্ধ।.আমরা আজেক জন্য যে – মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে, মুখের দুর্গন্ধ চিরতরে দূর করার উপায়, মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তির উপায়, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে নাম, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার খাবার, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধের নাম, মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধ, মুখে দুর্গন্ধ হলে করণীয় ইত্যাদি ইত্যাদি। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

বন্ধুরা সত্যি কথা বলতে কি মুখের দুর্গন্ধের মতো বিচ্ছিরি  জিনিস আর হয় না !একটি সুন্দর চেহারা, আর মুখে দুর্গন্ধ- ভাবুন তো বিষয়টি কেমন ! দাঁতের প্লাক, দাঁতের ক্ষয়, শরীরে জলের অভাব, পেঁয়াজ খাওয়া-ইত্যাদি মুখে গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী। তবে কিছু বিষয় পালন করলে দুর্গন্ধকে দূর করা যায় সহজে। আসুন দেখে নি।

মুখের দুর্গন্ধ চিরতরে দূর করার ঘরোয়া উপায়

দিনে দুই বেলা ব্রাশ করুন

দিনে দুই বেলা ব্রাশ করা দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করা জরুরি। যদি এরপরও মুখে দুর্গন্ধ হয়, তাহলে বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। এটি মুখ থেকে এসিডিটি দূর করবে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমিয়ে দেবে।

প্রচুর জল  পান করুন

জল শূন্যতায় ভুগলেও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস জল পান করুন। এটি আপনাকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে এবং মুখের বাজে গন্ধ দূর করবে।

ব্রাশ করার মানে এই নয় যে কেবল দাঁতই ব্রাশ করবেন। জিহ্বাও ব্রাশ করা জরুরি। জিহ্বার জন্যও মনোযোগ প্রয়োজন। ব্যাকটেরিয়া জিহ্বাতেও বৃদ্ধি পায়। এতে মুখে দুর্গন্ধ হয়।

মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে চিনি ছাড়া চুইঙ্গাম চিবুতে পারেন। এটি মুখের লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করবে। এটি ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করবে এবং খাদ্যকণাও পরিষ্কার করবে।

চা খান

চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি মুখের দুগর্ন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে পলিফেন। এটি মুখের সালফার উপাদানকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে যান

মাড়ির রোগ থেকে কখনো কখনো মুখে দুর্গন্ধ হয়। এ ছাড়া কখনো কখনো শরীরের ভেতরকার সমস্যার জন্যও মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই গন্ধ কোনোভাবেই না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।