ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা – Onion Benefits For Hair

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি  আপনাদের বলবো যে – ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা।  আমরা আরও জন্য যে – পেঁয়াজ ও মধুর উপকারিতা, চুলে পেঁয়াজের উপকারিতা, চুলে পেঁয়াজের অপকারিতা, কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা, পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়, পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

পেঁয়াজ বিশ্বের অতি পরিচিত রন্ধনপ্রণালী। পেঁয়াজ ছাড়া বাঙালি রান্না, ভাবাই যায় না। পেঁয়াজ অনেক সুস্বাদু রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এমনকি স্যালাড তৈরিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা তো রয়েছেই পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষে পেঁয়াজের উপকারিতা অনেক। চুল পড়া কমাতে এর জুরি মেলা ভার। এছাড়াও পেয়াজে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উৎপাদনে সহয়তা করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে।

পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন বি ও সি। পেঁয়াজের বহুবিধ উপকারিতা অনেকের অজানা। তাই তাদের জন্য এই নিবন্ধে রইল ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা

পেঁয়াজ কি?

পেঁয়াজ একটি ঝাঁজযুক্ত অসাধারণ সবজি, প্রকৃতির একটি উপহার। এটি ভিটামিনে ভরপুর সবজি। পেঁয়াজ বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন কোনো খাবারের সৌন্দর্যতার জন্য খাবারের উপরে ছড়ানো যেতে পারে বা রান্নার মশলা তৈরিতে অথবা রান্নাতে।

ত্বকের যত্নে পেঁয়াজের উপকারিতা

পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি। যা ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ। পেঁয়াজের ফেস মাস্ক ত্বক গ্লোয়িং করে তোলে। বাড়িতে বসেই এটা সম্ভব। আর তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল –

1. দুই টেবিল চামচ গ্রাম আটা, দেড় চা চামচ পেঁয়াজের রস, হাফ চামচ দুধ এবং এক চিমটি জায়ফল নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

2. প্যাকটি যদি খুব পাতলা হয়ে যায় এর মধ্যে আরও দুধ মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার প্যাকটি মুখে প্রয়োগ করে নিন। ২০ মিনিট পর প্যাকটি যখন শুকিয়ে আসবে তখন মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

ব্রণ চিকিৎসা

পেঁয়াজ অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বকে অসাধারণ কাজ করতে পারে। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে ত্বকে ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই ব্রণ চিকিৎসার জন্য আপনি পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন।

সমপরিমাণ পেঁয়াজের রসঅলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ – ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি ব্রণ চিকিৎসার পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায়।

আঁচিল মুক্ত করা

আপনার দেহে কি খুব আঁচিল ? তার থেকে মুক্তি পেতে চান ? তাহলে আপনি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের রসে রাসায়নিক অম্লতা রয়েছে যা আঁচিল নিরাময় করতে সক্ষম। আঁচিলে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত পেঁয়াজের রস লাগিয়ে রাখুন। রসটি পুরোপুরি ভাবে শোষণ করে নিলে ধুয়ে ফেলবেন। এক মাস নিয়মিত পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে ফল বুঝতে পারবেন।

পেঁয়াজের রস চুলের উপকারিতা

খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেঁয়াজের রস চুলের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক সমাধান কারণ এটা সহজলভ্য এবং এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল। খুশকি দূর করার জন্য আমরা আপনাদেরকে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের সবচেয়ে কার্যকর কিছু  ঘরোয়া উপায় বলবো, আর বলবো পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন কি ভাবে নিতে হয়।

আমরা সবাই জানি, পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুলপড়া কমায় এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে আমাদের জানতে হবে চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের নিয়ম

1. পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে নিন। স্নানের পর এই জল দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের জন্য এই জল বেশ উপকারী।

2. পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

3. দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।

4. পেঁয়াজ বেটে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

আপনার পরিমাণ মতো ছোট ছোট পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে হালকা আঁচে একটা পাত্রে জল দিয়ে তাতে ফোটান যখন দেখবেন পেঁয়াজটা হালকা বাদামি বাদামি হয়ে গেছে বা হালকা সেদ্ধ হয়ে আসছে তখন পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এবং একটি সাদা কাপড় দিয়ে ভালো করে জল টা ছেকে নিন। তারপর একটা বোতল এ ভোরে রাখুন। রাত এ সবার আগে ওই জলটা স্প্রে করুন মাথায় ও হালকা হালকা করে ম্যাসাজ করুন। এইরকম ভাবে এক মাস ম্যাসাজ করুন তার পর দেখবেন আপনার চুল কত ঘন হয় আর তার সাথে কালও হবে।