কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ কী – কিডনিতে পাথর কি করে বুঝবেন

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে কিডনিতে পাথর এর বিষয়। আজ এটা নিয়েই একটু আলোচনা করবো।.আর জানাবো আপনাদের যে – কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ কী, কিডনিতে পাথর কেন হয় ?, কিডনিতে পাথর হলে কি করা উচিত। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে সরাসরি চলে যাওয়া যাক।

বন্ধুরা আমরা অনেকেই জানি যে কিডনির পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। আমাদের দৈনন্দিন প্রস্রাবে বিভিন্ন মাত্রায় লবণের আধিক্য, গরম আবহাওয়া, মূত্রথলিতে দীর্ঘসময় প্রস্রাব জমে থাকা, প্রস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, কিডনিতে প্রদাহ  ইত্যাদি কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু কারণ। কিডনিতে পাথর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। নিচের যেকোনো একটি কারণে পাথর হতে পারে অথবা সব কারণ একসঙ্গে মিশে পাথর সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও পিঠে ব্যথা, জ্বর, বমি বা বমি বমি ভাব কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ। এ ছাড়া কিডনির পাথরের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে।

 পিঠে ও পেটে অথবা পাশে ব্যথা হওয়া

কিডনির পাথরের ব্যথাকে রেনাল কলিকও বলা হয়। এই ব্যথা সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয়। পাথর যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নড়াচড়া করে, তখন ব্যথার জায়গাও পাল্টে যায়।

এই ব্যথাকে অনেকে প্রসবের ব্যথার সঙ্গে তুলনা করেন। সাধারণত পিঠে, পেটে অথবা পাশে এই ব্যথা হয়।

 প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়

কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভূত হয়। তবে মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের বেলায়ও এ ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের মানে ডাক্তারের সাথে সত্তর যোগাযোগ করুন। আপনার একটু অবহেলা অনেকটাই ক্ষতি হতে পারে।

 প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া

মূত্রতন্ত্রে পাথর হওয়ার একটি অন্যতম লক্ষণ হলো প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া। এই  লক্ষণকে হেমাচুরিয়াও বলা হয়। এই রক্তের রং লাল, গোলাপি বা বাদামি ধরনের হতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া কিডনির পাথর বা  মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণ।  এমন হলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।

জ্বর, বমি ও বমি ভাব

কিডনিতে পাথর হলে বা কিডনির কোনো সংক্রমণ হলে জ্বর আসতে পারে। তবে কিডনির পাথর ছাড়াও শরীরের অন্যান্য সংক্রমণে জ্বর আসতে পারে। তাই জ্বর, পাশাপাশি পিঠে বা পাশে ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে যার কারণেও কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে। 

1. শরীরে ভিটামিন এ’র ঘাটতি।

2. প্রস্রাবে বিভিন্ন মাত্রায় লবণের আধিক্য।

3. গরম আবহাওয়া।

4. হরমোনের অসমতার কারণে প্রস্রাবে সাইট্রেটের পরিমাণ কমে যাওয়া।

5. মূত্রথলিতে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব জমে থাকা এবং পর্যাপ্ত প্রস্রাব না হওয়া।

6. প্রস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা।

7. প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির অধিক কার্যকারিতার প্রস্রাবে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম নিঃসরণ হওয়া।

8. দীর্ঘদিন নড়াচড়া না করা, অর্থাৎ শরীর অবশ থাকা।

9. কিডনিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও সংক্রমণ।

কিডনিতে পাথর হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

1. ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন

2. সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

3. উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার

4. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাদ্য

5. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার

6. অ্যালকোহল

7. হেরিং জাতীয় ছোট মাছ

8. টমেটো

9. পালং শাক

10. চা

11. চকলেট

12. সামুদ্রিক খাবার

13. লবণাক্ত খাবার

14. এছাড়াও শীম ও শুটিজাতীয় খাদ্য, ফুলকপি, কিডনি ও লিভারের মাংস, মাশরুম, অলিভ অয়েল এবং সার্ডিন মাছ খাওয়াও এড়িয়ে চলতে হবে।