আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের বলবো যে –সুতা কৃমি কি। আমরা আরও জন্য যে – সুতা কৃমি লক্ষণ, সুতা কৃমি ঔষধ, গুঁড়া কৃমির চিকিৎসা ইত্যাদি ইত্যাদি। চলুন তাহলে আমরা একটু জেনে নি।
সুতা কৃমি (Pin Worm)
বন্ধুরা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী সংক্রমণ করে সুতা কৃমি। সুতা কৃমি ২ থেকে ১২ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের সাদা সুতার মতো চিকন হয়ে থাকে। খাবারের সাথে পেটে গিয়ে সুতা কৃমি ক্ষুদ্রান্ত্রে অবস্থান করে। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক সুতা কৃমি বৃহদান্ত্রের কোলনেই বেশী পাওয়া যায়। স্ত্রী কৃমি রাতের দিকে মলদ্বারের বাইরে এসে ডিম পাড়ে ও কামড়ায় ফলে মলদ্বার চুলকায়। সুতা কৃমি মেয়েদের প্রস্রাবের দ্বারে চলে যেতে পারে ফলে সেখানে চুলকায়। যখন চুলকায় তখন তার আঙ্গুলের ভাজে ও নখের মধ্যে কৃমির ডিম ঢুকে যায়। তাছাড়া জামা-প্যান্ট, বিছানার চাদরে ও কৃমির ডিম লেগে যেতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি যে হাত দিয়ে মলদ্বার চুলকায় সে হাত দিয়ে কিছু খেলে বা মুখে ধরলে বা ঐ নোংরা হাত দিয়ে তৈরি করা খাবার অন্যরা খেলে কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে রাতে মলদ্বারে চুলকানি বেশী হয়। মলদ্বারে চুলকানি থেকে শিশুর ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। তাছাড়া পেটে গোলমাল থেকে যায়। কখনো কখনো অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতা হতে পারে। কারো কারো খাবারের রুচি চলে যায়।
কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy
প্রতিরোধ (Prevention)
1. যেহেতু প্রতিরোধ চিকিৎসার তুলনার অধিকতর ভালো তাই প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত।
2. জন্মেও পর ৫ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো।
3. খাবার তৈরি, পরিবেশন, খাওয়ার পূর্বে এবং মল ত্যাগ করার পরে সাবান বা ছাই দিয়ে হাত ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
4. নিয়মিত স্নান করা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়া এবং বড় হবার আগে অবশ্যই নখ কেটে ফেলা।
5. শিশুর সুতা কৃমি হলে সুতির জাঙ্গিয়া পরিয়ে শোয়ানো উচিত যাতে সে মলদ্বার হাত দিয়ে না চুলকাতে পারে।
6. খালি পায়ে মাঠে রাস্তায় বা পায়খানায় না যাওয়া।
7. অসিদ্ধ বা অর্ধ সিদ্ধ মাংস না খাওয়া।