আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা মনে করে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের বলবো যে – ইউরিক অ্যাসিড কমানোর উপায়। আমরা এখন বর্তমান যুগে নানান সমস্যার জন্য আমাদের ভুগতে হয়, যদিও তার জন্য আমাদের ভেজাল খাবারের সাথে আমরা নিজেরাও দায়ী। আমরা আরও জন্য যে – ইউরিক এসিড কমানোর ঘরোয়া উপায়, ইউরিক এসিড দূর করার উপায়, ইউরিক এসিড কমানোর হোমিও ঔষধ, ইউরিক এসিড পরীক্ষা, ইউরিক এসিড ওষুধ , ইউরিক এসিড ঔষধ, ইউরিক এসিড বাড়ে কোন খাবারে, লেবুতে কি ইউরিক এসিড বাড়ে ?
ইউরিক এসিড বাড়ে কোন খাবারে – যে সব খাবার খাবেন না
1. কিছু কিছু শাকসবজি খাওয়া যাবে না। যেমন : পালং শাক,পুঁই শাক, ফুল কপি ব্রকোলি, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ , পাকা টমেটো ইত্যাদি। এছাড়া মাশরুমও খাওয়া যাবে না।
2. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জাতীয় মাংস (অর্গান মিট) খাওয়া যাবে না। যেমন : লিভার, কলিজা, মগজ, জিহ্বা ইত্যাদি।
3. খোসাযুক্ত প্রাণী পরিহার করতে হবে। যেমন : চিংড়ি মাছ, শামুক, কাকড়া। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
4. অধিক চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। যেমন – গরুর মাংস খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ইত্যাদি।
5. সব রকমের ডাল, বাদাম, মটরশুটি, সিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
6. এলকোহোল, ক্যাফেন জাতীয় বেভারেজ খাওয়া যাবে না। যেমন : চা, কফি, কোমল পানীয়, কারো ক্ষেত্রে চকোলেট খাওয়া যাবে না।
7. মিষ্টি ফলে ফ্রুকটোস থাকে যা ইউরিক এসিড স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্ফটিককে বড় করে দেয়। তাই মিষ্টি ফল পরিহার করাই ভালো।
যে সব খাবার খাবেন বা বাধা নেই
1. চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। যেমন : মুরগির মাংস। মাছ, কুসুম ছাড়া ডিম পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে।
2. অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন : সবজি-শাক ইত্যাদি। এই আঁশ স্ফটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীর থেকে মল আকারে বের হয়ে যায়।
3. এন্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (পেয়ারা, আমলকি, কমলা, মাল্টা), গ্রিন-টি ইত্যাদি খেতে হবে।
4. এই সময় চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ জল পান করতে হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে।
জেনে নিন করা ইউরিক এসিড এ আক্রান্ত বেশি হন
1. যাদের বংশে বাতের সমস্যা আছে তারা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
2. যারা এলকোহল গ্রহণ করে।
3. যারা প্রোটিন জাতীয় খাবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেয়ে থাকে এবং শাক সবজি কম খায়।
4. কিছু কিছু ওষুধ রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যেমন : ডাই ইউরেটিক মেডিসিন।
5. যাদের উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা আছে তাদের ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
6. যাদের ওজনা ধিক্য রয়েছে তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
7. যারা জল কম পান করে তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা আছে।
8. ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে উল্লিখিত শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ইউরিক এসিড দূর করার ঘরোয়াউপায়
1. ওজনের দিকে নজর রাখুন। মেদযুক্ত কোষ এবং বাড়তি ওজনের সমস্যা থাকলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে।
2. যে সব খাবারে পিউরিনের পরিমাণ বেশি সেই খাবারগুলো কমিয়ে দিতে হবে। মাংস, ডিম বা মাছে পিউরিন বেশি মাত্রায় থাকে। এ ছাড়া মাশরুম, মসুরের ডাল ও পালং শাক খাওয়াও কমাতে হবে।
3. চিনি থেকে সাবধান। বিভিন্ন ধরণের পানীয় ও মিষ্টি খাবারে ফ্রুক্টোস নামের একটি জিনিস ব্যবহৃত হয়। এই ফ্রুক্টোস কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যাঁরা বেশি পরিমাণে মিষ্টি পানীয় খান তাঁরা বেশি বাতের সমস্যায় ভোগেন।
4. এছাড়া, মদ ও ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণ বিয়ার পান করলে গাউটের সমস্যা হয়।
শেষ কথা
বেশি মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার খেলেই শরীর সুস্থ রাখা যায় না। অবিলম্বে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। অতিরিক্ত পুষ্টি শরীর সঞ্চয় করে রাখতে পারে না। সে ক্ষেত্রে, এই পুষ্টিগুলো এক হয় মেদে পরিণত হয়, অন্যথায় শরীর থেকে বিভিন্ন উপায়ে বেরিয়ে যায়। একটু ভালো থাকার চেষ্টা করবেন কেননা আপনি ভালো থাকলে আপনার পরিবারও ভালো থাকবে।