আর্থ্রাইটিস রোগের চিকিৎসা – Arthritis Disease In Bengali

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় 

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের বলবো আর্থ্রাইটিস এর ব্যাপারে। বন্ধুরা আমরা আগে জন্য যে আর্থ্রাইটিস আসলে কি জিনিস। আমরা আরও জন্য যে – রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হোমিও চিকিৎসা, অস্টিও আর্থ্রাইটিস, আর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসা, আর্থ্রাইটিস বিশেষজ্ঞ, আর্থ্রাইটিস রোগের লক্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি।

আর্থ্রাইটিস রোগ কি

আর্থ্রাইটিস বলতে সাধারণত বোঝায় অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট এর ব্যাথা। এটি নির্দিষ্ট কোনো রোগ নয়। অস্থিসন্ধি বা অস্থিসন্ধির আসে পাশের মাংসপেশির টেন্ডন ইত্যাদির অনেকগুলো আসুক এক সঙ্গে আর্থ্রাইটিস নাম এ পরিচিত। তবে সবচেয়ে বেশি হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।

আর্থ্রাইটিস এর লক্ষণ 

আর্থ্রাইটিস বা বাতের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ হলো – হাড়ের জয়েন্টে জ্বালাপোড়া, হাত পা বা বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যাওয়া এবং হাঁটা-চলায় অসুবিধা অনুভব করা৷

অতিরিক্ত ওজন

বাড়তি ওজন মানেই শরীরে বাড়তি ব্যথা৷ অতিরিক্ত ওজন বা মেদ সাধারণত কোমরে জমে৷ আর সেখান থেকেই শুরু হয় ব্যথার এবং ধীরে ধীরে হাঁটুতে নামে৷ বাত থেকে দূরে থাকার প্রধান শর্তই হচ্ছে উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন ঠিক রাখা৷

অতিরিক্ত ওজনের শিশু

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, বিশ্বের ৪১ মিলিয়নেরও বেশি শিশুরই বয়সের তুলনায় ওজন বেশি৷ বিশেষ করে, পাঁচ বছর বয়সের নীচের শিশুদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়৷ মোটা শিশুদের বাত, ডায়বেটিস এবং হার্টের অসুখ সহ নানা অসুখের ঝুঁকি থাকে৷ তাছাড়াও অতিরিক্ত ওজনের শিশুরা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ তাই শিশু বয়সেই ওজন কমানোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ৷

খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা

যে কোনো অসুখের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের একটি নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে ৷ তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সবসময়ই সতর্ক হতে হবে৷ পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিনযুক্ত খাবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব যেন না হয়৷

পেশাগত চাপ

কিছু পেশায় যেমন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, অন্য কিছু পেশায় আবার সারাদিন বসেই থাকা হয়৷ এর পাশাপাশি ভারি কাজ করতে গেলেও হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচুর চাপ পরে৷ তাই পেশাগত কারণে সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত ৷

পুরোনো ক্ষত 

ছোটবেলায় কোনো ক্ষত বা হাত পা ভেঙে যাওয়া থেকে পরবর্তী হারের জয়েন্ট এ ব্যাথা দেখা যায়। বয়স বাড়ার সাথে এর ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তাই বন্ধুরা বোরো ধরণের ক্ষত পুরোনো হবার আগেই সতর্ক হতে হবে। নিয়মিত পরামর্শ নিতে হবে অর্থপেডিক ডাক্তারের।

ভালো মাছ খান 

সপ্তাহে দু তিন দিন চুন মাছ, স্যামন, সার্ডিন মাছ খেলে বাতকে দূরে রাখা সম্ভব হয়৷ ‘আর্থাইটিস কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ’-এ তথ্যটি প্রকাশ করেছে ৷

জুতো বদল

পায়ের পেশী ঠিক রাখতে প্রতিদিন তিন রকমের জুতো পরা উচিত বলে জানা গেছে গবেষণায়৷ এর ফলে পায়ের আঙুলের জয়েন্টে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং পুরো পায়ের পাতায় চাপ কম পরে বলেও মনে করছেন গবেষকরা ৷ শেষ পর্যন্ত পুরো শরীরের ভার তো পা দু’টোকেই বহন করতে হয় !

বাত এড়াতে সবচেয়ে জরুরি ‘ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম যেমন শরীর সুস্থ রাখে, তেমনি অসুখ-বিসুখকেও দূরে রাখে৷ তবে বাতের ব্যথা এড়াতে বিশেষ কিছু ব্যায়ামের বিকল্প নেই। কার তাছাড়া আপনার আর্থাইটিস না থাকলেও ব্যায়ামকরা সাস্থের পক্ষে অনেকটাই উপকারী।