সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধ, সাইনাসের ঘরোয়া চিকিৎসা – Home Remedies for Sinus

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ chalokolkata.com  এ স্বাগতম।   আশা করি করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি  আপনাদের সবার জন্য একটা দারুন টপিক নিয়ে কথা বলবো যেটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবার একটা নিত্য সমস্যায়  দাঁড়িয়েছে সেটা হল সাইনাসের সমস্যা ।  রোজ কার  এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেটাই আজকে একটু আপনাদের বলবো ও আলোচনা করবো। আমরা আরও জানবো যে –  সাইনাসের ঘরোয়া চিকিৎসা, ম্যাক্সিলারি সাইনাস, সাইনাসের ব্যথা কমানোর উপায়, সাইনাস in english, সাইনোসাইটিসের ঘরোয়া চিকিৎসা, সাইনোসাইটিস কি কেন হয়, সাইনুসাইটিসের লক্ষণ, সাইনোসাইটিস এর এন্টিবায়োটিক ইত্যাদি ইত্যাদি .

বন্ধুরা আমাদের জীবইনে অনেকেরই সাইনাসের সমস্যা আছে। সাইনাস খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এই সমস্যায় প্রায় আমরা প্রত্যেকেই ভুগি। বিভিন্ন ইনফেকশন, অ্যালার্জি থেকে সাইনাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে আমরা মাথার যন্ত্রণা, মুখমণ্ডলে যন্ত্রণা, নাক থেকে জল পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়ি।

এই সমস্যা যদি খুউব তীব্র হয় তখন প্রচণ্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়, সারাক্ষণ নাক ও মাথায় ভারী ভাব, এমনকি ব্যথার কারণে কখনো কখনো জ্বরও চলে আসে। একটু অনিয়ম হলেই এই সমস্যা বাড়তে পারে। আমাদের মুখের হাড়ের ভেতরে যে ফাঁপা, বায়ুভর্তি জায়গা থাকে, তার ভিতরের ঝিল্লিতে কোনও রকম বাধা এলে বা জ্বালা করলে সেখান থেকেই সাইনোসাইটিসের সমস্যা শুরু হয়। যাদের সাইনাসের সমস্যা আছে তাদের সারা বছরই সাবধান থাকা প্রয়োজন। সমস্যা বেশি হলে কখনও কখনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরন করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমন –

1. সাইনাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপনি প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় এক কোয়া রসুন ও এক চামচ মধু যোগ করুন। এই দুটি উপাদানেই একাধিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে কফজনিত অসুখ ঠেকাতে এগুলোর জুড়ি নেই। এক কোয়া রসুনের সঙ্গে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সাইনাসের আক্রমণ ঠেকাতে পারবেন অনেকটাই। আজি করে দেখুন বা আজ থেকেই শুরু করে দিন।

2. সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেল মালিশ খুবই উপকারী। তিলের তেল, ইউক্যালিপটাসের তেল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, পুদিনা পাতার  তেল মালিশ করলে সাইনাসের প্রভাব কমে যায়।

3. তেল মালিশের পাশাপাশি আরও একটি উপায় রয়েছে সাইনাস থেকে মুক্তির। একটা পাত্রে জল গরম করুন। এবার একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই গরম জলের ভাপ নিন। বন্ধ নাক খুলতে এটি সাহায্য করে। এছাড়া যদি গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস বা পুদিনা পাতার তেল দিয়ে জলটাকে ফোটান, তাহলে সাইনাস থেকে খুব তাড়াতাড়ি নিস্তার পাওয়া যাবে।

4. সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে স্যাঁতসেঁতে বা অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া ক্ষতিকারক হয়ে থাকে। তাই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে, এমন জায়গায় থাকুন।

5. সাইনাসের সমস্যায় মাঝেমধ্যে নাকে গরম ভাপ নিন। বিশেষ করে একটু ঠাণ্ডার প্রবণতা বাড়লে অর্থাৎ শীত কালে নিয়মিত গরম ভাপ নিন। এতে নাক পরিষ্কার থাকবে। আর নাক পরিস্কার থাকলে সাইনাসের সমস্যাও অনেকটাই কম থাকবে। বা নাও হতে পারে।

6. আদা , মধুর মিশ্রণ জমে থাকা কফ পরিষ্কারের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতা শরীর গরম রাখে। আদা প্রাকৃতির ভাবেই অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল। এই দুই উপাদানের মিশ্রণ প্রতি দিন খেতে পারলে সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

7. নিয়মিত গরম পানীয় খান। চা-কফি খেলে তাতে চিনি বাদ দিয়ে মধু খান। সাইনাসের সমস্যা হলে গরম স্যুপও খেতে পারেন।

8. ইষদুষ্ণ গরম জল খান। এছাড়া শরীরে প্রচুর পরিমানে জল অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। তবে মদ খাওয়ার হার কমান। এর ফলে শরীরে জলের হার কমে যায়।

9. গরম জলে  তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এ বার এই তোয়ালে মুখের উপর দিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এতে অনেকটা আরাম পাবেন।

10. সিগারেটের ধোঁয়া, বডি স্প্রে, ধুলোবালি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। এ সব সাইনাসের সমস্যা বাড়াতে পারে।

মাথা ব্যাথা হোক বা সাইনাসের ব্যাথা ওপরের কথা গুলি বা ওপরের লেখা উপায় গুলি আপনি নিয়মিত করলে অনেকটাই উপকার পাবেন। আর যদি ব্যাবহার করার পর একটুও না  কমে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।