নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ chalokolkata.com এ স্বাগতম। আজ আমি আবার চলে এসেছি আপনাদের জন্য বা আমাদের সবার জন্য একটা দারুন টপিক নিয়ে যেটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে প্রত্যেকদিনের সমুক্ষিন হতেই হয়। সেটা হল – বদ হজম, হজমে সমস্যা হলে করণীয়, হজমে সমস্যার লক্ষণ, হজমের ঔষধ, হজমে সমস্যার কারণ, হজমের ট্যাবলেট, দ্রুত খাবার হজমের উপায়, হজমের সমস্যার সমাধান, হজমের সিরাপ, হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাঙালি হবার সাথে সাথে আমরা সবাই জানি যে আমাদের। খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। এরকম বলার কারণ আমরা বাঙালি আর কোথায় আছে আমরা খাদ্য রসিক। আর তাছাড়া নানা কারণেই হতে পারে হজমের সমস্যা। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এর অন্যতম কারণ। বদহজম, অ্যাসিডিটি, পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, ঢেকুর ও হাওয়া নির্গমনের মতো বিরক্তিকর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মেনে চলুন কিছু করণীয় জেনে নেওয়া যাক –
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট ফাঁপে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে আঁশযুক্ত খাবার খান, পর্যাপ্ত জল পান করুন।
খাওয়ার সময় ও মাঝখানে বেশি জল পান করলে পাকস্থলীর অ্যাসিড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভালো করে খাবার ভাঙতে পারে না। তাই খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস জল পান করুন। খাওয়ার সময় বেশি জল নয়। খাওয়া শেষে আবার একটু সময় পর জল পান করবেন।
খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। সময় নিয়ে, ধীরে-সুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া শেষ করবেন। তাড়াহুড়া করে খেতে গিয়ে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। আর তার জন্যই পেটে খানিকটা হাওয়া ঢুকে যায়।
আমাদের দুনিয়ায় অনেক মানুষ আছেন যাদের এই সমস্যা আজীবন লেগেই আছে খাওয়ার কথা শুনলে জিবে জল আসে যায় কিন্তু করার কিছুই থাকে না। মানে খেতেই পারে না ভয়ে। একেক জনের একেক ধরনের খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। আর যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খেতে পারেন না। অনেকের মিষ্টিজাতীয় দ্রব্যে সমস্যা হয়। কারও সমস্যা হয় রুটি, যব বা ডালজাতীয় খাবারে। কার কোনটাতে সমস্যা, সেটা তিনিই ভালো ধরতে পারবেন। তাই বদহজমের রোগীর দুধ নিষেধ বা মিষ্টি নিষেধ-এ জাতীয় কথাসঠিক বলা যাবে না। যার যেটা প্রব্লেম সে নিজেই সেটা বুঝবে।
পেটে গ্যাস সমস্যা তৈরি করতে পারে কৃত্রিম চিনি, অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবারও। তাই এগুলো খেতে হবে হিসাব করে। আর আজি বাড়িতে বলে দিন কোনোরকম রান্নায় বেশি তেল মসলা একদম যেন না দেয়।
ধূমপান, চুইংগাম চিবোনো ও স্ট্র দিয়ে জুসজাতীয় কিছু খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই এ ধরনের অভ্যাস বর্জন করুন।
হজমের সমস্যা সমাধানে যেটা করবেন
হজমের সমস্যা সমাধানে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আদা রাখুন। এটি বমি এবং বমি বমি ভাব প্রতিরোধেও কাজ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও প্রদাহরোধী উপাদান হজমে সাহায্য করে।
হজমে সমস্যা হলে দিনে দুই থেকে তিন কাপ আদার চা খেতে পারেন। দেড় কাপ জলে এক চা চামচ আদা কুচি করে দিন তারপর একটি পাত্রে ১০ মিনিট ধরে ফুটতে দিন তারপর ওই পানীয় থেকে আদা কুচিকে বের করে ফেলুন বা চেকে ফেলুন তারপর সামান্য মধু দিন। এরপর পান করুন। দেখবেন সমস্যা আর থাকবেই না।
দুই চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ মধুর দুই কাপ গরম জলে মেশান। দিনে দুই বা তিন বেলা এটি খান। উপকার পাবেন।
হজম ভালো করতে খাওয়ার পর ছোট একটি আদার টুকরোও মুখে নিয়ে চেবাতে পারেন।
যে সবজিগুলো সহজে হজম হয় না যেমন, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাকে থাকা রাফিনোজ নামক উপাদান পেটে গ্যাস তৈরি করে। এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
মাথায় রাখবেন খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়বেন না। কারণ খাবার হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এর মধ্যে থাকা পেকটিন বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে, হজমে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ কাচা, অপরিশোধিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক কাপ গরম জলে দিন। এর মধ্যে মধু মেশান। হজমের সমস্যা সমাধানে একে দিনে দুই থেকে তিন বার পান করুন। অনেকটাই উপকার পাবেন।