তিতা করলার উপকারিতা – Health Benefits of Bitter Gourd, Bitter Gourd Health Benefits

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ এ স্বাগতম। আমি  সব সময় চেষ্টা করে থাকি আপনাদের প্রতি নিয়ত চাহিদা বা জানকারী দেবার। আপনাদের যদি কোনো রকম অন্য কিছু বিষয়ে জানার থাকে যে কোনো বিষয়ে …তাহলে আমাকে কমেন্ট বাক্স এ জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমি যথাসাদ্ধ চেষ্টা করবো আপনাদের সাহায্য করার।

বন্ধুরা আমাদের সবজি বাজারে সারাবছরই তেতো সবজি করলা পাওয়া যায়। ভাজি, ভর্তা বা ঝোলে করলার জুড়ি নেই। তিতা বলেই  অনেকে খেতেও চায় না। সত্যি কথা বলতে আমরা খাবার খাই জিভের স্বাদের জন্য। তবে স্বাদের চেয়ে ওষুধের গুণই বেশি তাই করোলাকে অনেকটাই উপকার বলেই আমরা জানি। আর তাছাড়া যে কোনো জিনিস।আমরা বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি জেনে নেবো – করলার পাতার উপকারিতা, করলার জুসের উপকারিতা, করলার বিচির উপকারিতা, করলার উপকারিতা ও অপকারিতা, কাঁচা করলার উপকারিতা, করলার জুস বানানোর নিয়ম, উচ্ছের উপকারিতা – তাহলে চলো জেনে নেওয়া যাক। 

প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ১৭ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেটস ৩.৭০ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফাইবার ২.৮০ গ্রাম, ফোলেট ৭২ মাইক্রো গ্রাম, নিয়াসিন ০.৪০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৪৭১ আইইউ, ভিটামিন সি ৮৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২৯৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম।

ভারতের অনেক জায়গায় আদিবাসী অঞ্চলের মানুষরা বা অনেক শহরের মানুষরাও বহু বছর ধরেই করলাকে ডায়াবেটিস, পেটের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, জন্ডিস ইত্যাদিতে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এশিয়া অঞ্চলে হাজার বছর ধরে এটি ওষুধের গুণেভরা সবজি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। পুষ্টিগুণের বিবেচনায় করলা অনেক সমৃদ্ধ। বড় ধরনের রোগ সারাতে করলায় লুকিয়ে আছে অসাধারণ গুণ।

তাহলে বন্ধুরা আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক করলার অসাধারণ কিছু গুনাগুণ –

1. করলা অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোতে সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এটি শরীরের কোষের গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়া বাড়ায় ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমে। তার মানে এর থেকেই বোঝা যায় যে ডায়াবেটিস থাকলেও কমে যায় আর যাদের ডায়াবেটিস নেই বা থাকলেও অল্প বা সমান সমান আছে তাদের কাছে ডায়াবেটিস বা জেক আমরা চলতি কোথায় সুগার বলি ধরে কাছে গেসে না।

2. করলায় আছে যথেষ্ট লৌহ, ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং আঁশ। এন্টি অক্সিডেন্ট-ভিটামিন এ এবং সি বার্ধক্য বিলম্বিত করে। এছাড়া করলায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টিকারী লুটিন এবং ক্যানসার প্রতিরোধকারী লাইকোপিন।

3. করলা রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারাইড বা টিজি কমায় আর বাড়ায় ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল। এতে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন করলা গ্রহণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং প্রতিরোধ হয় রক্তনালিতে চর্বি জমার কারণে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা।

4. খাবারে অরুচি দেখা দিলে, অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে এক চা চামচ করে ফলের রস সকাল ও বিকালে খেলে খাবারে রুচি বাড়বে। তবে রোজ একদমই খাবেন না প্রথমের দিকে একদিন অন্তর অন্তর তারপর দুনি অন্তর তারপর তিনদিন অন্তর এমন করে খাবেন। মাথায় রাখবেন কোনো জিনিসই আমাদের তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়।

5. ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস খেলে খুব উপকার মেলে। এছাড়া ম্যালেরিয়ার রোগীকে দিনে তিনটে করলার পাতা ও সাড়ে তিনটি আস্ত গোলমরিচ এক সঙ্গে থেঁতো করে নিয়ম করে ৭ দিন খাওয়ালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। করলার পাতার রস খেলে জ্বর সেরে যায়। শরীর থেকে কৃমি দূর করতেও করলা কাজ করে।

6. দেহ থেকে বাতব্যথা তাড়াতে চার চা-চামচ করলা বা উচ্ছে পাতার রস একটু গরম করে দেড় চা চামচ বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি মিশিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে হবে। দু একদিন করলেই কমার সম্ভাবনা ও একটাই বেশি।

7. শরীর কামড়ানি, জল পিপাসা বেড়ে যাওয়া, বমিভাব হওয়া থেকে মুক্তি পেতে উচ্ছে বা করলার পাতার রস উপকারী। এক চা চামচ করলা পাতর রস একটু গরম করে অথবা গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Tag – Momordica Charantia, Bitter Gourd,Benefits,Bitter Gourd Health Benefits, Karela, Korola