ডায়রিয়ার ঘরোয়া চিকিৎসা – Diarrhea Home Remedies

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি  আপনাদের সবার জন্য একটা দারুন টপিক নিয়ে কথা বলবো যেটা আমাদের সবার জেনে রাখা দরকার সেটা হলো ডায়রিয়া থেকে মুক্তির উপায় ও ডায়রিয়া হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত। আমাদের সবার এই জটিল সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেটাই আজকে একটু আপনাদের বলবো বা আলোচনা করবো। আমরা আরও  জানবো যে – ডায়রিয়া কেন হয়, ডায়রিয়ার জীবানুর নাম, ডায়রিয়া হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত, ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত নয়, পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক, ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা, ডায়রিয়া রোগের কারণ, কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়, ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত নয়, পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় ইত্তাদি ইত্যাদি।

ডায়রিয়া খুব পরিচিত একটি রোগ। এই রোগ হওয়ার আগে এর লক্ষণ দেখা দেয় না। যেকোন সময় সে কারোর এই রোগ হতে পারে। যখন আমাদের পরিপাকতন্ত্র ঠিক মত কাজ করে না তখন সমস্যাটি দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, দূষিত খাবার ও জল ,  অত্যধিক মদ্যপান, মানসিক চাপ এমনকি কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়রিয়া শরীরে থেকে জল বের করে দেয়। আর যার কারণে শরীরে জল শূন্যতা দেখা দেয় এবং শরীর দুর্বল করে দেয়। ডায়রিয়া হলে স্যালাইন টানতে হয় তা আমরা সবাই  জানি। অনেকে অনেক সময় স্যালাইন টানতে পারেন না। আবার অনেক সময় স্যালাইন কাজও করে না। তখন ঘরোয়া কিছু উপায়ে রোধ করা যায় এই সমস্যাটি। তেমন কিছু ঘরোয়া উপায়ে কথা আজ আপনাদের জানাবো । তাই আমরা সরাসরি জেনে নেবো যে সহজ সরল ভাবে আমাদের ঘরোয়া কি কি উপায় আছে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবার।  বন্ধুরা ডায়রিয়া আমাদের একটি খুব জটিল রোগ। আমরা সবার আগে জানবো যে ডায়রিয়া কি জিনিস ?

ডায়রিয়া কি জিনিস

বন্ধুরা ডায়রিয়া হল সমানে পাতলা পায়খানা হওয়া। ধরে নিন যদি দিনে ৫ থেকে ৭ বারেরও বেশি পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে বা তারও বেশি তখন আমরা ডায়রিয়া বলব বা আমরা ধারণা করবো যে আমার ডায়রিয়া হয়েছে ।

পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় – 

নুন, লেবু, লবণ, চিনির ও জলের মিশ্রণ

নুন, জল, লেবুর রস,এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এটি সারা দিন স্যালাইনের মত করে খান। এটি আপনার শরীরের জল ও গ্লুকোজ এর শূন্যতা পূরন করে থাকে। আমার মতে সব চাইতে ভালো জিনিস ডায়রিয়ার জন্য।

টক দই      

টক দইয়ে ল্যাক্টোব্যালিয়াস অ্যাসিডোফিউস থাকে যা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। টক দইয়ের ভাল ব্যাকটেরিয়া ডায়রিয়ার খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে থাকে। টক দই অ্যান্টিবায়টিক ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে থাকে। দুই বাটি টক দই খান ডায়রিয়ার সময়। টক দইয়ের সাথে কলা মিশিয়েও খেতে পারেন। উপকার পাবেন।

কলা

ডায়রিয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কলা খান কেননা কলাও খুব ভালো কাজ করে থাকে। কলার পেকটিন ও ক্যালসিয়াম ডায়রিয়া সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। ১। একটি পাকা কলা পেস্ট করে নিন তারপর এর মধ্যে তেতুলের রস ও এক চিমটি লবণ দিয়ে নিন। এই পেস্টটি প্রতিদিন ২ বার খেয়ে নিন। ২। প্রতিদিন সকালে টিফিন করার সময় ১/২ পাকা কলা খাওয়া খুব ভালো এবং এই ফলটি খাদ্য হজমে অনেক সাহায্য করে।

গাজর

 

গাজর হল প্রোটিনের অন্যতম উৎস। কিছু গাজর সিদ্ধ করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে সামান্য জল দিয়ে কিছুটা ঘন পেস্ট করুন। জুস করবেন না। এবার এটি কোয়াটার হাফ কাপ করে প্রতি ঘণ্টায় খান। যেকোন প্রকার বীনস, বীচি বা শক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।

আপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ডায়রিয়া সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। ডায়রিয়া সমস্যা দেখা দিলে  আপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। কিভাবে করবেন জেনে নিন –

এক গ্লাস জলে এক বা দুই চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। দিনে দুইবার এই জলটি পান করুন। অনেকটাই উপকার পাবেন।

আদা

আদা  আমাদের দেহের হজম শক্তি উন্নত করার জন্য খুব সহায়ক এবং ডায়রিয়া সারিয়ে তুলতে আদা খুব উপকারী। ১। এক চামচ আদা গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, দারুচিনি গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। প্রতিদিন ৩ বেলা এই পেস্টটি খান। ২। আদা চা বানিয়ে নিন। দিনে দুবার আদা চা পান করুন। ৩। যাদের হাই ব্লাড প্রেশার রয়েছে তাদের ডায়রিয়া হলে আদার যে কোন জিনিস না খাওয়াইঅনেকটাই উপকারী ।

শেষ কথা 

বন্ধুরা মাথায় একটা কথা রাখবেন যে ডায়রিয়া হলে আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খাওয়া থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে ।  দুধ জাতীয় যেকোন খাবার যেমন চিজ, পনির, দুধের চকলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ডায়রিয়াকে ছোট রোগ ভেবে অবহেলা করবেন না, একটু অবহেলায় এটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে বা যদি ঘরোয়া টোটকা তে না কমে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।