কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় – Stomach Worms Home Remedy

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম।   আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি  আপনাদের সবার জন্য একটা দারুন টপিক নিয়ে কথা বলবো যেটা আমাদের সবার জেনে রাখা দরকার সেটা হলো কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার – কৃমি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়। বন্ধুরা আজকের জিনিসটা  অনেক পরিচিত ও ঘরে ঘরেই এর বিস্তার। আমরা এমন কেউ নেই যার শরীরে কৃমি নেই তবে কোনটা ক্ষতিকরযেটা আমাদের বুঝতে হবে ও জানত হবে। আমরা আরও জন্য যে – কৃমির ট্যাবলেট, গুঁড়া কৃমির চিকিৎসা, কৃমির ট্যাবলেট এর নাম, শিশুদের কৃমি হলে করণীয়, কৃমির লক্ষণ ও প্রতিকার, গুড়া কৃমি দূর করার উপায় কি 

আমাদের দুনিয়ায় বা সমাজে কম বেশি ছোট বড় সবাই মোটামুটি কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।মূলত ত্বকের মাধ্যমে কৃমি দেহে প্রবেশ করে থাকে। নিয়মিত মেনে চললে খুউব তাড়াতাড়ি কমে যায় সমস্যা। কৃমি শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য প্রাণীর শরীরেও দেখা দিয়ে থাকে। কৃমি বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। সুতা কৃমি, বক্র কৃমি, গোল কৃমি, ফিতা কৃমি হয়ে থাকে। কৃমি দূর করার জন্য সাধারণত ঔষধ খাওয়া হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে কৃমি দূর করা সম্ভ – তাহলে বন্ধুরা আর সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক।

লক্ষণ

কৃমি হলে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, পেট মোটা বা ভারি হওয়া, খাবারে অরুচি, মুখে থুথু ওঠা এবং কোনো কোনো কৃমিতে পায়খানার রাস্তার পাশে চুলকানি হতে পারে। কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি দেখা দেয়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। হুক ওয়ার্মের একমাত্র খাদ্য হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর রক্ত। অনেক সময় বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের এপেনডিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে।ফলে এপেনডিসাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর নাক, মুখ দিয়েও কৃমি পড়তে পারে। পেটে কৃমির আধিক্যে অন্ত্রনালীর পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্ত্র ফুটো করে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। তাই উপরোক্ত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে কৃমি দূর করা সম্ভভ –

মিষ্টি কুমড়োর বীচি

মিষ্টি কুমড়োর বীচি পেটের কৃমি দূর করতে বেশ কার্যকরী। দুই টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীচির গুঁড়ো তিন কাপ জলে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন। সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া এক টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীচির গুঁড়োর সাথে সমপরিমাণের মধু মিশিয়ে নিন। খালি পেটে এটি খান। তারপর সকালের টিফিন এ একটি কলা খেতে পারেন।

রসুন 

রসুন অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুনের অ্যামিনো অ্যাসিড পেটের কৃমি মেরে ফেলে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ কোয়া রসুন খান। নিয়মিত এক সপ্তাহ এটি খান। এছাড়া আধা কাপ জলে দুটি রসুনের কোয়া দিয়ে সিদ্ধ করুন। এটি খালি পেটে এটি নিয়মিত সেবন করুন । এক সপ্তাহ এটি সেবন করুন।

পাকা পেঁপের বীজ

পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করতে পেঁপের চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। যেকোনো ধরনের কৃমি তাড়াতে তাই পাকা পেঁপের বীজ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। ভালো ফল পেতে মধুর সাথে পাকা পেঁপেও খাওয়া যেতে পারে। করুন উপকার পাবেন।

নারকেল 

পেটের কৃমি দূর করতে নারকেল বেশ কার্যকরী। প্রতিদিন সকালের টিফিনে এক টেবিল চামচ নারকেল কুচি খান। ৩ ঘন্টা পর এক গ্লাস গরম দুধের সাথে দুই টেবিল চামচ কাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করুন। এছাড়া চার থেকে ছয় চা চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল খেতে পারেন।

লবঙ্গ 

প্রতিদিন ১ থেকে ২টি লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান পেটের কৃমি ধ্বংস করে দিয়ে থাকে। এটি শুধু পেটের কৃমি নয় কৃমির ডিমও ধ্বংস করে দেয়।

গাজর

দুটি গাজর কুচি করে নিন। এটি প্রতিদিন খালি পেটে খান। অন্য খাবার সকালে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি প্রতিদিন খান। কিছুদিনের মধ্যে কৃমি কমে যাবে। গাজরের বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেটের কৃমি মেরে ফেলে।

হলুদ

এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এছাড়া আধা কাপ গরম জলে , আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। পাঁচ দিন এটি পান করুন। অনেক উপকার পাবেন।

শসার বীজ

এ ছাড়া এক চা চামচ শসার বীজ গুঁড়ো করে কাঁচা হলুদের সাথে মিশিয়ে খেলে পেটে ফিতাকৃমি থাকলে তা মরে যায়। কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকেরও কাজ করে।  এসব প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেও কৃমি দূর না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পুরো পরিবার এক সাথে কৃমির ওষুধ সেবন করতে হবে।

শেষ কথা 

তাড়াতাড়ি ঘরোয়া উপায়ে সমস্যা সমাধান না হলে সোজা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে আর নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। ভালো থাকবেন। বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয়