আপনি কি জানেন বেশি তিতা খেলে কি হয় ? একবার জেনে নিন

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই পেজ এ স্বাগতম। আমি  সব সময় চেষ্টা করে থাকি আপনাদের প্রতি নিয়ত চাহিদা বা জানকারী দেবার। আমার বিষয় অনেক কিছু নিয়ে আজ আমি প্রথম বার বলছি আপনাদের যদি আপনাদের কোনো রকম অন্য কিছু জানার থাকে বা বোঝার থাকে সরাসরি আমাকে কমেন্ট বা মেসেজ  কেননা এটা আমার কাছে সরাসরি আসে আমি সরাসরি দেখতে পারি। আর আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের যত টপিক থাকবে বা যত টপিক আপনাদের জানার ইচ্ছা থাকবে আমি ১০০% চেষ্টা করবো আপনাদের সাহায্য করতে। আজকে আমি তিতার ব্যাপারে বলবো।

বন্ধুরা আমরা অনেকেই জানি যে আমাদের শরীরে তিতার কতটা প্রয়োজন বা তিতা আমাদের কি কি উপকার করে । কিন্তু আমরা কি কখনো জানার চেষ্টা করেছি যে বেশি তিতা খেলে আমাদের কি কি অপকার বা ক্ষতি হতে পারে। আজ আমি শান্তনু আপনাদের বলবো বা জানানোর চেষ্টা করবো যে বেশি তিতা খেলে কি কি ক্ষতি বা অপকার হতে পারে। তাহলে আজ আমরা একটু দেখে নেবো যে তিতা আমাদের অনেক উপকার করলেও সব কিছুর একটি লিমিট থাকে তাই কোনো কিছুই বেশি করা একদমই ভালো নয়। আমরা দেখে নেবো এখন –

তিতা করলা খেলে উপকারের কথা শুনেছেন বহু । কিন্তু তার অপকারের কথা কি জানেন । না জানেন না। তাহলে আজ জেনে নিন আর সাবধান হন।

1. গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।। গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যধিক পরিমাণে তিতা করলা খেলে মাসিকের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং গর্ভনিরোধক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। খিচুনিতে আক্রান্ত হতে পারে এবং এইভাবে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় ।।

2. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তিতা করলা খুবই উপকারী এবং উচ্চ রক্ত ​​শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আপনার নিয়মিত ঔষধের সাথে তিতা করলা গ্রহণ করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এমন ভাবে আপনার শর্করা কমাবে যে আপনি কোমায় চলে যতে পারেন ।তাই একটি করলার চার ভাগের এক ভাগ জুস করে খাবেন। এ ছাড়াও আমি আপনাদের একটি পানিও পান করতে বলছি খুউব ভালো কাজ দেয় সেটা হল – নিচের লিংক  ক্লিক করলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনি সেই দারুন একটা জিনিস যেটার সাহায্যে আপনি অনেকটাই  উপকার পাবেন। লিংক টা ক্লিক করে দেখে নিন।

Kapiva Karela Jamun Juice 

3. অনিয়মিত হার্ট বিট কারণ হতে পারে তিতা করলা আমাদের হৃদয়ের জন্য উপকারজনক কারণ এটি ধমনীতে ক্লোজিং প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যাইহোক ২০১০ সালের একটি গবেষণায় “দ্য অ্যানালস অফ সৌদি মেডিসিন” প্রকাশিত হয় । এই তথ্য অনুযায়ী একটি ২২ বছর বয়সী পুরুষ একটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন উপসর্গ বিকাশ পাওয়া যায় পরে তিনি আধা কাপ তিতা করলার রস পান করেন । তাই অল্প বয়সী কেঊ যেন তিতা করলা না খায়। সাবধান 

4. শিশুরা খেলে শিশু পেটে ব্যথা, বমি ও পেট ফাপা রোগে আক্রান্ত হতে পারে । শিশুদের জন্য বিষ ক্রিয়া করে ।

5.  হিপগ্লিসেমিক কোমা হতে পারে , আমাদের দেহে অত্যন্ত কম রক্তের শর্করার মাত্রা দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি ধরনের কোমা তৈরি করে এবং অনিয়মিত হৃদপিন্ডের জন্ম দেয়।

6.  লিভার ইনফ্লেমেশন হতে পারে ।আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খরচ কম । যাইহোক, গবেষণায় দেখা যায় যে, তিতা করলা বেশী খেলে লিভার এনজাইমকে উন্নত করে লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে । সব খাবারের একটি খারাপ দিক আছে । এ হচ্ছে প্রকৃতির ঋনাত্বক ও ধনাত্বক বা আকষর্ন বা বিকর্ষন ক্রিয়া । তাই জানা তাকলে আপনার জন্য সুবিধা হবে ।

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে বন্ধুরা তেতো খান তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কখন খাবেন, কেন খাবেন, কে বা কারা খাবেন, আর কে কারা খাবেন না  –  এগুলো সব জানতে হবে। নাহলে একদমই মুশকিল। একটা কথা মাথায় রাখবেন শুধু তেতো কোনো কোনো কিছুই আমাদের বেশি বেশি করা উচিত না। আপনাদের আসে পাশে যারা আছেন বা যাদের জানেন তেতো বেশি খায় তাদের কিছু কোনো কথা না বলে জাস্ট একবার আমার এই লেখা তা পাঠিয়ে দিন আর বলে দিন ভাই বা বোন বা বন্ধু এটা একবার পরে নে বা পরেনাও বা পরে নিন। অনেকটাই লাভ হবে। ভালো থাকুন ভালো রাখুন আপনার পাশের লোক ভালো থাকলেই আপনি ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

আমি – শান্তনু