দাঁতের যত্ন ও দাঁতের চিকিৎসা

দাঁত মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মুখে অবস্থিত একটি অঙ্গ। শরীরের অন্যান্য অঙ্গসমূহের ন্যায় দাঁতেরও নানান ধরণের সমস্যা থাকতে পারে। মাঝেমধ্যে অনেকে অভিযোগ করে থাকেন তাদের প্রচণ্ড দাঁত ব্যথা হয়। দাঁত ব্যথা হচ্ছে দাঁতের মধ্যে কিংবা চারদিকে অনুভূত ব্যথা বা যন্ত্রণা। নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে ও আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। বন্ধুরা আমাদের ক্যালসিয়ামেরে অভাবে অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়ে যায় শরীরের।

বন্ধুরা আমাদের দাঁত ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন দাঁতের ক্ষয়রোগ, পুঁজযুক্ত দাঁত কিংবা অন্য কোন সংক্রমণ ও মুখে বা চোয়ালে জখম।আমাদের দাঁতের কিছু সমস্যার মধ্যে সাধারণত তিন ধরনের সমস্যা দেখা যায়- নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, মাড়ি থেকে রক্ত,দাঁতে ক্যাভিটি। অথচ কিছু সাধারণ সতর্কতা মেনে চললেই এই সমস্যা গুলো থেকে থাকা যায় মুক্ত। যেমন, বেশি চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। মিষ্টি খাবার খাওয়া হলে ভালো করে কুলি করে নিন। এছাড়া যেসব পানীয়তে অ্যাসিডের পরিমান বেশি থাকে সেগুলো কম খাওয়াই ভালো। যেমন- কোল্ড ড্রিংকস, প্যাকেটজাত জুস। রাতে দাঁত ব্রাশ করার পর আর কিছু খাবেন না।

আপনার মুখের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় একটুকরো সুন্দর হাসি। তবে সুন্দর হাসির অধিকারী হতে গেলে দাঁতের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে অবশ্যই। নিয়মিত যত্ন না নিলে দেখা দিতে পারে দাঁতে ক্যাভিটি, মুখের আলসার, এমনকি মুখের ক্যানসারও। তাই দাঁত, মাড়ি বা মুখের ভেতরের যে কোনও ছোট বড় সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। সময়মত চিকিৎসা না করালে বা নিয়মিত দাঁতের যত্ন না নিলে আপনার মুখের সুন্দর হাসি মলিন হতে সময় লাগবে না বিশেষ। আসুন, আজ জেনে নেই দাঁতের কিছু সাধারন সমস্যা ও দাঁতের যত্ন সম্পকে।

দাঁতের কিছু সাধারন সমস্যা

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ

মাড়ি থেকে রক্ত

দাঁতে ক্যাভিটি।

প্রতিরোধের উপায়

  • দিনে কমপক্ষে ২ বার মাঝারি ব্রিসলের ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। একবার সকালে নাস্তার পরে ও আরেকবার রাতে ঘুমের পূর্বে। রাতে ব্রাশ করার পর আর কিছু খাবেন না।
  • তিন মাস অন্তর অন্তর ব্রাশ বদল করতে হবে।
  • নিয়মিত দাঁত ফ্লস করুন, এতে করে দাঁতে খাদ্য কণা আটকে থাকবে না।
  • যেসব খাবার ও পানীয়তে চিনির পরিমান বেশি থাকে সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মিষ্টি খাবার খাওয়া হলে ভালো করে কুলি করে নিন। এছাড়া যেসব পানীয়তে অ্যাসিডের পরিমান বেশি থাকে সেগুলো কম খাওয়াই ভালো। যেমন- কোল্ড ড্রিংকস, প্যাকেটজাত জুস। এতে দাঁতের ক্ষয় কম হবে।
  • রসুন দাঁতের জন্য দারুন উপকারী। রসুন দাঁতের ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কাঁচা রসুন বা রসুনের আচার রাখতে পারেন।

দাঁত ও হাতের নখের ফুল থাকলে কি হয়

মুখের সুস্থতার জন্যে যেসব পরামর্শ মেনে চলা উচিত

দাঁত পরিষ্কার রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে দাঁতের আবরণে ও ফাঁকা জায়গায় অবস্থানরত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখা। যাতে কোন প্রকারের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত দন্ত-সমস্যা না ঘটে। প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণের পর সকালে কিংবা রাতে দুই বার নিয়মিতভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে

1. ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট বা জীবাণু বিরোধী মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে
2. প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে
3. দন্ত চিকিৎসককে দিয়ে দাঁতের ক্যালকুলাস দূর করতে হবে
4. প্রতি ছয় মাস পরপর দন্ত চিকিৎসকের সুপারিশ গ্রহণ করতে হবে।

দাঁত ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা

1. দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা যে কোন খাদ্য কণা বা পার্টিকল দূর করার জন্য ফ্লস ব্যবহার করতে হবে
2. হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে
3. দাঁতের উপরে ক্লোভ অয়েল প্রয়োগ করতে হবে বা একটা ক্লোভ (লবঙ্গ) চিবাতে হবে
4. ব্যথা লাঘবের জন্যে মুখের বহিরাংশে একটা আইস প্যাক প্রয়োগ করতে হবে
5. দাঁতের মাড়ি প্রশমিত করার জন্য ন্যাচারাল অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করতে হবে
6. একজন ডেন্টিস্ট এর সাথে দেখা করতে হবে।