যোগ ব্যায়াম – Yoga Exercises

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে ও আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। যোগ ব্যায়াম বা যোগ সাধনা এমনি একটা জিনিস সেটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে করাটা অনেকটাই উপকারী বা করা দরকার।

শরীরে রোগব্যাধি নেই এইরকম মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে । কোন চিকিৎসক বা চিকিৎসার দ্বারা এমন বলা যেতে না পারলেও যোগ ব্যায়ামের দ্বারা শরীরকে সুস্থ রাখা যায়। ৫ বছর থেকে শুরু করে  প্রত্যেক মানুষের  নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করাটা অত্যন্ত জরুরী। অনেকের মতে যোগ একশ্রেণীর ব্যায়াম। যা মন ও শরীরের সঙ্গে সংযোগ এবং উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে। যোগ ব্যায়ামের সুবিধা হল মনের সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে সাহায্য করে।

যোগ ব্যায়াম কাকে বলে – যোগাসন কাকে বলে

যোগ ব্যায়ামের আর এক নাম যোগাসন। আধুনিক যুগে, দক্ষিণ এশিয়ার যোগব্যায়াম বিশ্বের সমস্ত কোণে প্রসারিত হয়েছে। যদিও এটি এখন ব্যায়াম এবং ধ্যানের একটি জনপ্রিয় রূপ। যোগ আত্মা, আত্মবিশ্বাস একটি আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান।
যোগব্যায়ামকে মনের ক্রিয়াকলাপের নিয়ন্ত্রক হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে হয়ে থাকে। যোগ পদ্ধতি আমাদের অস্তিত্বের সমগ্র ক্ষেত্রকে শারীরিক, মানসিক এবং মানসিক থেকে আধ্যাত্মিক পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করে। ৩৩ কোটির বেশি যোগ ব্যায়াম আছে। তার মধ্যে দেড় হাজার ব্যায়াম বা আসন আমরা দেখতে পাই। এর মধ্যে ৪০-৫০ টি আসন নিয়মিত করলে আমদের শরীরকে নীরোগ ও সুন্দর করে গড়ে তোলা যায়। আসুন আমরা একে একে দেখে নি যোগাসন পদ্ধতি। 

যোগ ব্যায়ামের সুবিধা – যোগ ব্যায়াম করার নিয়ম  

নিয়মিত আসন, শরীর ফিট রাখার পাশাপাশি মন উন্মুক্ত রাখে।

মেরুদণ্ড সুরক্ষা

দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ সরাসরি প্রভাব ফেলে মানব মেরুদন্ডে। ভুজাঙ্গাসন মেরুদণ্ডকে সোজা রাখতে সাহায্য করে। আপনাকে সরাসরি বসতে সক্ষম করে। ধারাবাহিক যোগ ব্যায়াম অনুশীলনে মেরুদণ্ড শক্তিশালী করার পাশাপাশি ক্লান্তি রোধ করে।

ব্যাথা উপশম

ব্যাথা উপশমের ক্ষেত্রে যোগ আসন অপরিহার্য। ব্যাথা থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসকরাও এখন যোগআভ্যাসের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রত্যেক রোগব্যাধির জন্য আলাদা আলাদা আসন আছে। তাই ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যোগ আসন করবেন।

হার্ট ভালো রাখে

নিয়মিত যোগ আসন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দেয়।

রোগ প্রতিরোধ করে

ব্যায়াম শরীরের পেশিকে মজবুত রাখে। যোগ ব্যায়াম শরীরের রোগব্যাধি প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে শরীরকে সুস্থ রাখে।

হজমের শক্তি বাড়ায়

কোন শারীরিক ব্যায়ামের মতো যোগ ব্যায়াম কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। দেহে খাদ্য ও পণ্যগুলি দ্রুত সরবরাহ করে হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত বজ্রাসন করলে হজমের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

ওজন কমায়

যোগ ব্যায়ামের সুবিধা মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হল ওজন কম হওয়া। শরীরের মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত যোগ আসন করার ফলে শরীরের ওজন হ্রাস পায়। দেহের ক্লান্তি দূর হয়।

চাপ মুক্ত করে

নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট যোগাসন করলে মনের চাপ মুক্ত হয়। মন সুস্থ ও সতেজ হয়ে ওঠে।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে

যোগব্যায়ামের ফলে দেহের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখে, ফলে দেহ সচল থাকে।

 হাড় মজবুত করে

যোগ ব্যায়ামের সুবিধা হল পেশি শক্তিশালী হয়। যার ফলে হাড় মজবুত থাকে।

কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি

যোগ ব্যায়াম আমদের শরীরে হরমোনকে প্রভাবিত করতে সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করে। আমদের শরীরে যখন যে মাত্রায় হরমোন প্রভাবিত হওয়ার দরকার সে মাত্রায় হরমোন প্রভাবিত হলে শারীরিক ফিটনেস বজায় থাকবে। ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এটা নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের দ্বারাই সম্ভব। প্রতিদিন যোগাসন করলে আপনি আরও পরিশ্রমী হয়ে উঠবেন।

উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে

সাবাসন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের এই লক্ষণ আছে তারা নিয়মিত সাবাসন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।