Kalo Dag Dur Korar Upay – কালো দাগ দূর করার উপায়

হ্যালো বন্ধুরা না আজকে আর বলবো না যে কেমন আছেনকেননা কলকাতায় যা গরম মাথা সবার এমনি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুরা গরমে নিজের খেয়াল রাখবেন, অনেক বেশি বেশি করে জল খাবেন। পাতলা জামা কাপড় পড়বেন। আমাদের আজকের বিষয় হল – ছেলেদের মুখের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়, মুখের কালো ভাব দূর করার উপায়, মুখের কালো দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় ইত্যাদি ইত্যাদি তা হলে আসুন শুরু করা যাক।

মুখের দাগ দূর করার জন্য রয়েছে বহু কসমেটিক ক্রিম ৷ এমনকি মেক আপ দিয়েও সহজে ঢাকা যায় সেই কালো দাগগুলি ৷ তবে শরীরের অন্যান্য অংশের কালোভাবকে দূর করতে গেলেই প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয় ৷ কিন্তু এই ঘরোয়া উপায় আপনি সেই সমস্ত কালো দাগের থেকে পেতে পারেন মুক্তি ৷ এমনকি ফিরবে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা ৷

চিনি ও অলিভ ওয়েল

হ্যা বন্ধুরা চিনিও খুব ভালো স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে৷ চিনির সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে ফেলুন৷ দুটির পরিমাণ সমান হওয়া চাই৷ চিনিটি গুলে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন৷ মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে কালো দাগগুলিতে লাগিয়ে ফেলুন৷ ১০-২০ মিনিট লাগাবার পর তুলে ফেলুন৷ এতে আপনার ত্বকের কালো দাগ তো উঠবেই সঙ্গে আপনার ত্বকের মৃত কোশগুলিকেও নতুন করে গড়ে তুলবে৷

লেবু ও মধু

লেবু ও মধু দুটোই শরীরের স্ক্রাব হিসেবে খুব ভালো কাজ করে৷ লেবু উজ্জ্বলতা ফেরায় এবং মধু আপনার ত্বককে নরম করে৷ এক চামচ লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে একটি কৌটতে কিছুক্ষণ রেখে দিন৷ আবার একটু ফেটিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি হাঁটু, বগল, কনুইয়ে লাগিয়ে ফেলুন৷ আধ ঘন্টা মত মাখিয়ে রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ এক-দেড় মাস এই পদ্ধতি মেনে চললেই আপনি ফল পাবেন৷

বেকিং সোডা ও ঠান্ডা দুধ

বেকিং সোডা বাড়ির বিভিন্ন কাজেই লাগে ৷ চিমনির শেড থেকে শুরু করে আপনার ত্বকের স্ক্রাব, সবেতেই উপকার পাওয়া যায় বেকিং সোডার মাধ্যমে ৷ এই বেকিং সোডার সঙ্গে ঠান্ডা দুধ মিশিয়ে শরীরের কালো জায়গা গুলিতে লাগালে আপনি দারুণ উপকার পাবেন ৷ দুধ আপনার ত্বকের সেই জায়গাটির উজ্জ্বলতা বাড়াবে৷ দুধ এবং বেকিং সোডার একটি পেস্ট বানিয়ে নিয়মিত সেই কালো জায়গাগুলিতে লাগিয়ে ফেলুন৷ এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে অল্প দুধ মিশিয়ে পেস্টটি তৈরি করুন ৷ ত্বকে লাগিয়ে পেস্টটি শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন৷ তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷

হলুদ, মধু ও দুধ

হলুদ, মধু ও দুধ৷ এই তিনিটি উপকরণের মিশ্রণে ত্বকের কালো দাগ খুব কম সময়ের মধ্যেই উঠে যায়৷ দুধের সর ত্বকে ব্লিচের কাজ করে৷ হলুদ অনেক সময় ব্রোনো, অ্যাকনে দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়৷ এই তিনটির একটি মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন৷ কালো দাগ খুব তাড়াতাড়ি তোলে এই মিশ্রণ৷ শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করে হাত দিয়ে আগে তুলে ফেলুন৷ তারপর হালকা করে জল দিয়ে জায়গাটি মুছে নিন৷

অ্যালোভেরার উপকারিতা

অ্যালোভেরার উপকারিতা আলাদা করে বলতে লাগে না ৷ ট্যান রিমুভ করা থেকে কোমল ত্বক সবেতেই ব্যবহার হয় অ্যালোভেরা জেল৷ অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেলটা কেটে বের করে নিনি৷ জেল বের করার পদ্ধতি আপনি ইন্টারনেটেই পেয়ে যাবেন৷ প্রতিদিন এই জেলটি ৪০ মিনিট মতো কালো জায়গাগুলিতে লাগিয়ে রাখুন৷ আপনার ত্বক জেলটা পুরো শুষে নিলে হালকা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ তবে এই টোটকাটি আপনাকে প্রতিদিন ফোলো করতে হবে৷ ৪০ মিনিট না হলেও আপনি ১০ মিনিটও লাগিয়ে রাখতে পারেন৷ তাতেও আপনি আশানুরূপ ফলই পাবেন৷ আপনার ত্বক এতে খুব ঠান্ডাও হবে ৷

আলুর রসের উপকারিতা – লেবু রস ও আলু 

1. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে।

2. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে। একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করবে।

3. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে।

আরও পড়ুন – ত্বকের যত্নের রকমারি – Skin Care In Bengali ক্লিক করুন

4. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না। একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে।

5. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে। একটি আলু ও একটি শসা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে।

6. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়। হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে।

7. আলু ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক। আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে।

শেষ কথা 

 শেষ কথা বলতে বন্ধুরা আমরা সবাই একটুতেই হতাশ হয়ে উঠি বা একটুতেই আমরা না জেনে না শুনে হুট হাট কাজ করে ফেলি তাতে আমাদের লাভ ছাড়া লোকসান টাই বেশি হয়। আমরা তখন খুঁজে বেড়াই ছেলেদের মুখের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় বা হয়তো খুঁজে বেড়াই বা কাউকে জিজ্ঞাসা করে থাকি যে –  মুখের কালো দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায়, মুখের দাগ দূর করার মলম, মুখের দাগ দূর করার ক্রিমের নাম, মুখের দাগ দূর করার ওষুধ, মুখের মেছতা দূর করার উপায়,  মুখের কালো ভাব দূর করার উপায় কিন্তু আপনাকে অনেকে হয়তো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে না বা ভুল ভাল বলবে তাতে আপনার ক্ষতি ছাড়া কোনো কিছুই লাভ হবে না। আমি তো বলবো সব থেকে ভালো কোনো স্কিন এর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া অথবা মুখের কালো দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় বা ঘরোয়া উপায় ব্যাবহার করা যাতে করে কাজ না দিলেও অন্তত আপনার ক্ষতি একদমই করবে না। আমার বিশ্বাস আমার ওপরের লেখা গুলি যদি আপনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন তাহলে দাগ তো যাবেই সে নিয়ে সন্দেহ নেই আর আপনাকে অনেকটাইচক চকেকরে তুলবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর হ্যা যদি পারেন তো একটা দুটো শেয়ার করতে ভুলবেন না আর হ্যা আমাদের কমেন্ট কি হল। আশায় রইলাম।