ত্বক ফর্সা করার টিপস – Skin Whitening Tips

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে বা আপনাদের পাশে থাকতে।  না শারীরিক ভাবে হয়তো পারবো না তাই আমার এই লেখার মধ্যে দিয়েই আপনাদের সাথে ও পাশে থাকতে চাই। বন্ধুরা আমরা  আমাদের গায়ের রং বা কালো হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক কিছুই করে থাকলি। কখনোদামি দামি ক্রিম বা দামি দামি সেলুন বা পার্লার এ গিয়ে সেটার পয়সার শ্রাদ্ধ করে আসি কিন্তু কিছুতেই কিছুই হয় না।গায়ের রঙটা একটু ফর্সা করতে আমাদের সকলেরই যেন চেষ্টার কমতি নেই। আর কেনই বা হবে না? প্রতিদিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ। আজ রইলো ত্বকের রঙ ফর্সা করার শতভাগ প্রাকৃতিক, কিন্তু অব্যর্থ কিছু উপায় যা আপনি অবলম্বন করতে পারবেন বাড়িতে বসেই। যেতে হবে না পার্লারে, করতে হবে না ব্যয়বহুল কোন কসমেটিক সার্জারি।

বিউটি পার্লারে স্কিন পলিশ বা ফেয়ার পলিশ নামক ব্যয় বহুল বিউটি ট্রিটমেনট অনেকেই করিয়ে থাকেন, এটা না জেনেই যে কী ভীষণ ক্ষতিকর এই কাজ। কারণ সকলের ত্বকে সবকিছু মানানসই নয়, অনেকেরই হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। অন্যদিকে মেলানিন সার্জারি করে রঙ ফর্সা করাটাও কিন্তু নিরাপদ নয়। তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা।

আমাদের মুখের ত্বকেরও কিছু চাহিদা থাকে যা আমরা পূরণ করতে পারি নাইট ক্রিমের মাধ্যমে। একমাত্র ঘুমের সময় আমাদের শরীর, ত্বক অনেক বেশি রিলাক্স থাকে তাই রাতে ক্রিম খুব ভালো কাজ দেয়। রাতের জন্য তৈরি ক্রীম গুলোতে আলাদা কিছু উপাদান থাকে, যা সারা রাত ত্বককে পুষ্টি যোগায়। আর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তবে যাদের ব্রণ আছে তাদের নাইট ক্রিম ব্যবহার না করাই ভাল। চলুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তিনটি নাইট ক্রিম বানানোর নিয়ম : Beauty Tips Fairness Home Remedies – Bangla Beauty Tips For Fairness

বন্ধুরা আমি এখন কিছু প্যাক বলবো যাতে করে আপনাদের অনেকটাই সাফল্য দেবে। আর প্যাক গুলো খুউব সহজেই ঘরেই বানিয়ে নিতে পারবেন। প্রাকৃতিক উপায়ে এবং ঘরোয়াভাবে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়। শুধু তাই নয়, এভাবে যে ফর্সা রঙটা আপনি পাবেন সেটা হবে স্থায়ী। সৌন্দর্য সেটাই, যা ভেতর থেকে আসে।

ফেসপ্যাক-1

তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটি, থেঁতো করা পদ্মপাপড়ি ও নিমপাতা বাটা এবং চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার পর মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখুন আরও আধা ঘণ্টা।

ত্বক ফর্সা করার ক্রীম

ফেসপ্যাক-2

তিল বেটে নিন অথবা গুঁড়ো করে নিন। এতে সামান্য পানি মিশিয়ে ভালো করে চটকে নিন। এবার ছেঁকে নিন। ছাঁকার পর একটা সাদা রঙের তরল পাবেন সেটা মুখে লাগান, বিশেষ করে রোদে পোড়া জায়গায়। আধা ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। অচিরেই ত্বকের রঙ ফিরে পাবেন।

ফেসপ্যাক-3

আলুর রস ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সাথে দিন চন্দনের গুঁড়ো। দিনে ২বার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট করে। দ্রুত রঙ উজ্জল হবে। চন্দন না দিলেও সমস্যা নেই। এগুলো থেকে যে কোন একটি উপায় বেছে নিন। এবং অবলম্বন করুন। নাম্বার ৫ ছাড়া বাকি যে কোন প্যাক ব্যবহার করলে দিনে দুবার কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে রাখবেন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে জলদি কাজ করবে।

আরও পড়ুন: ব্রণের কালো দাগ দূর করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে

ফেসপ্যাক-4

মসুর ডাল গুঁড়ো করে নিন মিহি করে। তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান। রোদের মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে নিন ভালো করে। একদম মচমচে হয়ে গেলে গুঁড়ো করে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে শোবার আগে ২ ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে ১ চামচ দুধ ও এই গুঁড়ো খানিকটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর কাঁচা দুধ খানিকটা তুলোতে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন। আরও ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ফেসপ্যাক-5

ত্বকের রং আরও ফর্সা করার জন্য টক দই লাগান মুখে। যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা মধু ও দই মিশিয়ে নিন। মিনিট বিশেক রাখুন মুখে, তারপরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এরকম লাগাতে হবে।

দুধ ও কাঁচা হলুদ 

রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা।
দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করলে পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে পান করতে থাকুন।

কাঁচা হলুদ এর ব্যবহার

শুধু দুধের সঙ্গে নয়, বাহ্যিক রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ ফর্সা করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর।
উপকরণ : দুধ ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, এবং কাঁচা হলুদ বাটা ১ চা চামচ।

কীভাবে ব্যবহার করবেন ?

দুধ, লেবুর রস ও হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। গরম পানিতে মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাবেন না। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের রং হয়ে উঠবে ফর্সা, কোমল, দাগমুক্ত ও সুন্দর।
তাহলে আর দেরি কেন? বাড়িতে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে নিজে থেকে হয়ে উঠুন ফর্সা, সুন্দর।