শসা, শসার উপকারিতা – Benefits of Cucumber

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা ? আশা করি সকলেই ভালো আছো। আজ আমরা একটু অন্য স্বাদ এ যাবো অর্থাৎ একটু অন্য জিনিসের ব্যাপারে জন্য সেটা হলো শশা। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা হল রাত এ শুতে যাবার আগে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না। শসার রয়েছে অনেক গুণ। আমাদের দেশের জনপ্রিয় সবজির মধ্যে অন্যতম প্রধান হল শসা। শসা সব ঋতুতে সব এলাকায় সহজে পাওয়া যায়। শসার রয়েছে অনেক গুণ। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির। তো আমরা দেখে নেব শসার শত গুণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৬টি গুণের কথা। আমরা আরও জানবো শসা খাওয়ার নিয়ম, শসার রসের উপকারিতা

শসার উপকারিতা – খিরার উপকা‌রিতা (Cucumber Benefits)

শসার শত গুণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৬টি গুণের কথা –

1. প্রতিদিন আমাদের শরীরে যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।

2. আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে জল নেই কিন্তু শসা আছে। বড়োসড়ো একটি শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে ওঠবেন চনমনে। কারণ, শসার ৯০ শতাংশই জল ।

3. কখনও কখনও আপনি শরীরের ভেতরে-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন, আরাম পাবেন।

4. সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘঁষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।

5. শসার মধ্যে যে জল থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়–র মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

6. শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজন্য ত্বকের পরিচর্যায় স্নানের সময় অনেকে শসা ব্যবহার করে থাকেন।

7. শসায় উচ্চমাত্রায় জল ও নিুমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা স্যুপ ও স্যালাডে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

8. সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।

9. চোখের প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া, জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে শসা কাজ করে।

10. শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরোসিনোল ও পিনোরেসিনোল-এ তিনটি আয়ুর্বেদ উপাদান আছে বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত।

11. ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।

12. দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণ আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধ মিনিট রাখুন। শনার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।

13. শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

14. শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

15. ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।

16. শরীরকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা।