বিশ্বের প্রতিবছর লিভারের সমস্যার কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এই রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। শুধুমাত্র প্রতিবছরেই এক লাখ মানুষ এ রোগে মারা যাচ্ছে। তাই লিভার সমস্যায় মোটেও বেখেয়াল হওয়া ঠিক নয়। লিভার আমাদের দেহের সব চাইতে বড় একটি অঙ্গ। দেহের ইমিউন সিস্টেম, হজমশক্তি এবং পুষ্টিধারণ সহ লিভার আমাদের দেহের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই লিভারের সুস্থতা আমাদের নিজেদের সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু আমরা নিজের অজান্তে আমাদের বাজে খাদ্যাভ্যাস এবং বাজে জীবনযাপনের জন্য প্রতিনিয়ত ক্ষতি করে যাচ্ছি আমাদের সুস্থতার কাজে নিয়োজিত এই অঙ্গটিকে। নানা ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন পরিবেশের এবং আমাদের মাধ্যমে প্রবেশ করছে আমাদের দেহে এবং নষ্ট করে দিচ্ছে লিভারের কার্যক্ষমতা। সুতরাং নিজের ভালোর জন্য আমাদের একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন লিভারের সুস্থতায় লিভারের জন্য উপকারী খাবার খাওয়ার কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা। আসুন দেখে নেই সেই সকল ভালো অভ্যাসগুলো যা আমাদের লিভারকে রাখবে সুস্থ। চলুন তাহলে দেখা যাক লিভার সমস্যার প্রতিকার কি কি ? ও আমাদের জানতে হবে যে লিভার বড় হলে কি করা উচিত, লিভারের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ কি ?
লিভারে যে রোগগুলো সচারচার হয়, সেগুলো হলো: ভাইরাল হেপাটাইটিস (জন্ডিস), লিভার সিরোসিস ফোঁড়া, পিওথলরির বা পিত্তনালির রোগ, ফ্যাটি লিভার, লিভার ক্যানসার ইত্যাদি।
মানসিক চাপ, মদ্যপান ও ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে লিভারের ক্ষতি হয়। লিভারের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। যা দেখে বুঝা সম্ভব লিভার ঠিক আছে না সমস্যায় ভুগছে।
লিভার নষ্টের লক্ষণ
লিভারের আটটি সাধারণ লক্ষণ:
1.বারবার বমি হওয়া
2. ফেকাসে পায়খানা
3. চোখের ওপরে ব্যথা হওয়া
4. টানা অবসন্নতা
5. অর্শরোগ এবং স্থায়ীভাবে বর্ধিত শিরা
6. খাওয়ার পর মুখে তেতো ভাব
7. চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর পেট ব্যথা
8. পিত্তে সমস্যা
লিভার বড় হলে কি করা উচিত
ঘরোয়া উপায়
লেবুজল
প্রতিদিন লেবু জল পানের অভ্যাস করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- সি থাকে, যা লিভারকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে।
গ্রিন-টি
প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক কাপ করে গ্রিন-টি পান করুন। এটি লিভার ফাংশন ঠিক করতে সহায়তা করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
এক কাপ গরম জলে কয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। কয়েক মাস এটা খেলেই দেখবেন লিভারে জমে থাকা চর্বি সব গায়েব হয়ে গেছে।
আদাজল
এক চা চামচ আদা গুঁড়া গরমজলে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এই পানীয় টানা ১৫ দিন খেলেই দেখবেন অনেক সুস্থ বোধ করছেন। কারণ এটি লিভারে চর্বি জমার প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ করে দেয়। ফলে লিভার আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে।
আমলার রস
আমলায় ভিটামিন-সি থাকায় এটি লিভারকে দূষণমুক্ত করে। তাই লিভারের অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি টানা ২৫ দিন এই রস, এক চামচ করে প্রতিদিন সকালে খান, তাহলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।